আমরা নির্যাতিত মানুষকে ভরসা দিতে চাইছি।

আমরা নির্যাতিত মানুষকে ভরসা দিতে চাইছি।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার কাছে অন্তত এই বার্তা পৌঁছানো দরকার যে, রাজ্যবাসীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবার অধিকার তাকে কেউ দেয়নি।
দাঙ্গাবাজ-লুটেরাদের পঞ্চায়েত থেকে হটাও, মানুষের পঞ্চায়েত গড়ে তোলো।
এই নির্বাচনে মানুষ নিজের অধিকার প্রয়োগ করবেন নিজেদের হিম্মৎ সম্বল করে।
যে কোনও ভাবে টাকা জোটাও — এই সংস্কৃতি এসেছে মূলত অনিশ্চয়তা থেকে। ‘অনুপ্রেরণা’ পেয়েছে তৃণমূলের নেতাদের। সামগ্রিকভাবে যা ছিল গনতন্ত্রের এক দৃষ্টান্ত তা দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
যখন ভোটগণনা হচ্ছে, সেখানেও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের দেখা গেছে ছাপ্পা দিচ্ছে প্রকাশ্যে, ক্যামেরার সামনে। হিংসার প্রতিক্রিয়ায় রেহাই পাননি তৃণমূলও। গ্রামবাসীদের প্রতিরোধে অন্তত ৭জন তৃণমূলকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
গ্রামের গরিব মানুষ কাজ পাচ্ছেন না। খাতায় কলমে দেখানো হয়েছে কাজ চলছে। ওই প্রতিনিধি দল দেখেছেন যে, কত কাজের দাবি আছে এবং কত কাজের মাস্টার রোল তৈরি হয়েছে তার কোনও হিসাবই সঠিকভাবে রাখা হয় না। অর্থাৎ মাস্টার রোলেই গোঁজামিল।
প্রশ্ন জাগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামানায় ঘুষের বিনিময়ে পরীক্ষায় ফেল করা সাদা খাতা জমা দেওয়া টাকার বিনিময়ে বদলি হওয়া এইসব শিক্ষকরা কি শিক্ষা ছাত্রদের দিয়েছে?
ফেটে পড়া জনগণের ক্ষোভের মুখোমুখি কোনও গুণ্ডা, কোনও গুণ্ডামি এক মিনিটের বেশি দাঁড়াতে পারে না, তখন উল্টোদিকে দৌড়তে হয়… হবে, হবেই।
লড়াই এখনও চলছে। সুবিচার না পাওয়া অবধি আমি সেই লড়াইতে থাকব।