Shylock's Cut

শাইলকের সহমর্মিতা অথবা অনর্থনীতি

মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গে আমাদের শেষ কথা পাল্টাচ্ছে না। নয়-উদারবাদ উৎখাত না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী সুরাহার কোন সম্ভাবনাই নেই। নির্মলার বচনে সেই অনর্থনৈতিক সত্যই সামনে এসেছে।

Price Hike Part 2

মূল্যবৃদ্ধি – কোন দিকে (পর্ব – ২)

রাজ্য সরকার আসলে নিজের সাধ্যানুযায়ী ফাটকাবাজির রসদ জুগিয়ে চলেছে। সেই ফাটকাবাজি হল আন্তর্জাতিক লগ্নী পূঁজির প্রেসক্রিপশন। জনগণের জীবন-যন্ত্রণা বাড়িয়ে চলা নয়া-উদারবাদ নামের নরখাদক ব্যবস্থাটাকে বিজেপি কিংবা তৃণমূল কংগ্রেস প্রত্যেকেই নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী রসদ যুগিয়ে চলেছে এটুকুই আসল কথা।

মূল্যবৃদ্ধি – কোন দিকে? (পর্ব-১)

নয়া-উদারবাদের জাল কেটে বেরোতে না পারলে এহেন সংকট থেকে মুক্তির কোন সুযোগই নেই, সুতরাং প্রাথমিক কর্তব্য হল এদেশে নয়া-উদারবাদের কোলের সন্তান বিজেপি’কে রাজনৈতিক ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা। আজকের ভারতে বাঁচার জন্য জনগণের অন্য কোন পথ অবশিষ্ট নেই।

সংকটে শ্রীলঙ্কা - দায় কার?

রাজাপক্ষে সরকার করের পরিমাণ হ্রাস এবং পুঁজিপতিদের জন্য ব্যাপক সুবিধা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়। আর এইসব প্রতিশ্রুতি পালন করতে গিয়ে রাজস্ব সংগ্রহ হ্রাস পায়। ফলে বিদেশি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয় শ্রীলঙ্কা। খাদ্যে ভরতুকি ছাঁটাই করার খাদ্যশস্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। ইতিমধ্যে দেশের কৃষি ব্যবস্থা আক্রান্ত হয়ে পড়ে। ফলে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা আক্রান্ত হয়। এর সঙ্গেই যুক্ত হয় কোভিড সংক্রমণ।

General Strike

দেশ বাঁচাও, দেশের জনগণকে বাঁচাও (১ম পর্ব)

এই সাধারণ ধর্মঘট ১৯৯১ সালে নয়া উদারনীতি পর্বের আরম্ভের পরে একবিংশতিতম ধর্মঘট হতে চলেছে। এই তিন দশকের লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, প্রতিটি সাধারণ ধর্মঘটের মধ্য দিয়ে এবং তার মধ্যে শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রে সংগঠিত ও অসংগঠিত অংশ মিলিয়ে অসংখ্য নির্দিষ্ট দাবি আদায়ের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে, ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের সংযুক্ত মঞ্চ গড়ে উঠেছে, সম্প্রসারিত হয়েছে, এবং শেষ পর্যন্ত ২০০৯ সালে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলিকে এক ছাতার নীচে আনতে সক্ষম হয়েছে।

কোথায় চলেছে আমাদের রাজ্য?

যতই জাঁক করে বড়াই করা হোক, নীতি আয়োগের সূচকে বেআব্রু শহর কলকাতায় ভাল কাজের সুযোগ ঠিক কতটুকু! সেইসঙ্গেই প্রকট আর্থিক উন্নতির বেহাল দশা। রাজ্যে নতুন শিল্প নেই। একের পর এক কারখানায় ঝাঁপ বন্ধ। বেকারত্ব হ্রাস, নতুন সংস্থায় কর্মসংস্থান, দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ, নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের মতো ১২টি লক্ষ্যের ভিত্তিতে এতে নম্বর দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই কলকাতা একশ’তে পেয়েছে তিন! গতবছরই প্রথম, নীতি আয়োগ প্রকাশ করেছে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি)’-র শহুরে সূচকে।

Satyaki Roy

এই বাজেটকে নিস্ফলাই বলতে হবে - সাত্যকি রায়

অর্থনীতির দ্রুত পুনরুজ্জীবন করতে হলে চাহিদার সংকোচন মোকাবিলা করতে হবে, গরীব নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য ন্যূনতম আয়ের বন্দোবস্ত করতে হবে। ক্রয়ক্ষমতা না বাড়ালে বিনিয়োগও গতি পাবে না। সামগ্রিক পরিস্থিতির মোকাবিলায় যা করা যেত, সেই লক্ষ্যে এই বাজেটকে নিস্ফলাই বলতে হবে।

জাতীয় বাজেট ২০২২-কাদের জন্য বাজেট ? ঈশিতা মুখার্জি......

২ ফেব্রুয়ারি ২২ (বুধবার) ২০২২ সালের আর্থিক বাজেট পেশ করলেন সংসদে অর্থমন্ত্রী। ৯১ মিনিটের একটি সংক্ষিপ্ততম প্রতিবেদন । এর চেয়ে

PB Statement

কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২২-২৩ঃ পলিট ব্যুরোর বিবৃতি

দেশের জনগণের কাছে এই জনবিরোধী, কর্পোরেটদের স্বার্থবাহী বাজেটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়েছে সিপিআই(এম)-এর পলিট ব্যুরো। আয়কর সীমার বাইরে থাকা পরিবারবর্গের জন্য প্রতি মাসে ৭৫০০ টাকা সরাসরি নগদ অর্থ হস্তান্তরের এবং বিনামূল্যে খাদ্য-কিট বিতরনের দাবি জানাচ্ছে পলিট ব্যুরো৷

কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২২ - প্রাথমিক পর্যালোচনা

করোনা সংক্রমনের ধাক্কায় দেশের সংসদের একের পর এক অধিবেশন খারিজ হলেও বারে বারে অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) জারি করে নয়া কৃষি আইন, শ্রম আইন পাশ করানো হয়েছে। দেশের কৃষকরা ফসলে ন্যুনতম সহায়ক মূল্য সহ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এক বছরেরও বেশি সময় সময় ধরে রাস্তায় বসে আন্দোলন করেছেন, সেই আন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন বাতিলের মৌখিক ঘোষণা করেছেন – যদিও সংস্লিস্ট আন্দোলনের অন্যান্য দাবিগুলি এখনও আদায় হয় নি। আগামি মার্চ মাসের ২৮ ও ২৯ তারিখে দুইদিন ব্যাপি ধর্মঘটের আহ্বান জানিয়েছে সারা দেশের কেন্দ্রীয় ট্রেডইউনিয়নগুলি। কার্যত ভারতের কৃষক সমাজ এবং শ্রমিক-মেহনতি মানুষ লড়াই চালাচ্ছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে, সেই সংগ্রামে প্রতিদিন সাধারন মানুষের সমর্থন বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষিত বাজেটকে দেখতে হবে।