Gautam Roy

মাতৃভাষা দিবসে আজকের পরিপ্রেক্ষিত

সাতের দশকের নানা সঙ্কটকালেও জাতীয় আন্দোলনের নেতৃত্বের একটা বড়ো অংশের শারীরিক উপস্থিতি মানুষকে সঙ্কট থেকে উত্তোরিত হতে অনেকখানি সাহায্য করেছিল।মূল্যবোধের সঙ্কট সেই সময়কালের প্রেক্ষিতে তীব্র হলেও তাকে মোকাবিলার শক্তি মানুষ তার শিকড় থেকেই অর্জন করেছিল। আর বিশ্বায়নের জেরে প্রথম চেষ্টাটাই চলে মানুষকে তার শিকড় থেকে টেনে উপড়ে ফেলবার।শারীরিক এবং মানসিক -দুই ভাবেই মানুষকে উপড়ে ফেলবার যে চেষ্টা তখন শুরু হয়েছিল , সময়ের সঙগে পাল্লা দিয়ে তা আমাদের সমাজ জীবনে দুরারোগ্য কর্কট ব্যাধির মতো ধীরে ধীরে ছড়িয়েছে।ফলে নিজের সাংস্কৃতিক চেতনা, মূল্যবোধ এখন সম্পুর্ণভাবে স্বকীয়তা হারাতে বসেছে।যে রবীন্দ্রনাথের গান একদিন ছিল কথা ও সুরের মেলবন্ধনে মানবমুক্তির একটা খোলা আকাশ, সেই রবীন্দ্রনাথের গান এখন ফিউশন নির্ভর যন্ত্রের যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Dr. pabitro sarkar

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সার্থকতা

আমাদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে যে জীবন সংকটের সম্মুখীন হতে হয় তাতে লড়াইয়ের রসদ বাংলাটা ভাল করে জানলে, কম পড়ে না। বরং আমি মনে করি মাতৃভাষায় পাঠ্যক্রমের পুরোটা শেখানোর পাশপাশি ইংরেজিটাও ভালভাবেই শেখান চলতে পারে – তাতে কোনও সমস্যা নেই। আজ প্রযুক্তি যে সুবিধা দিচ্ছে, ব্রিটিশ ভারতে শিক্ষার্থীরা সেই সুবিধা পান নি, তাদের জন্য কোনও হাতে গরম ইংরেজিময় পরিবেশ ছিল না। নীরদ চৌধুরীর মতো মানুষ বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করেও অসাধারণ ইংরেজী রচনা করেছেন – এমনটা করা যায়। যে কোনও সরকারের সেই চেষ্টাই করা উচিত।

বর্তমান কৃষক আন্দোলনঃ এক সুসংহত বিকল্পের লক্ষ্যে আগামী দিনের লড়াই

ভারত এক বিরাট দেশ, এর বিভিন্ন প্রান্তের বৈচিত্র্যময় বাস্তবতাকে আলোচনায় গুরুত্ব না দিয়ে আন্দোলন সামনের দিকে এগোতে পারবে না। নিজেদের অস্তিত্বরক্ষার আন্দোলনে অগ্রাধিকার দিয়ে উক্ত সমস্যাবলী সম্পর্কে সমাধানের লক্ষ্যে এক সুস্থিত কৃষি অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে যা ভারতের সাধারণ অর্থনীতির মেরুদন্ড হিসাবে কাজ করবে। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাবার পথে জনগণের অন্যান্য অংশকেও এই লড়াইয়ের সাথী করে নিতে হবে, তবেই এই লড়াই এক সার্বিক গণআন্দোলন হিসাবে সার্থক হয়ে উঠবে। আজকের কৃষক আন্দোলন সেই প্রকৃত বিকল্পের দিশা সম্পর্কে ইতিমধ্যেই অনেককে স্বপ্ন দেখাতে সমর্থ হয়েছে।

মনে রাখবে ওরা সবাই

সবাইকে ভালো রাখার লড়াইতে তুমি হারো নি। তোমাকে মনে পড়বে রোজ – ১৫০০০ হাজার যুবক-যুবতীর, যারা তোমাদের লড়াইয়ের দিনই, লড়াইয়ের চাপে শিক্ষকপদের নিয়োগপত্র পেয়েছে। মনে পড়বে ১৩০০০ ছেলেমেয়ের, যারা তোমার শহীদ হওয়ার দিনে, PSC র থেকে নিয়োগের ডাক পেয়েছে। মনে রাখবে ওরা সবাই, যাদের কোলে মাথা রেখে তুমি বলেছিলে – আমি আর বাঁচবু নি! তাদের লড়াই তোমাকে বাঁচিয়ে রাখবে মইদুল।

বিকল্প ও উন্নততর ভাবনা (পর্ব - ৫ ) শুদ্ধস্বত্ব গুপ্ত

পশ্চিমবঙ্গে অর্থনীতির ভিত্তি ছিল কৃষি এবং ক্ষুদ্রশিল্প। এই দু’টি ক্ষেত্রে শ্রমজীবীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিযুক্ত ছিলেন। নয়া উদারবাদের আক্রমণ সবচেয়ে বেশি

।ফ্যাক্টরি ওহি বানায়েঙ্গে - ময়ূখ বিশ্বাস

দিনকয়েক আগেও অরুণাভ ব্যাঙ্গালুরুর এক বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করত।বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়তে গিয়ে ওর মধ্যবিত্ত বাবা মা যে মোটা

মুখ্যমন্ত্রী কে লাল কার্ড দেখানোর নবান্ন অভিযান - কলতান দাশগুপ্ত

টাইম ট্রাভেল করে যদি পিছিয়ে যাওয়া যেত কয়েক বছর! জাতীয় সড়কের পাশে আদিগন্তবিস্তৃত ফাঁকা জমি। যেখানে আর কয়েকদিন পর কারখানার

সাফল্য শস্য উৎপাদনে- শুদ্ধস্বত্ব গুপ্ত পর্ব-৪

সাফল্য শস্য উৎপাদনে- শুদ্ধস্বত্ব গুপ্তপর্ব-৪ ধান উৎপাদনে ঘাটতি রাজ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রের পাঠানো চালের ওপর ভরসা করে থাকতে হতো। সেই

বিকল্প ও উন্নততর ভাবনা (পঞ্চায়েত: গ্রামের সরকার ‘বাস্তুঘুঘুর বাসা ভাঙো’) - শুদ্ধস্বত্ব গুপ্ত

পঞ্চায়েত: গ্রামের সরকার ‘বাস্তুঘুঘুর বাসা ভাঙো’ লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল উন্নয়নে মানুষকে যুক্ত করার। বামপন্থী আন্দোলনের কাছে তার মানে