সৌভিক ঘোষ
আইনি পরিভাষা কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রসঙ্গে সুস্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা যতই জটিল হোক না কেন, দুপাতা চোখ বোলালেই বোঝা যায় ব্রিটিশ ভারতে আইন পড়ার অমন ধুম কেন হয়েছিল। সাদা চামড়ার শাসক শুধু যে নির্লজ্জ্বের ন্যায় লুট করেছিল তাই না, লুটের বন্দোবস্ত পাকা করতে যথাবিহিত বিধিনিষেধও জারী করেছিল। আর তাই নীল চাষের ইতিহাস কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা চলার সময় ব্রিটিশ পক্ষের হয়ে সওয়ালের দিকে আজও ফিরে তাকানো যায় না।
তৎকালীন ভারতবাসী লু শ্যুনের লেখালেখি কতটা কি পড়তেন জানার সুযোগ কম। তাই ভোটের বাজারে রিসার্চের কাজের বোঝা সরিয়ে রেখে কিঞ্চিত হালকা চালে সামনে এগোনোর চেষ্টা হোক! অন্তত তার একটি অমোঘ উক্তি আমরা আরেকবার বিড়বিড় করতেই পারি- সমস্ত প্রাণীর মধ্যে মশাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, কারণ মশা শুধু রক্তপান করে না, তার স্বপক্ষে যুক্তিও হাজির করে! ইংরেজি ভাষার মাধুর্য বলে আজও একটি কথা চালু রয়েছে, এমনকি বিদ্বজ্জন বলে পরিচিতদের সামাজিক গণ্ডির বাইরেও তার কদর হয়। এক পক্ষ সেসব বুঝে মাথা নাড়েন, আরেকদিকে জোরে জোরে মাথা নড়ে উঠে বুঝিয়ে দেয় ঐ অলংকারের ভারে আমাদের ঘাড়ে ঝংকার ওঠাই তো দস্তুর। তাও স্বাধীনতার পর থেকে নরমে গরমে একরকম যা হোক চলছিল। বাধ সাধলেন দেশের সংসদে রীতিমত বাগ্মী হিসাবে পরিচিত প্রয়াত অরুণ জেটলি!
কিভাবে?
সকাল থেকেই যা নিয়ে বসন্তের হাওয়া উষ্ণতায় আক্রান্ত তার নাম নির্বাচনী বন্ড।
স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে সরকারী ক্ষমতার জোরে লুটের এহেন আইনি বন্দোবস্ত আর দুটি নেই।
২০১৯ নাগাদ তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি নির্বাচনী বন্ডের পক্ষে বক্তৃতা করেছিলেন। আজকের আবহাওয়ায় যেভাবে জরুরী সব তথ্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাতে অনেকেই হয়ত সেকথা ভুলে যাবেন। তবু মনে করিয়ে দেওয়া গেল অন্তত খাতায় কলমে মানে সংসদের প্রসিডিংস কিছু একটা এখনও রয়েছে। অতদুর যদি নাও ভাবতে পারেন তাহলে পুরানো পেপার কাটিংস কিংবা মোবাইলের স্ক্রিনশট’ও একই মাত্রায় কার্যকরী।
কি বলা হয়েছিল?
জেটলি শুরুই করেছিলেন অটল বিহারি বাজপেয়ির প্রসঙ্গে। প্রথম এনডিএ সরকারের আমলে পাশ করা আইনে রাজনৈতিক দলের তহবিলে চাঁদা দিলে দাতাকে আয়কর ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়। করছাড়ের সুযোগ দিতে আয়কর আইনে এহেন দানকে কোম্পানি’র হালখাতায় (ব্যালেন্সশিট) যথাবিহিত ব্যয় (এক্সপেন্ডিচার) হিসাবে গন্য করার নিয়ম হয় তখনই। বলা হল রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের তহবিল সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিত ও জনসমক্ষে (পড়ুন নির্বাচন কমিশন ও আয়কর দপ্তর) প্রকাশ করবে, তাতেই নাকি দেশের রাজনীতিতে কালো টাকা (ব্ল্যাক মানি)-র প্রভাব ক্রমশ কমবে, একসময় নিস্প্রভ হয়ে যাবে। বাজপেয়ীর আমলে সেই কাজ শুরুও হয়, অবশ্য কিছুদিন পরে মহান দাতাগন (পড়ুন কর্পোরেটরা) নিজেদের পবিত্র কর্তব্যে অবহেলা করতে শুরু করেন!
আর তাই নির্বাচনী বন্ডের ব্যবস্থা একান্ত প্রয়োজনীয়।
জেটলির পরের কথাবার্তা আরও উৎসাহব্যঞ্জক!
