Shylock's Cut

শাইলকের সহমর্মিতা অথবা অনর্থনীতি

চড়া মূল্যবৃদ্ধির জ্বরে ভুগছে গোটা দেশ – আমাদের ভারত। পরিস্থিতির মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন ট্যুইট মারফৎ মোদী সরকারের কতিপয় পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। নির্মলা সিতারামন নিজস্ব ঘোষণায় কখনই হতাশ করেন না – সংকটের সুরাহা হলে যারা বাঁচেন তাদের ব্যতীত অন্য সকলেই তার পরিকল্পনায় জায়গা পান এটুকুই যা সমস্যার।

price-hike-3

কি বলা হল ?

অর্থমন্ত্রীর ঘোষণাসমুহের দিকে নজর দেওয়া যাক।

চন্ডিগড়ে এক লিটার পেট্রোলের দাম ১০৩.৭৩ টাকা (দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন), নাসিকে ১২০.৮৩ টাকার (দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ)। এই দুইয়ের গড় করলে আমাদের দেশে পেট্রোলের দাম দাঁড়ায় ১১২.২৮ টাকা। ডিজেলের ক্ষেত্রে সেই হিসাবে দাম হয় লিটার প্রতি ১০০.৭২ টাকা। দাম কমাতে অর্থমন্ত্রকের তরফে কেন্দ্রীয় এক্সাইজ ডিউটি ছাড় দেওয়া হয়েছে, পেট্রোলে লিটার পিছু ৮টাকা, ডিজেলে ৬টাকা। এহেন ভর্তুকিতে কেন্দ্রীয় সরকারের এক লক্ষ কোটি টাকার মত রাজস্ব আদায় কমে যাবে বলেও জানিয়েছেন সিতারামন। পেট্রোপন্যে রাজ্য সরকারগুলি দ্বারা চাপানো সেস, সারচার্জেও একই কায়দায় কর ছাড়ের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার অন্তর্গত নয় কোটি পরিবারের জন্য রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার পিছু (সর্বোচ্চ বারোটি সিলিন্ডার পর্যন্ত) ২০০ টাকার ভর্তুকি ঘোষণা করা হয়েছে। এই বাবদ বছরে ৬১০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কমবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

লোহা এবং ইস্পাত উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল এবং সেই কাজে প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রীর ক্ষেত্রে আমদানি করে ছাড়ের ঘোষণা হয়েছে। ইস্পাতের এক্সপোর্ট ডিউটি বাড়ানো হবে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেশে সিমেন্টের দাম কমানোর জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

এছাড়া তিনি যা বলেছেন তাকে নিজেই নিজেদের ঢাক পেটানো ছাড়া কিছু বলা যায় না। অর্থনীতি আলোচনার ফাঁকে সেই ঢাক ফেঁসে যাওয়ার আর্তনাদও আমরা শুনতে পাব।   

সংকটের সমাধান কোন পথে ?

বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির সবচাইতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে খাদ্যসামগ্রীর উপরে, স্বাভাবিকভাবেই আশা ছিল গণবণ্টন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ কিংবা তাকে আরও মজবুত করা সম্পর্কিত কিছু পরিকল্পনা থাকবে। কিন্তু সিতারামন বিশ্বাস করেন উপভোক্তাগণ যা কিছু নিজেরা ব্যবহার করেন না তার সম্পর্কে উদাসীন থাকা চলে, এমনকি তাত্ত্বিক অবস্থানেও। যেহেতু তাকে বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাউকেই লাইনে দাঁড়িয়ে রেশন তুলতে হয় না, তাই বোধহয় গণবণ্টন সম্পর্কে একটি শব্দও খরচ করা হল না। পেট্রোল, ডিজেলের দামে ভর্তুকি তুলে দিতে এতদিন যারা সবচাইতে আগ্রাসী ভূমিকা পালন করেছেন তারাই যখন পাইকারি বাজারে মুল্যবৃদ্ধি রোধে রাজস্ব হারানোর মহান কর্তব্যে ফেরত আসেন তখন বুঝতে হবে জনগণের প্রতি এহেন সহমর্মিতা আসলে শাইলকের থেকেই অনুপ্রাণিত। এতদিন বিজেপি’র নেতা-মন্ত্রীরাই জোর গলায় বলছিলেন পেট্রোপন্যের দাম বাড়লে গরীব জনতার কিছু আসে যায় না কারণ তারা পেট্রোল-ডিজেল কিছুই কেনে না। পেঁয়াজ না খাওয়ার উদাহরণ দিয়ে নির্মলার নিজস্ব যুক্তি কার্যত স্বাধীন ভারতের সংসদে জনবিরোধী বাজেট বক্তৃতার ইতিহাসে কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছে।  

