Note On Food Movement: A Retrospect

১৯৫৯ সালের খাদ্য আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশের মেহনতি মানুষের লড়াইতে এক অনন্য নজীর। তৎকালীন খাদ্য সংকটের জন্য প্রাদেশিক সরকারের অপদার্থতাই ছিল মূলত দায়ী। সেই সময় অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির প্রাদেশিক কমিটি রাজ্যের সমস্ত পার্টি ইউনিটকে আসন্ন খাদ্য সংকট মোকাবিলায় নির্দিষ্ট পথনির্দেশ দেয়। পার্টি চিঠির আকারে সেই নির্দেশ পার্টি ইউনিটগুলিতে পাঠানো হয়। রাজ্য ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে সেই পার্টি চিঠিই প্রকাশ করা হল। এই চিঠি শুধুই এক ঐতিহাসিক দলীল না, আজকের পরিস্থিতির ব্যাখ্যা, কর্মসূচি গ্রহণ এবং মোকাবিলায় কমিউনিস্টদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতেও সহায়ক।

I Survived the Taliban. I Fear for My Afghan Sisters

আমি আমার জীবনের জন্য কৃতজ্ঞ। গত বছর কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পরে আজ আমার ক্যারিয়ার সম্পর্কে ধারনা কিছুটা স্পষ্ট হয়েছে। আজ আমি কোন বন্দুকধারী পুরুষ দ্বারা নির্ধারিত বন্দীজীবনে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবতেও পারি না।

PB Statement

Stop Sale of India

দৈনন্দিন খরচ মেটাতে যারা পারিবারিক সম্পদ যেমন রুপো বিক্রি করে তাদের অর্থনৈতিক বা সাধারণ জ্ঞান বিচার্য হতে পারে না। যখন বাজারে মন্দাবস্থা চলছে সেই অবস্থায় জাতীয় সম্পদ বিক্রির এহেন সিধান্তে ধান্দাবাজ (ক্রোনি) কর্পোরেটের মুনাফা ব্যাতিত আর কারোর স্বার্থ সুরিক্ষিত থাকবে না। এই কাজ আসলে ধান্দাবাজ পুঁজিবাদের প্রচার।

CPIMCC

On Afghanistan Situation

আফগান জনগণ যাতে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশে বসবাস করতে পারে সেজন্য ভারতকে অবশ্যই প্রধান আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে। ভারত সরকারের উচিত অবিলম্বে আফগানিস্তানে আটকে পড়া সকল ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণ করা।

Why We Are Not Free? A Retrospect

ভারতের নবীন শিক্ষিত সম্প্রদায়কে এ-ক্ষেত্রে সমবেত হতে হবে। চাষী আর মজরদের মধ্যে জীবনের বাণী প্রচার করা আর তাদের সত্যকারের জীবনের সন্ধান দেওয়াই নবীন শিক্ষিত সমাজের একমাত্র কাজ। চাষী আর মজুরদের বলতে হবে, তোমরা অজানা ভবিষ্যতের লাভের আশায়, বর্তমানের শ্রমলব্ধ ধন পরের পায়ে বিলিয়ে দিয়ে বসে আছ, কিন্তু জানো না তোমরা, বিয়োগের ভিতর দিয়ে লাভ কখনো হতে পারে না। লাভের জন্য যে যোগ চাই-ই চাই। তাদের বোঝাতে হবে, তাদের শ্রমের ধনে তাদের ভোগের অধিকার ষোল আনা রয়েছে, সে -অধিকার ত্যাগ করে তারা পৌরুষের পরিচয় না দিয়ে কাপুরুষতার পরিচয়ই দিচ্ছে, মনুষ্যত্ব হতে তারা বহু দূরে সরে পড়েছে। এককথায়, জীবনে খাওয়া-পরার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যতদিন না আমাদের দেশের কৃষক ও শ্রমিকগণের প্রাণে জাগবে ততদিন আমাদের অবস্থার পরিবর্তন কিছুতেই হবে না। পরিবর্তনের প্রয়োজনের সৃষ্টি না হলে পরিবর্তন কেনই বা হবে?

