সমাজতন্ত্র নির্মাণের পথে কার্যকরী পূর্বশর্ত হিসাবে মার্কস-এঙ্গেলস দুজনেই শ্রমিক-কৃষক জোটের পক্ষেই ছিলেন।

সমাজতন্ত্র নির্মাণের পথে কার্যকরী পূর্বশর্ত হিসাবে মার্কস-এঙ্গেলস দুজনেই শ্রমিক-কৃষক জোটের পক্ষেই ছিলেন।
অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ সেন সারা জীবন শ্রমজীবী গরীব জনগণের স্বার্থরক্ষায় কাজ করে গেছেন। এই কাজের মাধ্যমেই তিনি প্রগতিশীল দর্শনকে উর্ধে তুলে ধরেছেন। তার স্ত্রী জয়তী ঘোষ, কন্যা জাহ্নবী সহ পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েই তাকে স্মরণ করেছে সিপিআই(এম)।
আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে কৃষকদের আন্দোলন-সংগ্রাম এক নতুন নজির রেখেছে। এই আন্দোলন সরাসরি বিজেপি সরকারের নীতির বিরোধিতার পাশাপাশি সরকার বদলে দিতে প্রত্যক্ষ সংগ্রামের আহ্বানও জানিয়েছে। নয়া-উদারবাদ বিরোধী আন্দোলনে এমন রণকৌশল অভূতপূর্ব
বর্তমান সরকারের আমলে জনগনের জীবন-জীবিকার উপরে নেমে আসা আক্রমনের প্রতিরোধে সংগ্রামী ঐক্য এবং উপযুক্ত নমনীয়তা কতটা কার্যকর হতে পারে তার উজ্জ্বল উদাহরণ হল কৃষকদের আন্দোলন। জাতি এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যেকার ব্যাবধান পিছনে ফেলে রেখে গণতান্ত্রিক অধিকার সমুহের উপরে আক্রমনের প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে যেকোনো বাধা পেরিয়ে যাওয়া যায় এই আন্দোলনের জয় সেকথাই উর্ধে তুলে ধরছে।
। সরকারের তরফে জানানো মৌখিক আশ্বাসের ক্ষেত্রে এবং সেই আশ্বাসের ভরসায় নিজেদের আন্দোলন থেকে পেছিয়ে আসার ক্ষেত্রে দেশের কৃষক ইউনিয়নগুলির পূর্ব অভিজ্ঞতা খুবই তিক্ত, এর আগে এধরণের মৌখিক আশ্বাসের ন্যুনতম মর্যাদাও রক্ষিত হয় নি। তাই যথাযথ প্রত্যুত্তর না মেলা অবধি আমরা নিজেদের অবস্থান বদলাচ্ছি না – আজকের সভায় কৃষকরা এই কথাই জানিয়েছেন।
ন্যুনতম সহায়ক মুল্য হল সেই ব্যবস্থা যার কারনে কেন্দ্রীয় খাদ্যভান্ডারে খুব বেশি প্রভাব না ফেলেই সারা দেশজূড়ে ফসল বিক্রির ক্ষেত্রে কৃষকদের লাভজনক দাম পাওয়ার নিশ্চয়তা বজায় থাকে। ফসলে সহায়ক মূল্য বাড়ানো হলে সরকারী গুদামে চাপ বেশি না বাড়িয়েও কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পায়। ঐ তিনটি রাজ্য (পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশ) বাদে সারা দেশে নিজেদের গুদাম স্থাপনের কাজে এফসিআই’র অকর্মণ্যতা নিশ্চই রয়েছে। সেই কারনেই কয়েকটি রাজ্য সরকার খাদ্য মজুত করার কাজে নিজস্ব সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাতে বাধ্য হয়েছে। যেখানেই রাজ্য সরকারের সংস্থাগুলি সেই কাজ পরিচালনা করেছে, মজুতের কাজে খুব সফল না হলেও এদের কারনেই সেই সব রাজ্যে কৃষকরা লাভজনক আয় করতে পেরেছেন। তাই উচিত হবে গুটিকয়েক রাজ্যে নিজেদের কাজে পরিধিকে সীমাবদ্ধ না রেখে সর্বভারতীয় স্তরে এফসিআইকে আরও সক্রিয় করে তোলা অর্থাৎ কেন্দ্রীয় খাদ্য মজুত প্রক্রিয়াকে আরও বিস্তৃত করা।