তবু ধরে নেওয়া যাক পরিবহন খরচ কমিয়ে মূল্যবৃদ্ধি রোধের প্রচেস্টাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আলোচনা তাতেও রয়ে যায়।

উজ্জ্বলা যোজনায় ভর্তুকি দিতে গিয়ে ৬১০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির প্রসঙ্গ তুলেছেন অর্থমন্ত্রী, অথচ প্রায় ১৩৪৫০ কোটি টাকা খরচ করে সেন্ট্রাল ভিস্টা (নতুন সংসদ ভবন) বানাচ্ছে মোদী সরকার! ঐ পরিমাণ টাকায় যেকোনো জনকল্যাণ প্রকল্পের উজ্জ্বলতা অনেকটা বাড়ানোই যেত, কিন্তু তাতে হয়ত নাগপুরের কর্তারা চটে যেতেন; কিংবা আরও চটতেন তাদেরও পিছনে থাকা বড় ভাইয়েরা।

২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনার অন্তর্গত ব্যাংক আমানতগুলির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি; তবু বলা হবে পেট্রোল-ডিজেলের দামে কর ছাড় দিয়ে রাজস্ব আদায় বাবদ এক লক্ষ কোটি টাকার বিশাল ক্ষতিস্বীকার করছে মোদী সরকার। সত্যিই আমাদের দেশে এহেন হিসেব-নিকেশ অভূতপূর্ব। মনে রাখতে হবে এই যোজনায় মোট আমানতকারির সংখ্যা প্রায় ৪৪.২৩ কোটি যার মধ্যে গ্রাম ভারতের অংশিদারিত্ব ২৯.৫৪ কোটি। অর্থমন্ত্রী মাত্র ৯কোটি পরিবারের জন্য ভর্তুকির ঘোষণা করেছেন, বাকিরা কোথায় যাবে?

সরকারী আর্থিক প্যাকেজ এবং পরিষেবাসমূহকে সুলভে সাধারণ গরীব মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই জন-ধন যোজনার উদ্দেশ্য ছিল (To ensure access to financial products and services at an affordable cost) । সেই আশাতেই কোটি কোটি মানুষ ব্যাংকের দরজায় লাইন দিয়েছিলেন, ঠিক নোটবাতিলের মত। তাদের নিজস্ব আমানতের মোট অর্থটুকুও তাদের জন্য বরাদ্দ করছে না মোদী সরকার। তাই জানতে ইচ্ছা করে, কিসের ভর্তুকি?

কি চাইছে মোদী সরকার ?

ভর্তুকির নামে সোজাসুজি ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে। এইসব নামমাত্র করছাড়ের ঘোষণার পরেও যখন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রিত হবে না, বরং আশংকা রয়েছে সংকট আরও বাড়বে সেই পরিস্থিতিতে সরকারের স্বদিচ্ছা থাকলেও আর কিই বা করা যায় বলে আসলে দায় এড়িয়ে যাওয়ার রাস্তা করে রাখছে মোদী সরকার। মনে রাখতে হবে এই সময়তেই ডলারের তুলনায় ভারতের টাকার মূল্যহ্রাস পেয়েছে সর্বাধিক। পেট্রোল হোক বা ডিজেল, মোট চাহিদার তুলনায় দেশীয় যোগানে ঘাটতি থাকায় প্রতিদিন আমদানির বাড়তি বোঝা বইতেই হবে। সেই হালখাতা মাথায় রেখে সাগরপাড়ের বড় ভাইয়েরা নিজেদের জন্য সুবন্দোবস্ত করে রেখেছেন, হাঁড়িকাঠে গলাটুকু বাড়িয়ে দিতে হবে সাধারণ জনগণকে এই যা। টাকার দাম আরও কমলে বাড়তি মুল্যের ধাক্কায় ঘোষিত ভর্তুকির যৎসামান্য সুবিধাটুকুও স্রেফ হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে।

