নয়া-ফ্যাসিবাদকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হলে তার পিছনের কারণটিকেও নির্মূল করে দিতে হয়। নয়া-ফ্যাসিবাদের ভিত হল নয়া-উদারবাদ জনিত সংকটের পরিস্থিতি। এই কাজ সহজ নয়, নয়া-ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করার লক্ষ্যে সফল হতে দেশের শ্রমজীবী জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপকতম ঐক্য নির্মাণ করতে হবে।
Category: Home Banner
স্বাধীন ভারতের অর্থনীতি (১ম পর্ব)
দেশজুড়ে কৃষকদের আত্মহত্যার ঘটনা যেমন বাড়ছে তেমনই কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়ে কাজের খোঁজে কৃষক ও খেতমজুরেরা দলে দলে শহরে এসে ভিড় করছেন। তারা বেশিরভাগই আদৌ উপযুক্ত কোন কাজ পাবেন না, উল্টে বেকারবাহিনী ক্রমশ বাড়তে থাকলে মজুরি ও অন্যান্য ন্যায্য সুযোগবিধা আদায়ে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের দর-কষাকষির লড়াইতে মালিকরাই বাড়তি সুবিধা ভোগ করবেন।
দেহাতের ডায়েরি
আজ মনুবাদী বিজেপির নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রয়োগের ফলে আরোও বিপদে পড়বে এই প্রান্তিক পরিবারের সন্তানরা। তাই রুখে দাঁড়ানো। তাই তো এই শিক্ষা বাঁচানো, সংবিধান বাঁচানো, দেশ বাঁচানোর শপথ।
ভারতে সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার প্রথম পর্যায়
যে কাজ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারায় অবহেলিত থেকেছে তাকে জানতে হবে, বুঝতে হবে- আজকের সময়ের জন্য উপযুক্ত পথে সেই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সমাজ ব্যবস্থার বদলই হল মানুষের মুক্তিসংগ্রামের আসল লক্ষ্য – ইতিহাসের এই শিক্ষাকে শাসক লুকিয়ে রাখতে চায়। আমাদেরই সেই কথা প্রচার করতে হবে, তাকে কাজে পরিণত করতে হবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রে বিনাশ (৩য় পর্ব)
২০১৪ পরবর্তীকালে অনেকগুলি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। এই সময়ের মধ্যে হিন্দুস্তান কেবলস কারখানা উঠে গেছে। ২০০২এ উঠে গেছে কন্যাপুর সাইকেল কারখানা। দুর্গাপুর মিশ্র ইস্পাত কারখানাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র জারি রয়েছে। ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই এখনও পর্যন্ত এই কারখানা টিকে আছে। পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ফলশ্রুতিতে বিপন্ন ডিভিসি, বার্নস, ডিএসপি, ব্রিজ এন্ড রূফ।
রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রে বিনাশ (২য় পর্ব)
সারা পৃথিবীর মতোই ভারতেও এই মুনাফার গেছে বড় বড় ফার্মাসিউটিক্যালস কর্পোরেট গুলির ঘরে। ভারত সরকারের অধীনে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলিকে দূরে সরিয়ে রেখে দুটি বেসরকারি কর্পোরেটকে বিপুল পরিমাণ মুনাফার সুযোগ করে দিয়েছে মোদি সরকার। ঠিক যেমন বি এস এন এল কে ৪জি থেকে বঞ্চিত করে রিলায়েন্স সহ বেসরকারি কর্পোরেটের মুনাফার সুযোগ করে দিয়েছে মোদি সরকার।
রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রে বিনাশ (১ম পর্ব)
শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যশালী গণ সংগ্রামের পরিপ্রেক্ষিত নিয়েও শেষ পর্যন্ত ভারতের স্বাধীনতা এসেছিল আপোষের পথে, দেশভাগের পথে। শাসক শ্রেণীর সীমাবদ্ধতার ফলে ভারতে রাষ্ট্র পরিচালিত পুঁজিবাদের সীমাবদ্ধতা থাকলেও স্বাধীন ভারত অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভরতার পথে এগোতে পেরেছিল।
মেঘে ঢাকা তারা
Who said facts are facts? সুতরাং নির্মানই শেষ কথা নয়। প্রকরণ, সত্য, মিথ্যা, আংশিক সত্য, এক সত্যকে অপ্রকাশিত রাখা তার কৌশল। যাই হোক, নির্মাণ নির্ভর করে নির্মাতার শ্রেণী দৃষ্টিভঙ্গির উপর ।
শাসকের স্তাবকতা সাংবাদিকতা নয়
, ‘জার্নালিজম ইজ পাবলিশিং সামথিং সামওয়ান ওয়ান্টস টু হাইড, এভিরিথিং এলস ইজ স্টেনোগ্রাফি’। সাংবাদিকতা হলো সেই সত্যকে প্রকাশ করা যা কোনো ক্ষমতাবান মানুষ লুকোনোর চেষ্টা করছে।
আজকের ভারতে গণমাধ্যমের চরিত্র
আজকের ভারতে আমরা দ্বিবিধ আক্রমণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছি। একদিকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা যার অপব্যবহার করে বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক দল নিজেদের কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আরেকদিকে মুনাফার শৃঙ্খলে সবকিছু জড়িয়ে ফেলায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতাটুকু কার্যত কর্পোরেটদের হাতে সঁপে দেওয়া হয়েছে যার সুবাদে যা কিছুই হোক না কেন, কোথাও কোনও প্রতিবাদ নেই, কোনও বিরুদ্ধ স্বর নেই।