মোদী সরকার যতই এহেন সমস্যার ব্যখ্যায় অর্থনীতির তত্ত্বকথা আওড়াক না কেন হ্যামলেটের দুঃস্বপ্নের মতোই বারে বারে যার প্রসঙ্গ ফিরে আসবে তাকে বলে রাজনৈতিক-অর্থনীতি। অবশ্য এই বিষয়ে মোদী সরকারের অবস্থান স্পষ্ট- তারা নিজেদের নাক কেটেও ডলারের প্রমোদ ভ্রমণ আটকাতে চান না।
Tag: CPIMWB
অশোক স্তম্ভে হিন্দুত্ব
মূল প্রাকারে খচিত সিংহমূর্তিটি মহিমাময়। শান্ত, ছিপছিপে, কমনীয়। রাজকীয়ভাবে আত্মবিশ্বাসী। কারন তা মানুষের উত্তরণের গর্বে বিজয়ীর মনোভাবে নির্মিত। মোদীর নতুন কাঠামোয় সিংহের চেহারা অপ্রয়োজনে আগ্রাসী। পেশিবহুল, ক্রুদ্ধ, আক্রমনের ভঙ্গীতে উদ্যত। যা আসলে নতুন ভারতের নামে হিন্দুত্বের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মুখ। যা ভারত নির্মাণের ইতিহাসকেই কামড়ে-আঁচড়ে তছনছ করে দিতে চায়।
জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও সঙ্ঘের অপপ্রচার
অতীতের তুলনায় ভারতীয় মহিলাদের সন্তানসংখ্যা কমছে। এরই সঙ্গে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে শিক্ষার হারের সঙ্গে এর যোগসূত্র রয়েছে। যেসব মায়েরা স্কুলশিক্ষা পাননি তাঁদের ক্ষেত্রে ফার্টিলিটির হার ২.৮২ শতাংশ। যাঁরা ১২-বছর, বা তার বেশি শিক্ষাঙ্গনে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে এই হার ১.৭৮ শতাংশ। মুসলিম মহিলাদের মধ্যে (১৫-৪৯ বয়সি) স্কুলশিক্ষা পাননি ৩১.৪ শতাংশ। ৪৪ শতাংশ সাত বছরের বেশি সময় শিক্ষাঙ্গনে ছিলেন। হিন্দুদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা যথাক্রমে ২৭.৬ শতাংশ ও ৫৩ শতাংশ।
বাংলার অর্থনীতিঃ ধারণা ও বাস্তব
পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক সংকটের ইতিহাসকে বস্তুনিষ্ঠতায় স্বীকার করে সেই প্রসঙ্গে যদি কাউকে দায়ী করতেই হয় তবে দেশভাগ থেকে সেই আলোচনা শুরু করতে হবে। সেখান থেকে বিধান রায়, জহরলাল নেহরু এবং প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবিশ… – পণ্ডিত নেহরুর অর্থনৈতিক মডেলের প্রতিটি ব্যবহারিক তথা বৌদ্ধিক কর্ণধার অবধি সেই আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই অর্থনৈতিক মডেলই সমৃদ্ধির প্রসঙ্গে ১৯৪৭-এ সামনের সারিতে থাকা আমাদের রাজ্যকে পরবর্তী অন্তত আড়াই দশকের জন্য অবনমনের খাদে ঠেলে দিয়েছিল।
বামপন্থীরাই পারবে (১ম পর্ব)...
নয়া উদারবাদের কৌশলকে না বুঝে আজকের ফ্যাসিবাদী প্রবণতার কৌশলকে উপলব্ধি করা যাবে না। শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে সঠিক বোধ ব্যাতিত কিভাবে জনগণের একটি ক্ষুদ্র অংশের জন্য পঞ্চম, ষষ্ঠ কিংবা সপ্তম পে কমিশনের আলোচনা হয় আমি বুঝিনা। আমাদের দেশে শ্রমিকদের ৯৩ শতাংশই অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত, তারা বেতন সংক্রান্ত এধরনের যেকোন সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
ইতিহাসের নতুন পাতা কলম্বিয়ায়
কলম্বিয়া এই প্রথম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছে একজন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলাকে। ফ্রান্সিয়া মার্কেজ একজন বামপন্থী সমাজকর্মী, যিনি প্রকাশ্যে কলম্বিয়ার রাজনীতিতে মার্কিন হস্তক্ষেপের নিন্দা করেছেন। তিনি চান শান্তি। নতুন করে সামরিকীকরণের বিরোধী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির নতুন করে বোঝাপড়া চান তিনি। আদি জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা বন্ধের সঙ্গেই অবিলম্বে ভূমি সংস্কার চান তিন। পেত্রো এবং মার্কেজ দু’জনেই চান প্রতিবেশী দেশ ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সুসম্পর্ক।
খরা বিরোধী দিবস ও ভারতের প্রসঙ্গ
কয়েকশো বছর ধরে চলা মহামারী ‘খরা’ নিয়েই বেঁচে আছেন এমন ভারতীয় এবং বিশ্ববাসীদের কথা ভেবে শুধু একটি দিন হিসাবে নয়, ‘খরা বিরোধী দিবসে’ আমাদের সতর্ক হতে হবে প্রতিদিন। না হলে বছর বছর খরা’র প্রত্যাশায় ঢেউ গুনে চলার মত স্থিতধী মুনাফাখোরদের হারানো যাবে না, প্রতিরোধ করা যাবে না ‘খরা’ও।
তোমার গুলিতে মরবে শুধু শরীরটা, আদর্শটা নয় - এক স্বপ্নের নাম চে গ্যেভারা
আজকের পৃথিবীতে সমাজতান্ত্রিক শিবির নেই, কিন্তু ফাঁদে পড়া পুঁজিবাদ যতদিন মানুষের উপরে শোষণের চাকা ঘোরানো জারী রাখবে ততদিনই মানুষের বুকে স্বাধীনতা, মুক্তি এবং বিপ্লবের অন্যতম প্রেরণা হিসাবে চে গ্যেভারার নাম রয়ে যাবে।
ঐতিহাসিক সূত্রের খোঁজে তিনদিনের আলোচনাচক্র
আর্কাইভে যে তথ্য পাই, সবসময়ই সেগুলিকে নির্বিচারে গ্রহন করা উচিৎ নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এখানে রাষ্ট্রশক্তির দৃষ্টিতে ও রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় নথিগুলিই সংরক্ষণ করা হয়। তাই এক্ষেত্রে সমালোচনার চশমা পরে লেখ্যাগারের নথিতে অতীতের পদচিহ্ন খোঁজা বিশেষ করে প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।
আশা আর আশঙ্কায় কলম্বিয়া
যে কোনও মুহূর্তে প্রাণনাশের আশঙ্কায় বামপন্থী প্রার্থী। চব্বিশ ঘণ্টা তাঁকে ঘিরে নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। এর মধ্যেই আশার আলো মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। নির্বাচনী প্রচারে পেত্রো বলেছেন, ১৯৪৮ থেকে হিংসায় আক্রান্ত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে কিছু বড় পরিবর্তন জরুরি। তাঁর সরকার কৃষি সংস্কার করবে, শক্তিশালী করবে শ্রম আইনকে, কলম্বিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ ও আদি জনগোষ্ঠী মানুষের সমানাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।