সরকার দেখাতে চাইছে বর্তমান পরিস্থিতিতে MGNREGA (২০০ দিনের কাজের বাড়তি দাবী সহ), শহরাঞ্চলে কর্মসংস্থান কিংবা বিনামুল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর গণবণ্টনের মতো প্রকৃত অর্থে জনকল্যাণে কোনরকম বাড়তি ব্যয়বরাদ্দ করা সম্ভব নয়। সেই কারনেই বারে বারে কত রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে তার উল্লেখ রয়েছে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে। একই উদ্দেশ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধ এবং কোভিড মহামারীর কারনে সারা পৃথিবীতেই অর্থনৈতিক মন্দার অবস্থা চলছে বলে অজুহাত জূড়ে দেওয়া হয়েছে।

আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় নির্মলা সিতারামন আজ যে সমস্ত দেশের কথা বলছেন তারা প্রত্যেকেই মহামারীর সময় নিজেদের দেশে জনকল্যাণ সহ যাবতীয় পরিকাঠামো খাতে সরকারী ব্যয়বরাদ্দ বাড়িয়েছে। মোদী সরকারের পছন্দের দেশের কথাই ধরা যাক, আমেরিকায় ট্রাম্পের সময়তেই বড় অংকের (৯০০ বিলিয়ন) কোভিড সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা হয়, পরে জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে সেই বরাদ্দ আরও বাড়িয়ে দেন। ভারতে মোদী সরকার করোনা মহামারীর চূড়ান্ত সংকটের সময়তেও এমন কিছুই করে নি, আয়কর সীমার বাইরে থাকা পরিবারগুলির জন্য মাসিক ৭৫০০টাকার সামান্য ক্যাশ ট্রান্সফারের দাবিকেও তারা নির্মমতার সাথে এড়িয়ে গেছে। লকডাউনের কারনে সর্বস্বান্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ হারিয়ে ঘরে ফেরার সময় ট্রেনে পর্যন্ত উঠতে দেয় নি মোদী সরকার। টিকিটের দাম জোটাতে না পেরে তারা হেঁটেছিলেন দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত। পথ চলার ক্লান্তিতে রেললাইনে ঘুমিয়ে পড়া শ্রমিকদের টুকরো টুকরো করে দিয়েছিল ট্রেনের চাকা, শুধু কয়েকটি না খাওয়া রুটিই অবশিষ্ট ছিল। অর্থনীতি জানেন-বোঝেন এবং বুনিয়াদি মানবিকতা হারিয়ে ফেলেননি এমন প্রত্যেকেই দাবী জানিয়েছিলেন ধনীদের সম্পত্তি কর বাড়িয়ে এবং কর্পোরেটদের দেয় কর আদায় করে সেই অর্থে জনকল্যাণ বাবদ সংস্থান করা হোক। এর জবাবে কোভিড মহামারীর সময়েই মোদী সরকার কর্পোরেটদের প্রতি বছর ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকার কর ছাড় দিয়েছে। তাই বিশ্বমন্দার অজুহাত নতুন কিছুই নয়, আসলে নিজেদের অপদার্থতা ঢাকার চেষ্টা।    

ভারতে বেকারির হার এই বছরের মার্চ মাসে ছিল ৭.৬০ শতাংশ, এপ্রিলে হয়েছে ৭.৮৩ শতাংশ, প্রবনতা জানাচ্ছে চলতি মে মাসের শেষে সেই সূচক ৯.২২ শতাংশে পৌঁছতে পারে। মনে রাখতে হবে মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারির সমস্যা একে অন্যের পরিপূরক। বেকারির সমস্যা মোকাবিলা না করা গেলে বাজারে চাহিদার ঘাটতি কিছুতেই মিটবে না, শুধু যোগান বাড়িয়ে দিয়ে কাজের কাজ কিছুই হবে না (যেরকম অর্থনীতিতে নির্মলারা বিশ্বাস রাখেন) উল্টে মুনাফার ধান্দায় আরও মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে। তাই প্রয়োজন ছিল পরিকাঠামো খাতে ব্যয়বৃদ্ধি সহ সংকট চলাকালীন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর আমদানি-রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ। ইস্পাতের ক্ষেত্রে আমদানি করে ছাড় বাড়িয়ে রপ্তানি কর বাড়িয়ে দেওয়া হল, অর্থাৎ ভারতে ইস্পাত উৎপাদন ধাক্কা খেতে চলেছে এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হ্রাসের আশংকাও তৈরি হল। সারা দেশেই আবাসন শিল্পে ব্যাপক মন্দা চলছে, একইসাথে পাইকারি বাজারে ভয়ানক মূল্যবৃদ্ধির সময় অন্য সবকিছু ফেলে রেখে শুধুমাত্র সিমেন্টের দাম কমাতে সরকারের এত মাথাব্যাথার কারণ বোঝা দায়, সেন্ট্রাল ভিস্টার দ্রুত নির্মাণেই কি এমন পরিকল্পনা? ১৩৪৫০ কোটি টাকার ব্যাপার বলেই হয়ত!

