নতুন ষড়যন্ত্র – ত্রিবেণী কুম্ভ মেলা

একটি মিথ্যাকে সত্য হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে সঙ্ঘ পরিবার এবং বিজেপি হিটলার, গোয়েবেলসকে প্রথম থেকে অনুসরণ করে আসছে। যেমন তাদের ফ্যাসিবাদী কার্যকলাপকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে এসেছে। বহুদিন ধরে বাবরি মসজিদ রাম মন্দিরের উপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে প্রচার করতে করতে একটি পর্যায় এসে রহস্যজনক ভাবে তাকে আইনী বৈধতা দেওয়া হল। যেমন প্রচার করে সমুদ্রগুপ্ত কুতুব মিনার তৈরি করেছিলেন এবং তার আসল নাম বিষ্ণু স্তম্ভ। অথচ সমুদ্র গুপ্তের রাজত্বকাল ছিল ৩২০ থেকে ৩৮০ খ্রিস্টাব্দে। আর কুতুব মিনার তৈরি হয় ১২০খ্রিস্টাব্দে। এই কাজ শেষ করেন ইলতুতমিস।

সহপথিক রবীন্দ্রনাথ

রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠতম বৃত্তে থাকা বামপন্থী সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ আধ্যাত্মিক ছিলেন সত্যিই, তাঁর কাছে আধ্যাত্মিকতার অর্থ ছিল ভিন্ন। যে সময়খন্ডে ব্যক্তি-আমি বাস করি সেই খন্ডকাল যে চিরকাল বা অনন্ত সময়েরই অখন্ড অংশ কিংবা যে খন্ডিত ভুবনে আমার বসত সে যে অনন্ত ভুবনেরই অখন্ড অংশ, এই সম্পর্কিত চেতনাকেই রবীন্দ্রনাথ বলেছেন আধ্যাত্মিক চেতনা। রবীন্দ্রনাথের মতে আধ্যাত্মিকতার প্রকাশ ত্যাগে। ‘ত্যাগ’ শব্দটিকেও তিনি ব্যাখ্যা করেছেন সচরাচর অর্থের বাইরে গিয়ে।

দু’শতক বাদেও বিকল্প কোথায়? : শমীক লাহিড়ী

২৩পাতার এই ঘোষণাপত্র পৃথিবীর ভবিষ্যৎ পাল্টে দেবার ঠিকানা হবে, এটা সেদিন কেউই বোঝেননি। এই ঘোষণাপত্রে প্রথম শোষণহীন পৃথিবীর ঘোষণা করেছিলেন মার্কস এবং এঙ্গেলস। এই ইস্তেহারে তাঁরা বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে শ্রমিক শ্রেণীকে দেখালেন – পুঁজিবাদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবি। এই পরাজয়কে তরান্বিত করার জন্য শ্রমিক শ্রেণীর কর্তব্য পুঁজির বিরোধীতা করা ও বুর্জোয়াদের উচ্ছেদের জন্য বৈপ্লবিক সংগ্রামের প্রস্তুতি নেওয়া। এইখানেই তাঁদের ঐতিহাসিক ঘোষণা – সমগ্র ইউরোপ পুঁজিবাদের ভুত দেখছে।

পুঁজির সঞ্চারপথ চিহ্নিতকরণে মার্কস, লেনিন ও আজকের সময়

সাম্রাজ্যবাদের যুগে লগ্নী পুঁজিই হয়ে উঠবে প্রধান প্রবণতা- শুধু তাই নয়, আরও আরও মুনাফা লুট করতে গিয়ে অন্যান্য সমস্ত পুঁজিবাদী কাঠামোকেই ক্রমশ গিলে খাবে এই সত্য লেনিনের বোঝাপড়ায় স্পষ্টই ছিল।

লগ্নি পুঁজির প্রকৃতি ও কর্পোরেট উৎপাদন সংগঠন বদলাচ্ছে

আগামী ভবিষ্যতে মানব সভ্যতার সবরকম পছন্দকে নিয়ন্ত্রণ করতে উদ্যত বহুজাতিক পুঁজির এই অমানবিক সর্বব্যাপক আধিপত্যের বিরুদ্ধে বৃহত্তর সংগ্রামের বাস্তব ভিত্তিও একই সাথে তৈরি হয়ে চলেছে।