কয়েকটি বুনিয়াদি সত্য আমাদের বারে বারে স্মরণে রাখতে হবে। ‘পুঁজি হচ্ছে মৃত শ্রম’। পুঁজিবাদ চিরকাল ব্যবহার করে মৃত শ্রমকে।

কয়েকটি বুনিয়াদি সত্য আমাদের বারে বারে স্মরণে রাখতে হবে। ‘পুঁজি হচ্ছে মৃত শ্রম’। পুঁজিবাদ চিরকাল ব্যবহার করে মৃত শ্রমকে।
জো বাইডেনের আর্থিক প্যাকেজকে উন্নত ধনতান্ত্রিক দেশে বসবাসকারী বহু বামপন্থী সমর্থন জানিয়েছেন, তৃতীয় বিশ্ব এবং সেখানকার জনসাধারনের উপরে এই প্যাকেজ নীতির ফলে কি দুর্দশা নেমে আসতে পারে সেই নিয়ে এইসব বামপন্থীদের আরও একটু সংবেদনশীল হওয়া উচিত ছিল
শ্রেণীচিন্তাটাকে গুলিয়ে দিতেই একটা সময়ে একাংশের সংবাদমাধ্যম ধারাবাহিক ভাবে প্রচার করতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টালির চালের বাড়ি, মুড়ি খাওয়া, হরিণগাটার দুধের ডিপোতে দুধ বিক্রি করে পড়াশুনা করার মতো গল্পগুলি।এই সংবাদমাধ্যম গুলি কিন্তু এখন একটি বারের জন্যেও মুখ্যমন্ত্রী মমতার নিত্য হেলিকপ্টারে করে এপাড়া থেকে ওপাড়া যাওয়া আসার ঘটনাগুলির কথা বলেই না।
যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষের মাঝে ধনী পুঁজিবাদী দেশগুলির এক শতাব্দীর পর মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সদ্যোজাত সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বলশেভিকরা নিয়েছিল অনেক বেশি বৈজ্ঞানিক, কার্যকরী একটি গণতান্ত্রিক নীতি।
যে কারণে, দারিদ্র ও মহামারির পুঁজিবাদী সমাজের পরিবর্তে আমরা আজও লড়ছি সমাজতন্ত্রের জন্য।
পুঁজিবাদের পতন ঘটিয়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ব্যাতিরেকে সমাধানের অতীত সংকট থেকে মানব সমাজ ও সভ্যতাকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। বিষয়ীগত (Subjective) উপাদানগুলিতে অনেক ধরণের দুর্বলতা বিরাজ করছে, সেই দুর্বলতা অতিক্রম করে দেশে দেশে সমাজতন্ত্রকে জয়যুক্ত করাই একমাত্র বিকল্প। এই লক্ষ্যে প্রতিটি দেশের বাস্তব পরিস্থিতিকে বিশ্লেষণ করেই বিপ্লবের কর্মপন্থা স্থির করতে হবে। সমস্ত ধরণের সংগ্রামের সুযোগকে কাজে লাগিয়েই এই লক্ষ্যে ধৈর্যের সাথে এগিয়ে চলা ছাড়া কমিউনিস্টদের সামনে অন্য কোন বিকল্প নেই। এই কর্তব্য পালনে কমরেড লেনিনের শিক্ষা অমূল্য সম্পদ। বর্তমান পরিস্থিতি, এই যুগ সন্ধিক্ষণে কমরেড লেনিন আজ আরও প্রাসঙ্গিক।
একাংশের পত্রপত্রিকাতে ইতিহাস চর্চার নামে অপইতিহাসকেই নিজস্ব আঙ্গিকের সন্দর্ভ দিয়ে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।রবীন্দ্রনাথ থেকে অন্নদাশঙ্কর, কাজী আবদুল ওদুদ, রেজাউল করীম, অমর্ত্য সেন – সকলেই,মিছে হাসি খেলা, প্রমোদের ও মেলা , শুধু মিছে কথার ছলনা।এঁদের কাছে বামপন্থীদের উদ্দেশে কেবল অনুষ্টুপ ছন্দে অভিশাপ ই নির্গত হবে;” মা নিষাদ প্রতিষ্ঠাং ত্বমগম।” এঁদের কাছে একমাত্র কাম্য হল, যে কোনো উপায়ে মমতার পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
ভারতে জাতিভেদ প্রথা কিভাবে কার্যকর তা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে যথাযথ তাত্বিক বোঝাপড়া গড়ে উঠবে যদি আমরা তাদের রোজকার জীবন সংগ্রামের সাথে যুক্ত হতে পারি। সেই বৃহত্তর ঐক্যের জন্য বিভিন্ন গনসংগঠনের মাধ্যমে তফসিলি এবং দলিত সম্প্রদায়ের সাথে যথোপযুক্ত যোগাযোগ বজায় রেখে সঠিক রাজনৈতিক ইস্যুকে সামনে এনে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি। সেই লক্ষ্যে এগোতে নতুন পরিপ্রেক্ষিত তৈরি হয়েছে। সেই সুযোগকে কার্যকরী করে তোলার দায়িত্ব আমাদের। এই প্রবন্ধে উল্লিখিত তিনটি লড়াইয়ের প্রসঙ্গ এবং সামাজিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে অন্যান্য সমস্ত ন্যায্য দাবীর ভিত্তিতে এক বিপ্লবী সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অ্যাজেন্ডাকে সামনে রেখে আমাদের এগোতে হবে।
নয়া উদারবাদী নীতি সবচেয়ে বড় আঘাত হেনেছে দলিতদের উপরেই। নয়া উদারবাদী নীতির বিরুদ্ধে যাবতীয় আন্দোলন-সংগ্রামে এই কারণেই দলিতদের বিভিন্ন অংশের আন্দোলন-সংগ্রাম এসে যুক্ত হচ্ছে।
আদি বনাম নব বিজেপির সংঘাত দেশজুড়ে গৌতম রায় পশ্চিমবঙ্গের চলতি বিধানসভার ভোটে বিজেপি কে নিয়ে গোটা দেশেই একটা চাঞ্চল্য তৈরি