ভারতের জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের প্রেক্ষিতে সীতারাম ইয়েচুরির প্রতিক্রিয়া

বিপুল প্রচারের ধাক্কায় আলোয় আনা “দ্য নেশন” – শিরোনামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন তীব্র মন্তব্যের প্লাবন তুলে বিবৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, সিপিআই(এম)’র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি সেই প্রসঙ্গে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সুনির্দিষ্টভাবে বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে তিনি করোনা নামক বিশ্বব্যাপী বিভীষিকার প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় সরকারের আন্তরিকতাকেই প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছেন।

“অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, প্রধানমন্ত্রী নিজের বহুল বিজ্ঞাপিত বিবৃতিতে করোনা ভাইরাসের মহামারির বিরুদ্ধে জনগনকে সাহায্য করতে সরকারের প্রস্তুতি এবং পদক্ষেপের সেভাবে কোন উল্লেখই করলেন না।

নিজস্ব বক্তৃতায় প্রতীকি প্রকল্পনার প্রস্তাব জূড়ে দেওয়া ব্যাতিত, রোজকার জীবন চালাতে ভারতবাসীদের সেই বিপুলাংশ যারা দিন আনে দিন খায় এবং যাদের জন্য “ওয়ার্ক ফ্রম হোম” বা “ঘরে বসে কাজ করুন” আদৌ প্রযোজ্য নয় - সেইসব মানুষ যেভাবে সংকটের মুখে পড়েছে সেই সংকট প্রশমিত করতে সরকার কি করতে চায়? করোনা ভাইরাসের আক্রমনের আগে তারা ইতিপূর্বেই চলতি অর্থনৈতিক মন্দার জ্বলন্ত প্রকোপে আক্রান্ত।

সরকারি নির্দেশনায় কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে গরীব এবং প্রান্তিক জনতাই যে সর্বাপেক্ষা বেশি ভুক্তভোগী হবে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
জনগণের প্রান্তিক অংশের জন্য উদ্বৃত্ত খাদ্যসশ্যের যোগান দেওয়ার ব্যাপারে সরকার কি পদক্ষেপ নিয়েছে?

জনস্বাস্থের উপর নেমে আসা সংকটের মোকাবিলার ক্ষেত্রেই শুধু নয় কেরালার বামফ্রন্ট সরকার গরীব জনতার দুর্দশার উপশম করতে প্রয়োজনীয় ত্রানের ঘোষণাও করেছে।

কেরালায় আজকেই ২০০০ কোটি টাকার পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে, বিনামুল্যে সবার জন্য একমাসের খাদ্যের যোগানের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। অবসরকালীন ভাতাপ্রাপ্তদের সাথে অটো এবং বাস মালিকদের জন্যেও ক্ষতিপূরণ করতে ত্রানের ঘোষণা হয়েছে।

সারা দেশের জন্যেও ঐ একই ধরনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রী কোন ঘোষণা করলেন না কেন? এই “জনতা কার্ফ্যু” একটা জিজ্ঞাসাচিহ্ন বজায় রেখেই দিচ্ছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনপিআর’র তৈরির কাজ যা আবার কেন্দ্রীয় সরকারের হলফনামা অনুযায়ী এনআরসি’র সাথে সংযুক্ত, তা কি চলবে? প্রধানমন্ত্রী এই নিয়ে নীরব কেন?”


শেয়ার করুন

উত্তর দিন