আমাদের দেশে এই সংগ্রাম একইসঙ্গে শ্রেণি-সংগ্রাম এবং সামাজিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম।

আমাদের দেশে এই সংগ্রাম একইসঙ্গে শ্রেণি-সংগ্রাম এবং সামাজিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম।
আগামী দুদিনের আলোচনায় আজকের পরিস্থিতির মোকাবিলায় কার্যকরী সঠিক পথ নির্ধারিত হবে, এই অধিবেশনে অংশগ্রহণকারী কমরেডরাই সেই কাজ সম্পন্ন করবেন।
একে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখাই সংঘের রাজনীতি, ধর্ম, জাতি, ভাষা এসবই সেই রাজনীতির একেকটি কৌশল।
গণবন্টন ব্যবস্থাকে ক্রমাগত দুর্বল করা হচ্ছে “টার্গেটেড সাবসিডি’র নামে। অনৈতিকভাবে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আদানি গোষ্ঠী/ রিলায়েন্স গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে।
সাভারকারের হিন্দুত্বের এই ধারণা আজকের রাজনৈতিক সময়ে ভীষণ প্রাসঙ্গিক।
ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানরা বহিরাগত নন। তাঁরা এই দেশেরই মানুষ। তাঁদের অনেকে ব্রাহ্মণ্যবাদের দাপটে নির্যাতিত অংশ।
ধর্ম একটা আধিপত্যকামী মতাদর্শও বটে। তাই চলতে চলতে একটা সময়ে এসে সমাজে শ্রেণিসংগ্রামের সূত্রপাত ঘটে।
অভিন্ন দেওয়ানী বিধির চেহারা চরিত্র কেমন হবে তা নিয়ে আজ অবধি মাহামান্য সুপ্রীম কোর্ট কোনো স্পষ্ট নির্দেশ বা বক্তব্য রাখেনি।
বিষাক্ত মনোভাবকে প্রতিরোধ করা গেলে আরএসএস পরাস্থ হবে, তখন বিজেপি’ও হারবে, হারবেই।
যখন বাংলার সমাজ ক্রমশ আরও অন্তর্মুখী ও কূপমণ্ডূক হয়ে পড়ছে, তখন নিজের হাতে রোপন করা এই আন্তর্জাতিক চেতনার বীজ তাঁর জন্মভূমিতে আরও শক্ত সমর্থ বৃক্ষে পরিণত হোক, রামমোহন রায়ের জন্মদিনে এই প্রত্যাশায় আসুন আমরা সকলে সহমত হই।