স্বাধীনতার আগে পরে ভারতে এতবড় কৃষক আন্দোলন কখনো হয় নি, এতগুলি সংগঠন একসাথে মিলে আন্দোলন পরিচালনার কাজও নজীরবিহীন। একইসাথে এই কৃষক আন্দোলন দেশের মানুষের বিভিন্ন দাবিসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলার কাজেও রাস্তা দেখাচ্ছে – প্রতিদিন আন্দোলনে দেশের মানুষের বিভিন্ন অংশ যুক্ত হচ্ছেন, শ্রমিক সংগঠনগুলি প্রথম থেকেই এই লড়াইতে পাশে রয়েছে। দেশজূড়ে সফলভাবে পালিত হচ্ছে রেল রোকো, ধর্মঘট। এই প্রথম ভারতে কর্পোরেট বিরোধী আন্দোলন এমন মাত্রায় সংগঠিত হয়েছে -সেই কাজে প্রথম রাস্তায় নেমেছে কৃষকরাই, এমনকি লকডাউনের বিধিনিষেধ অগ্রাহ্য করেই।
একশো জনেরও বেশি প্রত্যক্ষদর্শী চারজন কৃষক এবং এক সাংবাদিককে গাড়ি চালিয়ে পিষে মারার ঘটনায় আশীষ মিশ্রকে সনাক্ত করেছেন, তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ইউপি পুলিশের উচিত ছিল তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা, কিন্তু তিনি এখনও অবাধে ঘোরাফেরা করছেন।
যে নয়া তিন কৃষিআইনের বিরুদ্ধে কৃষকরা সংগ্রাম করছেন সেগুলির লক্ষ্য কৃষক নির্ভর কৃষিব্যবস্থাকে একচেটিয়া পুঁজির দখলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া। এই তিন আইনের আগে মোদী সরকার শ্রমিক বিরোধী আইন প্রণয়ন করেছে যা শ্রমিক সংগঠনের গুরুত্ব কমিয়ে দেবার সাথেই শ্রমিকদের উপরে শোষণের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। আজকের দুনিয়ায় শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বে শ্রমিক-কৃষক জোটের লড়াই শুধুই কৃষকদের অসমাপ্ত গণতান্ত্রিক আশা-আকাংখা পূরণে জমিদারতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই না; এই সংগ্রাম শ্রমিকশ্রেণী এবং কৃষক উভয়েরই শোষণমুক্তির লড়াই। তারা উভয়েই একইসাথে আন্তর্জাতিক লগ্নী পুঁজির আক্রমণের শিকার, দেশীয় একচেটিয়া পুঁজিপতিদের হাতে শোষণ সেই মুল প্রক্রিয়ারই অংশ।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার নিজের ছেলে জড়িত, ঘটনার পরে তিনি কৃষকদেরই দোষারোপ করে এহেন নৃশংসতাকে সমর্থন করেছেন। সাইরেন বাজিয়ে কৃষকদের সমাবেশে গাড়ি চালিয়ে তাদের হত্যা করার স্পষ্ট প্রমাণ হিসাবে ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং রয়েছে। এই ঘটনায় আহত এবং নিহতদেরকে “বহিরাগত” বলে অভিযুক্ত করার পাশাপাশি নিজেকে এবং তার আত্মীয়দের রক্ষা করার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের “খালিস্তানি” বলে দাবি করেছেন তিনি।