আজকের পরিস্থিতিতে কমরেড জ্যোতি বসুর উত্তরাধিকার সম্পাদনায় আমাদের সফল হতেই হবে - সীতারাম ইয়েচুরি

কাদের অথবা কাকে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে এই প্রশ্নের চাইতে বেশি গুরুত্বপুর্ন হল সমর্থনের প্রেক্ষিত, সময়ের দাবীকে চিনে নেওয়া এবং সেই অনুযায়ী সঠিক সিধান্ত কার্যকর করা। কমরেড জ্যোতি বসু এই রণকৌশল আমাদের সামনে ব্যখ্যা করেছেন, তাকে প্রয়োগ করে অতীতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মোকাবিলা করেছেন।

Teesta Sitalvad Part I

বামপন্থীরাই পারবে (১ম পর্ব)...

নয়া উদারবাদের কৌশলকে না বুঝে আজকের ফ্যাসিবাদী প্রবণতার কৌশলকে উপলব্ধি করা যাবে না। শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে সঠিক বোধ ব্যাতিত কিভাবে জনগণের একটি ক্ষুদ্র অংশের জন্য পঞ্চম, ষষ্ঠ কিংবা সপ্তম পে কমিশনের আলোচনা হয় আমি বুঝিনা। আমাদের দেশে শ্রমিকদের ৯৩ শতাংশই অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত, তারা বেতন সংক্রান্ত এধরনের যেকোন সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

General Secretary States

ভারত হারলে কেউই জিতবে না - সীতারাম ইয়েচুরি

রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক হিসাবে সমাজে ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান কর্তব্য বলে মনে করি আমরা। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির হাতে বলি হয়ে আর একটিও জীবন যেন না হারায়। ভারতের বুকে বিভাজন যদি সম্প্রসারিত হলে কাররই জয় হবে না।

Teesta Setalvad 2022

ভীষ্মের ক্লিনচিট: সাজানো বিচারে ফের পান্ডবদের "মহান" কূটনীতিতে শিলমোহর

মা অন্ধ সেজে থাকলে পুত্ররা দুরাচারী হয়ে ওঠে একথা মহাভারতই না আইনব্যবস্থাও শেখাচ্ছে আমাদের৷ তাই শিক্ষকরা বলেন – ট্রুথ নয় ফ্যাক্ট! ইকুয়ালিটি নয় জাস্টিস৷ তার জন্য লড়াই চলবে, ভাঙাচোরা ব্যবস্থা ঠুকেঠাকে মেরামতই শুধু নয় দরকারে খোলনলচে বদলে ফেলতে হবে৷ দেশ জোড়া নিরপরাধ, কেবলমাত্র মতাদর্শগত বিশ্বাসের কারণে গ্রেফতার হওয়া সব তিস্তা শিতলবাদ, সব ফুল্লরা মন্ডলদের মুক্তির দাবীতে আপোষহীন লড়াই চলবে।

PB Statement

মামলা প্রত্যাহার করে তিস্তা শীতলবাদ সহ অন্যান্যদের মুক্তি দিতে হবে

২০০৪ সালে সুপ্রিম কোর্টই গুজরাটের ঘটনায় রাজ্য সরকারের মাথাদের ‘আজকের নীরো’ বলে চিহ্নিত করেছিল। সাম্প্রতিক রায়ে অতীত দিনের পর্যবেক্ষণের লেশমাত্র নেই। এই রায়ে তিস্তা শীতলবাদের মতো যারা দেশের বিচারব্যবস্থার উপরে আস্থাশীল তাদেরকেই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সংশয়হীন হয়েই বলা চলে এই মামলা কিউরেটিভ পিটিশনের জন্য উপযুক্ত।

PB Statement

জ্ঞানবাপী মসজিদ প্রসঙ্গে - পলিট ব্যুরোর বিবৃতি

সুপ্রিম কোর্ট সংশ্লিষ্ট বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। এই সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলে দাবি জানাচ্ছে সিপিআই(এম)। একইসাথে পলিট ব্যুরো দাবী জানাচ্ছে ১৯৯১-সালের উপাসনাস্থল বিষয়ক বিশেষ আইনকে কোনওভাবেই লঙ্ঘন করতে দেওয়া যাবে না। ধর্মীয় স্থানসমূহ সম্পর্কে এধরনের বিতর্ক এড়াতে এবং সেইসব উপাসনাস্থলের বিদ্যমান কাঠামো পরিবর্তনের কোনরকম প্রচেষ্টাই যাতে অনুমোদিত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্যই এই আইন প্রণীত হয়েছিল।

শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য জনগণের উদ্দেশ্যে যৌথ আবেদন

আমাদের দেশ তখনই সমৃদ্ধ হবে যদি এটি তার বহু বৈচিত্র্যকে পূর্ণ মাত্রায় সম্মান জানায়, নিজের অন্তরে স্থান দেয় এবং সমবেত অস্তিত্বকে উদযাপন করে।

PB Statement

সাম্প্রদায়িক উস্কানি বন্ধ হোক

আরএসএস- সংঘ পরিবার কর্তৃক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রচারের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় উৎসবের সুযোগ নেওয়ার নিন্দা জানাচ্ছে সিপিআই(এম)। শান্তি বজায় রাখা ও ধর্মের নামে মানুষকে বিভক্ত করার চক্রীদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করতে সকল শ্রেণীর মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছে সিপিআই(এম)। শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সারা দেশে পার্টির সকল ইউনিটকেই যথাযথ কর্মসূচি গ্রহনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

Sitaram Yechury On 23rd Congress

২৩তম পার্টি কংগ্রেসের প্রথম দিনে সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য

একটি শক্তিশালী কমিউনিস্ট পার্টি, শক্তিশালী বাম ঐক্য এবং বাম-গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট গঠনের প্রচেষ্টাকে জোরদার করার সংকল্প নিয়েছে সিপিআই(এম)। আমরা আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি এবং দেশপ্রেমিকদের কাছে আমাদের সাংবিধানিক সাধারণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য ও হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির বিস্তৃত ফ্রন্ট তৈরি করে বিকল্প জনস্বার্থবাহী নীতি রুপায়নের সংগ্রামকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সমবেত সংকল্পের আবেদন করছি।

PB Statement

হরিদ্বারে ধর্মসম্মেলনের মঞ্চে সংবিধান অবমাননার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের দাবী জানালো পলিট ব্যুরো

হরিদ্বারে আয়োজিত তথাকথিত ধর্ম সংসদে ভারতের মুসলমানদের বিরুদ্ধে চরম বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা চলেছে। প্রকাশ্যে এমন কর্মসূচি পালনের মানে দেশের সংবিধান স্বীকৃত আইনি কাঠামোর স্পষ্ট লঙ্ঘন করা। আলোচনার মঞ্চ থেকে একের পর এক বক্তৃতায় দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-সহ অনেকের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন জানানো হয়। বিজেপি’র নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষমতাসীন রয়েছে বলেই লাগাতার তিন দিন ধরে প্রকাশ্যে বিনাবাধায় এমন কর্মসূচি চলতে পেরেছে। লজ্জাজনকভাবে এই সম্মেলন শেষ হওয়ার অনেক পরে এমন একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, যাতে কারোর নাম নেই। সংবিধান অবমাননার ঘটনাতেও পুলিশ নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়েছে। এফআইআরে প্রধান অপরাধীদের নাম না থাকলেও মঞ্চে বক্তৃতা চলাকালীন রেকর্ড করা ভিডিওগুলি থেকে দোষীদের পরিচয় স্পষ্ট হয়েছে।