বিষাক্ত মনোভাবকে প্রতিরোধ করা গেলে আরএসএস পরাস্থ হবে, তখন বিজেপি’ও হারবে, হারবেই।

বিষাক্ত মনোভাবকে প্রতিরোধ করা গেলে আরএসএস পরাস্থ হবে, তখন বিজেপি’ও হারবে, হারবেই।
যখন বাংলার সমাজ ক্রমশ আরও অন্তর্মুখী ও কূপমণ্ডূক হয়ে পড়ছে, তখন নিজের হাতে রোপন করা এই আন্তর্জাতিক চেতনার বীজ তাঁর জন্মভূমিতে আরও শক্ত সমর্থ বৃক্ষে পরিণত হোক, রামমোহন রায়ের জন্মদিনে এই প্রত্যাশায় আসুন আমরা সকলে সহমত হই।
একটি মিথ্যাকে সত্য হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে সঙ্ঘ পরিবার এবং বিজেপি হিটলার, গোয়েবেলসকে প্রথম থেকে অনুসরণ করে আসছে। যেমন তাদের ফ্যাসিবাদী কার্যকলাপকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে এসেছে। বহুদিন ধরে বাবরি মসজিদ রাম মন্দিরের উপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে প্রচার করতে করতে একটি পর্যায় এসে রহস্যজনক ভাবে তাকে আইনী বৈধতা দেওয়া হল। যেমন প্রচার করে সমুদ্রগুপ্ত কুতুব মিনার তৈরি করেছিলেন এবং তার আসল নাম বিষ্ণু স্তম্ভ। অথচ সমুদ্র গুপ্তের রাজত্বকাল ছিল ৩২০ থেকে ৩৮০ খ্রিস্টাব্দে। আর কুতুব মিনার তৈরি হয় ১২০খ্রিস্টাব্দে। এই কাজ শেষ করেন ইলতুতমিস।
যে উগ্র সাম্প্রদায়িক প্রচার চালানো হয়েছিল তাকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
যেটা তিনি কখনও জানতে পারেন নি তা হল তাঁর হত্যাকারীর নামেও ‘রাম’ রয়ে গেল।
তিনি সকলকে বিশ্বাস করতে পারতেন। মহাত্মা চরিত্রের সবচেয়ে উন্নত গুন এবং চরম দুর্বলতা একই।
ভারতবাসী অহিংসা কোনোদিনই গ্রহণ করেনি, করলেও তার চর্চা করেনি – এই দেশ তাকে মহাত্মা মেনেছে ঠিকই কিন্তু তার মাহাত্ম্য আদৌ স্বীকার করেনি। তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
কমিউনিস্টদের আনা পূর্ণ স্বরাজের প্রস্তাবের পক্ষে ব্যাটন ধরেন সুভাষচন্দ্র বসু। আবার কংগ্রেসের সভাপতি পদে সুভাষচন্দ্র বসুর নাম প্রস্তাব করেন কমিউনিস্টরা।
হিন্দু জাতীয়তাবাদ আসলে এমন এক উৎকট ও উগ্র জাতীয়তাবাদী ধারণা যা স্বাধীনতা পরবর্তী ভারত নির্মাণের যাবতীয় বুনিয়াদী ধারণাকেই ধ্বংস করতে চায়।
বর্বরদের সংখ্যাগরিষ্ঠের গাজোয়ারিটিও বর্বরোচিতই বিবেচিত হয়, গণতান্ত্রিক হয় না। আমাদের দেশের সংবিধান সেই মূল্যবোধেই নির্মিত।