ধর্ম ও রবীন্দ্রনাথ

এই ঘোর বেশি দিন টেকেনি। তিনি উপলব্ধি করলেন, নিজের সঙ্গে নিজের অদৃশ্য ব্যবধান তৈরি করে ফেলেছেন। সনাতন হিন্দুধর্ম আর হিন্দুতা নিয়ে গৌরববোধের এক তীব্র মোহ তাঁকে গ্রাস করেছে। এই মোহের অভেদ্য দুর্গের মধ্যে তিনি ‘মুক্তি’ খুঁজেছেন। এই মুক্তিচিন্তা তাঁর অন্তরাত্মাকে তৃপ্ত করতে পারেনি, তিনি শ্রেয়কে পাননি।

Marx and India Part II

কার্ল মার্কস ও ভারত প্রসঙ্গ (২য় পর্ব)

যতদূর সম্ভাবনার বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে, মনে হচ্ছে ভারতে এক বিপ্লবী কর্মকাণ্ড শুরু হতে চলেছে। ইউরোপীয় সর্বহারা শ্রেণি যেভাবে উঠে আসছে তাতে এখনই তাদের পক্ষে ঔপনিবেশিক শাসন বিরোধী কোন যুদ্ধ সংগঠিত করা সম্ভব নয়, আর তাই ভারতের মতো দেশে এহেন বিদ্রোহের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ সুযোগ দিতেই হবে। আসন্ন বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে অনেককিছুই ধ্বংস হবে, কিন্তু বিপ্লবের পথে সেইসব ধংস্বকে এড়িয়ে গিয়ে সামনে এগোনো যায়

Marx And India Part I

কার্ল মার্কস ও ভারত প্রসঙ্গ (১ম পর্ব)

গ্রামীণ ভারতে এক স্বাভাবিক অর্থনীতি প্রচলিত ছিল, তার বাইরে শহর এবং বাজারগুলিতে পণ্য সঞ্চালিত হত। মনে রাখতে হবে, পুঁজিবাদী উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যে কোনো বিনিময়েই অর্থের ব্যবহার হয়, উৎপাদনের সব ক্ষেত্রেই পণ্য-নির্ভর অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়।

Somnath Bhattacharya on Marx 2022

সত্যের নিকটতম দর্শন মার্কসবাদ

পুঁজিবাদ শেষ হলেই মার্কসবাদের কাজ শেষ হয়ে যায় না। মার্কস এঙ্গেলস বর্ণিত সাম্যবাদী সমাজ অর্থাৎ সর্বাপেক্ষা মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে হলে মার্কসবাদের হাত ধরে আমাদের আরও অনেক পথ হাঁটতে হবে। পুঁজিবাদ তাদের কাজ করুক আর আমরা জারি রাখি আমাদের পথ চলা

Marx 2022

দারিদ্র্যের দর্শনের জবাবে দর্শনের দারিদ্র

মানব মুক্তির প্রকৃত দিশা নির্ধারণে যে দর্শনশাস্ত্র অপারগ, তাকে শেষ বিদায় জানানোর সময় এসেছে। যদিও প্রুধোঁর মতবাদের জবাবে মার্কস যা লিখলেন তাকে আরও কুড়ি বছর পরে প্রকাশিত ক্যাপিটালের দার্শনিক, অর্থনৈতিক ভ্রূণ বলা চলে। প্রুধোঁর দারিদ্র্যের দর্শনের বিরুদ্ধে ১৮৪৭ সালের জুলাই মাসে ব্রাসেলস এবং প্যারিস থেকে প্রকাশিত হল মার্কসের লেখা ‘দর্শনের দারিদ্র’, পভার্টি অফ ফিলোজফি শিরোনামে

Satyajit 100

বিদ্রোহী সত্যজিৎ

একটি বস্তুকে জানা মানে হচ্ছে বস্তুর সঙ্গে চিন্তার সংগতি ঘটাবার এক অন্তহীন প্রক্রিয়া। মানুষের মনে প্রকৃতির যে প্রতিফলন ঘটে তা প্রাণহীন নয়, বিমুর্ত নয়, নিশ্চল নয়, দ্বন্দ্বহীন নয়। তা গতিশীল। তার মধ্যে দ্বন্দ্ব-উপস্থিত হয় এবং সে-দ্বন্দ্বের সমাধানও বেরিয়ে আসে

ভারতে মে দিবস উদযাপনের শতবর্ষ

এই প্রথম শ্রমিকশ্রেণি সমস্ত শিল্পে তার শক্তিশালী হাতিয়ার ধর্মঘটকে ব্যবহার করল একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের জন্য এবং দেখালো সাধারণ মানুষকে জড়ো করতে পারার দক্ষতা

ভারতে শ্রমজীবীদের লড়াই বনাম কর্পোরেট-হিন্দুত্বের আঁতাত

অতিমারিকালীন পরিস্থিতির সময় শ্রম আইন অকার্যকারি করার নেতৃত্ব দিয়েছিল বিজেপি পরিচালিত রাজস্থান সরকার। বিজেপি পরিচালিত উত্তর প্রদেশ সরকার বলেছিল শ্রম আইন স্থগিত রাখো তিন বছরের জন্য। মধ্যপ্রদেশের সরকার বলেছিল চুলোয় যাক শ্রম আইন ১০০০ দিনের জন্য। বিজেপির গুজরাট সরকার বলেছিল চাপা রাখো শ্রম আইন ১২০০ দিনের জন্য।

মে দিবস ও আজকের লড়াই

মে দিবস শুধু একটি ঘটনা নয়, ভবিষ্যতের দিক নির্দেশক। আন্দোলন এক‌ই পদ্ধতিতে চলবে মনে করার কোন কারণ নেই। সব লড়াইয়ে শ্রমিক শ্রেণী জিতবে এটাও ভাবার কোন কারণ নেই। মানুষ তৈরির প্রতিষ্ঠান ট্রেড ইউনিয়ন। সেই ট্রেড ইউনিয়নের কাজ‌ই হবে শ্রমিককে তার নির্দিষ্ট শ্রেণীতে প্রতিষ্ঠা করা ও যোগ্যতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হ‌ওয়া।

মে দিবসের ইতিহাস - একটি পর্যালোচনা

মানবসভ্যতা প্রতিদিন একটু একটু করে এগিয়ে যায় শ্রমিকের রক্ত জল করা ঘামে।এই সভ্যতা তৈরিই হয়েছে শ্রমের বিনিময়ে। তাই এই সভ্যতার ইতিহাসে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে আছে শ্রমিক শ্রেণি। শিল্প বিপ্লবের পর বিশ্বের নানান প্রান্তে শ্রমঘন এলাকা তৈরি হয়েছে, যেখানে বিপুল পরিমাণ শ্রমিক একটি কারখানা বা শিল্পকে কেন্দ্র করে একত্র হয়েছে।