আর্থিক ক্ষতির প্রভাব অবশ্যই সার্বিক, যদিও মুনাফা কামানোর পথে উৎপাদন করতে বা যোগান (পণ্য বা পরিষেবা) দিতে শ্রমের ভূমিকা এখনও সামাজিক! মুনাফার খোঁজে নির্লজ্জ পুঁজিবাদের চরিত্র বর্ণনা করতে ঠিক মার্কস যেমনটা বলেছিলেন। সেই লেখার ধাক্কায় পুঁজিবাদ তাই আজও কমিউনিজমের ভূত দেখছে বৈকি!
Tag: Economy
কোভিড প্যাকেজ ও তার বিপদ
জো বাইডেনের আর্থিক প্যাকেজকে উন্নত ধনতান্ত্রিক দেশে বসবাসকারী বহু বামপন্থী সমর্থন জানিয়েছেন, তৃতীয় বিশ্ব এবং সেখানকার জনসাধারনের উপরে এই প্যাকেজ নীতির ফলে কি দুর্দশা নেমে আসতে পারে সেই নিয়ে এইসব বামপন্থীদের আরও একটু সংবেদনশীল হওয়া উচিত ছিল
অনবধানতার রাজনীতি
সরকারী ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে সুদ কমলে কি হয়? অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চিন্তায় জনসাধারণ সরকারী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে অধিক সুদের ফাঁদে পড়ে বেসরকারি বিভিন্ন ফান্ডে (চিট ফান্ড যার মধ্যে অন্যতম) আমানত জমা করবেন। সেই সব বেসরকারি হাতে আমানত কতদূর সুরক্ষিত তা সবার জানা। আমাদের রাজ্যেই সারদা কেলেঙ্কারির সাম্প্রতিক উদাহরণ রয়েছে। বাজারে সংকট, বহু কর্পোরেট সংস্থা সরকারী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়ে গেছে – এই অবস্থায় জনসাধারনের সঞ্চিত অর্থকে ঘুরপথে বাজারে পূঁজির যোগান হিসাবে পরিণত করতে চাইছে মোদী সরকার। সারা দেশে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন চলছে – এই অবস্থায় এমন বিজ্ঞপ্তি ক্ষমতাসীন দলের প্রতি জনরোষের জন্ম দেবে এটুকু বুঝতে মোদী সরকার অনবধানের ভুল করতেই পারে না। জনসাধারনের অর্থকে বিভিন্ন পন্থায় কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া যাদের ধারাবাহিক কর্মসূচী সেই সরকার এমন সিদ্ধান্ত পুনরায় কার্যকরী করতে পারে এই কথা সবাইকেই মাথায় রাখতে হবে, নির্বাচনের সময় বলেই এমন সন্দেহ আরও বেশী কার্যকর।
সাম্প্রদায়িকতা এবং শ্রমিক শ্রেণীর লড়াই
স্বাধীনতাপূর্ব বোম্বেতে শ্রমিকশ্রেণীর লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস বলতে গিয়ে কমরেড বি টি রণদিভে যা বলতেন আজ আরও একবার সেই একই প্রেক্ষিত আমাদের সামনে হাজির হয়েছে। আজকের দিনে শ্রমিকশ্রেণীর চেতনায় আর শুধু দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ধারণার চক্রাকার লড়াই চলছে না, প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে শ্রমিকশ্রেণীর ঐক্য এবং গোটা দেশের সমাজে সর্বাঙ্গীণ সম্প্রীতি ভাঙ্গার কাজে সাম্প্রদায়িক হিংসাকে কাজে লাগাচ্ছে, সেই কাজে নয়া উদারবাদের আঘাতে দুর্বল শ্রমিকসংগঠনের কাঠামো সহায়ক ভূমিকা নিচ্ছে।
বর্তমান কৃষক আন্দোলনঃ এক সুসংহত বিকল্পের লক্ষ্যে আগামী দিনের লড়াই
ভারত এক বিরাট দেশ, এর বিভিন্ন প্রান্তের বৈচিত্র্যময় বাস্তবতাকে আলোচনায় গুরুত্ব না দিয়ে আন্দোলন সামনের দিকে এগোতে পারবে না। নিজেদের অস্তিত্বরক্ষার আন্দোলনে অগ্রাধিকার দিয়ে উক্ত সমস্যাবলী সম্পর্কে সমাধানের লক্ষ্যে এক সুস্থিত কৃষি অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে যা ভারতের সাধারণ অর্থনীতির মেরুদন্ড হিসাবে কাজ করবে। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাবার পথে জনগণের অন্যান্য অংশকেও এই লড়াইয়ের সাথী করে নিতে হবে, তবেই এই লড়াই এক সার্বিক গণআন্দোলন হিসাবে সার্থক হয়ে উঠবে। আজকের কৃষক আন্দোলন সেই প্রকৃত বিকল্পের দিশা সম্পর্কে ইতিমধ্যেই অনেককে স্বপ্ন দেখাতে সমর্থ হয়েছে।
জিডিপি'র স্বাস্থ্যোদ্ধার সম্পর্কে সরকারি উচ্ছাস ও বাস্তবতা প্রসঙ্গে
জিডিপি’র দ্বিতীয় ভাগের খতিয়ান এবং সম্ভাব্য ফলাফল – একটি পর্যালোচনা প্রভাত পট্টনায়েক মূল নিবন্ধটি পিপলস ডেমোক্র্যাসি পত্রিকার ৬ই ডিসেম্বর,২০২০ সংখ্যায়