অর্থনীতির আড়ালে থাকা রাজনীতি

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সারা দেশে কোথাও কোনরকম উৎপাদন ঘাটতি নেই। অর্থাৎ বাজারে স্বাভাবিক যোগান অব্যাহত রয়েছে। তা স্বত্বেও এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি তাকে ভাবতে বাধ্য করছে না চাহিদা-যোগানের স্বাভাবিক অবস্থায় বাড়তি দাম জনিত মুনাফা কোথায়, কাদের পকেটে ঢুকছে! দেশের অর্থমন্ত্রীর কিন্তু সেটাই প্রাথমিক কর্তব্য, অবশ্য তিনি যদি সেই দায়টুকু স্বীকার করেন তবেই। এই সরকারের নির্মল দালালীর ভুমিকা বিবেচনা করতে হবে এই প্রসঙ্গেই।

সবশেষে একটাই প্রসঙ্গ। সরকারী ব্যয়বরাদ্দ কিভাবে বাড়ানো যায়? এছাড়া তো দাম কমানোর অন্য উপায় নেই – অন্তত ভদ্রস্থ পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে নেই। অর্থাৎ ঘুরে ফিরে সেই আর্থিক সংস্থানের কথাতেই ফেরত আসতে হবে। নির্মলা সিতারামন এই প্রসঙ্গে কিছুতেই আসবেন না, আসতে পারবেন না। এর কারণ খুবই সহজ, রাজস্ব বাবদ যে প্রাপ্য আদায় সরকার নিজেই ফিরিয়ে দিয়েছে সেই কর্পোরেট এবং দেশের মোট সম্পদের ৭৩ শতাংশের মালিক ১ শতাংশ অতিধনীদের সামনে দাঁড়ানোর হিম্মত মোদী সরকারের নেই। দেশি-বিদেশী কর্পোরেটদের বিরাট মুনাফা (Super Profit) লুটে নেওয়ার সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেই এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। সম্পত্তি কর বাড়ানোর হিম্মত মোদী সরকারের নেই, কর্পোরেটদের থেকে বাড়তি দূরে থাক প্রাপ্য করটুকু আদায় করার মুরোদও নেই। আন্তর্জাতিক লগ্নী পূঁজির ইশারায় চলা এই সরকারের অর্থনীতির মূল কথা ‘এলোমেলো করে দিই, যাতে লুটে পুটে খায়’।

দেশের জনসাধারণকেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। নয়া-উদারবাদ মানুষের হাতের কাজ, পেটের ভাত থেকে শুরু করে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও কেড়ে নিতে চাইছে। এর জবাবে নয়া-উদারবাদী চক্রান্তের হাত থেকে দেশকে টেনে বের করে আনতে হবেই, যতদিন বিজেপি কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকবে সেই কাজ অসম্ভব। তাই নরাখাদকদের থেকে সহমর্মিতার প্রত্যাশা না করে যার হাতে যা উঠে আসে সেইসব পিটিয়ে এমন জোরালো আওয়াজ তুলতে হবে যাতে নরখাদকটা ভয় পেয়ে আবার জঙ্গলে গিয়ে ঢোকে।

মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গে আমাদের শেষ কথা তাই পাল্টাচ্ছে না। নয়-উদারবাদ উৎখাত না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী সুরাহার কোন সম্ভাবনাই নেই। নির্মলার বচনে সেই অনর্থনৈতিক সত্যই সামনে এসেছে।   

ওয়েবডেস্কের পক্ষেঃ সৌভিক ঘোষ

ছবিঃ সোশ্যাল মিডিয়া


শেয়ার করুন

উত্তর দিন