Atanu Hui

হিন্দুত্ব জাতীয়তাবাদ ও আজকের ভারত

ব্যক্তি রাষ্ট্রের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে। কিন্তু সেই ব্যক্তির জীবনধারা রাষ্ট্রের নিরিখে গুরুত্ব পায় না। কারন বুর্জোয়া জাতীয়তাবাদে ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের পৃথক সত্ত্বা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কাজেই গড়ে তুলতে চাওয়া হিন্দু রাষ্ট্র ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছা নিরপেক্ষ হযে দাঁড়ায়।

History and Rationality

ইতিহাস বিকৃতি বনাম যুক্তিবাদ

, ‘এখন ইতিহাস চর্চার নামে পৌরাণিক নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।’ যে হিন্দু রক্ষক শক্তি হিন্দুর হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য অন্যের ঘর ভাঙতে পিছপা হয় না, তারা কি হিসেব রাখেন কতগুলো বৌদ্ধসঙ্ঘ ভেঙেছিল হিন্দু ব্রাহ্মণরা?

Kakababu 2022 1

সাম্প্রদায়িকতার বিষম পরিণাম

এই করে দেশের সর্বসাধারণের সর্বনাশ করা হচ্ছে। এদেশের যুবকগণ দেশের মুক্তির জন্যে কম নিগ্রহ ভোগ করেননি। ফাঁসিকাঠে ঝুলে আপনাদের প্রাণ তাঁরা হাসিমুখে বলি দিয়েছেন, কারাবরণ তাঁরা করেছেন এবং আরো কত প্রকারে যে নির্যাতিত তাঁরা হয়েছেন কে তার খবর রাখে। কিন্তু বর্তমানে দেশের এ দুর্দিনে তাঁদের কি কোনো কাজ নেই করার?

PB Statement

পলিট ব্যুরোর বিবৃতি

সদ্য সমাপ্ত ২৩তম পার্টি কংগ্রেসের পরে নবগঠিত পলিট ব্যুরোর এটিই প্রথম বৈঠক। কাজ এবং দায়িত্ব বণ্টন সংক্রান্ত আলোচনায় যা নির্ধারিত হয়েছে সেইসব এই বছর ১৮-১৯ জুন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বিবেচনার জন্য পেশ করা হবে।

শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য জনগণের উদ্দেশ্যে যৌথ আবেদন

আমাদের দেশ তখনই সমৃদ্ধ হবে যদি এটি তার বহু বৈচিত্র্যকে পূর্ণ মাত্রায় সম্মান জানায়, নিজের অন্তরে স্থান দেয় এবং সমবেত অস্তিত্বকে উদযাপন করে।

PB Statement

সাম্প্রদায়িক উস্কানি বন্ধ হোক

আরএসএস- সংঘ পরিবার কর্তৃক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রচারের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় উৎসবের সুযোগ নেওয়ার নিন্দা জানাচ্ছে সিপিআই(এম)। শান্তি বজায় রাখা ও ধর্মের নামে মানুষকে বিভক্ত করার চক্রীদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করতে সকল শ্রেণীর মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছে সিপিআই(এম)। শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সারা দেশে পার্টির সকল ইউনিটকেই যথাযথ কর্মসূচি গ্রহনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

PB Statement

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা - পলিট ব্যুরোর বিবৃতি

কয়েক শতাব্দী ধরেই নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাস নির্বিশেষে দুর্গাপূজাকে বাঙালি মানুষজন সম্প্রীতির উৎসব হিসাবে পালন করে এসেছেন। বাংলাদেশও বরাবর সেই ঐতিহ্যই পালন করে। সিপিআই(এম)-এর পলিট ব্যুরো প্রত্যাশা রাখছে সেই ঐতিহ্য বজায় থাকবে এবং আরও শক্তিশালী হবে।

পশু শক্তির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ের পাশাপাশি সংগঠিত করতে হবে সামাজিক আন্দোলনকে

গান্ধীহত্যাকারীরা যখনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়েছে নানা ছুতো নাতায় জয়ললিতা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আঞ্চলিক ও কায়েমী স্বার্থবাহী শক্তি তাদের কাছাকাছি চলে এসেছে। মুখে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে সাম্প্রদায়িক বিজেপির সঙ্গে ক্ষমতার মৌতাত নিতে কেন্দ্র বাজপেয়ী মন্ত্রীসভার সদস্য হতে মমতার এতোটুকু সমস্যা হয় নি। বিমুদ্রাকরণের জেরে নিজের এবং নিজেদের লুম্পেন ক্যাপিটাল অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় মমতা অপসারণ চেয়েছেন মোদির, তাবলে গান্ধী হত্যাকারী বিজেপির অপসারণ একটি বারের জন্যেও চান নি। বরং মোদির বদলে আডবানী বা জেটলির মতো বিজেপি নেতারা প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁর কোনোই আপত্তি নেই-তা প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। আর তার বিনিময়ে গান্ধীহত্যাকারী আর এস এস ‘র বর্তমান প্রধান মোহন ভাগবত খোদ কলকাতার বুকে সভা থেকে মমতা বা তাঁর “গরমেন” কিংবা তাঁর দল সম্পর্কে সম্পুর্ণ নীরব থেকে উভয়ের বোঝাপড়ার মাত্রাটিকে পরিস্কার করে দিয়ে গিয়েছেন।এই অমানিশার অবসানে সমস্ত গণতন্ত্রপ্রিয়, ধর্মনিরপেক্ষ মানুষকে আজ প্রত্যয়ে দৃঢ় হতে হবে।সাম্প্রদায়িক এবং অগণতান্ত্রিক পশু শক্তির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ের পাশাপাশি সংগঠিত করতে হবে সামাজিক আন্দোলনকেও।