Capitalism is the crisis

‘Marx’s Writing More Relevent Today Than Ever’ – Wolfgang Streeck

আমাদের জীবদ্দশাতেই পুঁজিবাদের ধ্বংস প্রত্যক্ষ করা সম্ভব হবে – এখনই হয়ত একথা বলার সময় আসেনি কিন্তু নয়া উদারবাদের ভিতরে এমন পাঁচটি সাধারন বৈশিষ্ট দেখা যাচ্ছে যা পৃথিবীজূড়েই জনগনের দুর্দশার মূল কারন। ক্রমান্বয়ী আর্থিক অবনমন, বাজারের উপরে কতিপয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর একচেটিয়া রাজত্ব, জনজীবনে প্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবহারে গুরুতর অভাব, সার্বিক দুর্নীতি এবং দুনিয়াজূড়ে নৈরাজ্যের প্রতিষ্ঠা এগুলিই হল সেই পাঁচ বৈশিষ্ট। লাগামহীন মুনাফা কিংবা বাজারের উপরে মানবিক নিয়ন্ত্রন কায়েম করতে পারে এমন একটিও প্রতিষ্ঠান বাকি নেই যা পুঁজিবাদ ধ্বংস করেনি। আমার বক্তব্য হল এর ফলে আগামিদিনে এমন অনেক ঘটনা ঘটতে চলেছে যা অভূতপূর্ব – ‘জেলখানার নোটবুক’-এ এমন কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আন্তনিও গ্রামশি।”

CPIMCC

CC Meeting: Press Communique

কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে পার্টি ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী পালন করবে স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্টদের ভূমিকা তুলে ধরে। আধুনিক ভারত গঠনের ভাবনা (আইডিয়া অব ইন্ডিয়া)-কে একীভূত করতে কমিউনিস্ট পার্টির অবদান; স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রিটিশদের সাথে আরএসএসের সহযোগিতা; এবং বর্তমান ভারতে সাংবিধানিক ধর্মনিরপেক্ষ-গণতান্ত্রিক-সাধারণতন্ত্রের যেভাবে ভয়াবহ অবমাননা চলছে সেই বিষয়গুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

We Must Learn From Stalin: A Report

সাধ্যমতো সমাজে এভাবেই ইতিবাচক হস্তক্ষেপ করতে হয়। কিন্তু শুধু সেবামূলক কাজেই আটকে থাকা উদ্দেশ্য নয়, বৈপ্লবিক পরিবর্তনই হল লক্ষ্য। মিশনারি থেকে রেভলিউশনারি হয়ে ওঠাই তরুণ কমরেডদের চর্চা করতে হবে। কাকাবাবুর স্মরণে সেটাই হবে প্রকৃত উত্তরাধিকার বহন।

Retracing The Path of Kakababu: A Memoir

কমরেড মুজফফর আহমদের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে একজন আদর্শ কমিউনিস্ট নেতার বহুবিধ গুণাবলিকে অনুসরণ করে আমাদের পার্টিকে প্রকৃত বিপ্লবী পার্টি হিসেবে গড়ে তোলার সংকল্প গ্রহণ করতে হবে। জাতীয় জীবনের বিভিন্ন দিকের ক্রমবর্ধমান সংকটের মোকাবিলা করে – শ্রমিক, কৃষক ও শোষিত নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংকল্প গ্রহণ করতে হবে।

Kakababu and NBA

Muzaffar Ahmad And National Book Agency

দোকানের নাম দেওয়া হলো ন্যাশনাল বুক এজেন্সি। সারা ভারতের মার্কসীয় ও প্রগতির সাহিত্যের পরিবেশক হওয়ার স্বপ্ন সেদিন আমরা দেখেছিলেম। ওই অর্থেই আমাদের নামের গোড়ায় ন্যাশনাল কথাটা বসেছিল। কেউ কেউ ভুল ধারণা করেন অন্তত অতীতে করেছেন যে আমরা ন্যাশনালিস্ট সাহিত্যের প্রকাশক ও পরিবেশক। ন্যাশনালিস্ট সাহিত্য আমাদের নিকটে পরিত্যাজ্য নয় ,কিন্তু তার জন্য অনেক দোকান আছে। তাই আমাদের ভবিষ্যতে যাতে কোনো বিচ্যুতি ঘটতে না পারে সে কথা মনে রেখে ১৯৪৩ সালে ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে রেজিস্ট্রি করার সময় আমরা তার মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন এর নির্ধারণ করে দিয়েছি যে আমাদের কোম্পানি শুধু মার্কসীয় ও প্রগতি সাহিত্যের প্রকাশক ও পরিবেশক । মেমোরেন্ডাম এর কোনো পরিবর্তন হয় না।