21 July Feature

‘২১শে জুলাই’ নৈরাজ্য থেকে নবান্নে

গণতন্ত্রে ছুটে গিয়ে, অস্ত্র নিয়ে মহাকরণ দখল করা যায় না। মমতা ব্যানার্জি জানতেন। তবু ‘অভিযান’ হয়েছিল। কাউকে খুশি করতে, বামফ্রন্টকে সেই সময়ে বিপাকে ফেলতে।

দখলের ১১ বছর : তৃণমূলের নরক গুলজার,মমতার সব ভাষ্যের হার,জিত সেই বামপন্থারই - চন্দন দাস...

৫ জুন, ২০২২ রবিবার প্রথম পর্ব মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন কৃষি বনাম শিল্প। তাঁর প্রচার ছিল — বামফ্রন্ট ‘ভাতের কারখানা’, অর্থাৎ

দখলের ১১ বছর: তৃণমূলের নরক গুলজার,মমতার সব ভাষ্যের হার, জিত সেই বামপন্থারই - চন্দন দাস

৫ জুন, ২০২২ (রবিবার) দ্বিতীয় পর্ব গ্রামের দশা? সর্বনাশা।কেমন? রেশনের উদাহরণ দেওয়া যাক।১কোটি ১৪ লক্ষ গ্রাহকের কার্ড রাজ্য সরকার গত

রাজ্য সম্পাদকের বিবৃতি

গণতন্ত্রের পক্ষে সরকারের এই পদক্ষেপ বিপজ্জনক - রাজ্য সম্পাদকের বিবৃতি

গত দশ বছর ধরে এটাই এরাজ্যের চিত্র। বামপন্থীদের উপর লাগাতার আক্রমণ হয়েছে। এখন শুধু বামপন্থীদের উপরই নয়, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, ব্যক্তিও আক্রান্ত হচ্ছেন। আজ নির্বাচনী মিছিলে পুলিশি হামলা হয়েছে, ১১জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

কলকাতায় ফের পুলিশি বর্বরতা

এসএফ আই রাজ্য সভাপতি প্রতিকুর রহমান জানিয়েছেন, ‘আমরা পরিষ্কার ভাবে বলছি আজ যদি ওদের ছাড়া না হয়, কাল থেকে গোটা কলকাতা সহ বাংলা অচল করে দেবো। এটা হুশিয়ারি ভাবলে তাই, দাবি ভাবলে তাই, অনুরোধ ভাবলেও তাই। এই ভাবে আনিসের খুনী দের আড়াল করতে পারবেন না, আমরা রাস্তাতেই বুঝে নেবো’।

PB Statement

তৃণমূলের আমলে অবাধ নির্বাচন অসম্ভব

কারচুপির মাত্রা এতটাই তীব্র যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি অবধি পরিস্থিতি কমিশনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে স্বীকার করেছেন। ব্যাপক হিংসা এবং ভয় দেখানোর সাথেই পোলিং এজেন্ট এবং প্রার্থীদের যেরকম নির্দয়ভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তা গণমাধ্যমগুলিতে ব্যাপকভাবে ফুটে উঠেছে। একথা স্পষ্ট হয়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে এবং যখন রাজ্য পুলিশ সম্পূর্ণরুপে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট, সেই অবস্থায় কোনও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব।

Who are Civics

গেষ্টাপো থেকে সিভিক পুলিশ - একই ট্র‍্যাডিশন

২০২১এর ফেব্রুয়ারী মাসে প্রকাশ্য রাস্তায় সরকার বিরোধী আন্দোলনে যোগদানকারী মঈদুল মিদ্দাকে পিটিয়ে হত্যা বা ২০২২ এর ফেব্রুয়ারীতে সরকার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচিত মুখ আনিস খানকে বাড়ি ঢুকে খুন করার পর এই আওয়াজ স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে – সিভিক পুলিশদের গেষ্টাপো বাহিনীতে পরিণত করা চলবে না

Deucha 3

'আমরা যাবো না। দেখি পুলিশ কী করে? সরকার কী করে?'

খেটেখাওয়া সাধারণ মানুষের ভরসা নেই সরকারের উপর। উচ্ছেদের পর কোনও নিশ্চয়তা নেই ভবিষ্যত রুটি রুজির, বুঝে গিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। তাই খনি হলে দেদার টাকা লোটার ধান্দায় মশগুল তৃণমূলের নেতারা রীতিমত ধাক্কা খাচ্ছেন হরিণশিঙা, চাঁচপুর, দেওয়ানগঞ্জ, কেন্দপাহাড়ি, মথুরাপাহাড়ি, গাবারবাথান সহ প্রত্যেকটা জনপদে।

Surjya MIshra States

মানুষের প্রতিবাদকে ধামাচাপা দেওয়া যাবে নাঃ রাজ্য সম্পাদকের বার্তা

সব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নকে অগ্রাহ্য করে রাজ্য সরকার প্যাকেজের নামে প্রলোভন এবং প্রতিবাদের কন্ঠ দমন করতে ভয়ভীতি সন্ত্রাসের রাস্তা বেছে নিয়েছে। দেউচা পাঁচামীর মানুষের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে, বাইরে থেকে বিদ্বেষের রাজনীতি বিরোধী জনমঞ্চের পদযাত্রীরা সেখানে ঢুকতে গেলে আটকানো হয়েছে, আমাদের পার্টির জেলা সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পদযাত্রীদের আশ্রয়স্থলে শাসকদল হামলা চালিয়েছে। এরপরেও যারা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেছে তাদেরও বাধা দেওয়া হয়েছে। এভাবে প্রকল্পের বিষয়ে মূল প্রশ্নগুলো এবং মানুষের প্রতিবাদকে ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। সর্বাত্মক ব্যাপক ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে এর বিরুদ্ধে।

রুখে দাঁড়িয়েছে দেউচা পাঁচামী (২য় পর্ব)

বেশিরভাগ মানুষ গরিব। পাথর ভাঙা, ক্রাশার আর ছোট জমিতে চাষ— এই তাঁদের জীবনযাপনের পাথেয়। সেখানে আদিবাসীরা বেশি। আছেন তফসিলিরাও। সেখানে সমীক্ষা হয়েছে? হরিণশিঙার সুনীল মার্ডির কথায়,‘‘কোথায় প্রশাসন? আমাদের সঙ্গে কেউ কথা কয়নি। বাড়ি বাড়ি এসে জিজ্ঞেস? প্রশাসনের কোনও লোককে গত কয়েকবছর গ্রামে দেখা যায়নি।’’ হরিণশিঙার ভাগচাষি রামযতন মির্ধা খেতে ছিলেন। সপরিবারে— স্ত্রী বিলাসী মির্ধা, ছেলের স্ত্রী ললিতা মির্ধা, মেয়ে অঞ্জলি মির্ধা একসঙ্গে ধান কাটছিলেন। আমরা ‘কয়লার পক্ষে কথা বলতে আসিনি’ জেনে এগিয়ে এলেন। বললেন,‘‘সরকার কী করে জানল আমরা এই প্যাকেজে রাজি? কোথায় জমি দেবে? কোথায় কাজ পাবো, এত ছোট ৬৫০ বর্গমিটার ঘরে আমরা থাকতে পারব কিনা — সরকার জানতে চেয়েছে। ইচ্ছা হলো আর ঘোষণা? এখানে সবাই অনিচ্ছুক। গাঁ ঘুরে কয়লার পক্ষে লোক পাবেন না।’’