তিনি বলেন- আমি বিশ্বাস করি অনলাইন কিংবা চেক মারফৎ নির্বাচনী তহবিলে অর্থদানের এই ব্যবস্থা আমাদের দেশের জন্য আদর্শ! এখুনি হয়ত ব্যাপারটা খুব একটা জনপ্রিয় হচ্ছে না, কিন্তু তার কারণ এটাই যে চলতি বন্দোবস্তে দাতার নাম, ধাম পরিচিতি প্রকাশ্যে চলে আসছে।
পাঠক উপরের কথাগুলি আরও একবার, দুবার পড়ে দেখতে পারেন। জেটলির বক্তব্যেই আজকের পরিস্থিতির গোড়াটি লুকিয়ে রয়েছে। তিনি বলছেন নির্বাচনী বন্ড খুব একটা জনপ্রিয় হচ্ছে না কারণ তাতে অর্থসাহায্য করছেন যিনি তার নাম, ধাম জেনে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে!
গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বন্ড সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের রায় গোটা দেশ জেনেছে। নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থা আগাগোড়া অসাংবিধানিক। এতে নাগরিক অধিকার’কে সরাসরি অগ্রাহ্য করা হয়েছে। কোন রাজনৈতিক দলের তহবিলে কে বা কারা পয়সা যোগাচ্ছে দেশের সংবিধান প্রত্যেক ভারতবাসীকে সেকথা জানার অধিকার দিয়েছে।
স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া প্রথম থেকেই টালবাহানা দেখিয়ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সঠিক তথ্য প্রকাশ করায় তাদের সমুহ অযোগ্যতায় যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলের সভাপতি আদিস আগরওয়াল। তিনি নিজের উদ্যোগে দেশের রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে রায়দান স্থগিত রাখতে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছিলেন। গতকালও সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে কেতাদুরস্ত বাগ্মীতার (রেটোরিক) উদাহরন রেখেছেন, যদিও প্রধান বিচারপতি তাকে একেবারেই পাত্তা দেননি। এসবিআই এতদিনে কি কি করল? একবার তারা বলে একাজে যথেষ্ট সময় চাই, পরে আদালতের নির্দেশে বাধ্য হলে তথ্য প্রকাশ করে কিন্তু ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর ছাড়াই।
এতে কি অসুবিধা?
একটি তালিকায় রয়েছে কারা, কোন কোন তারিখে কত টাকার বন্ড কিনেছে, আরেকটিতে রয়েছে কারা, কোন কোন তারিখে কত টাকা নিজেদের তহবিলে ঢুকিয়েছে। কিন্তু কে কাকে টাকা দিল সেইটুকু এসবিআই জানায়নি! বাড়ির বড়রা ‘কি করেছিস বল’ গোছের ধমক দিলে শিশুও বোঝে সবটা বলতে হয়, এসবিআই নাকি তাও বোঝে না। তারা জানিয়েছে ঐ তথ্যও তাদের ‘রেডি’ই আছে। অসুবিধা একটাই, সুপ্রিম কোর্টের রায় পড়ে তারা বুঝতে পারেনি ওটাও একইসাথে প্রকাশ করতে হবে!
শব্দার্থে না, বুৎপত্তির অনুসরণে অর্থাৎ প্রকৃত অর্থে শাস্ত্রী হেমন্ত গঙ্গোপাধ্যায় স্মরণে রাখতে বলেছিলেন- ‘আমার বাইরে জগতের অস্তিত্ব সম্বন্ধে নিশ্চিত প্রমাণ হল মানুষের ভাষা। শুধু “আমি আছি” এই যদি নিঃসন্ধিগ্ধ্ সত্য হয় তাহলে এই সত্যটি ‘অন্যকে’ বোঝাবার জন্য এত প্রচেষ্টা কেন, কথা বলা কেন, পুঁথি লেখাই বা কেন? মানুষের ভাষাগত চেতনার দার্শনিক গুরুত্ব বস্তুবাদী দর্শনের পক্ষে এক বলিষ্ঠ সমর্থন। ভাষাকে বাদ দিয়ে চেতনার সৃষ্টি হয়নি। আদিম যুগ থেকেই মানুষ “আত্মা” এক অনস্বীকার্য্য বস্তুর ভারে “প্রপীড়িত”, এই বস্তু হ’ল আলোড়িত বায়ুস্তর, শব্দ, সহজ কথা ভাষাই হল মানুষের ব্যবহারিক চেতনা। বক্তা ছাড়াও শ্রোতা আছে বলেই ভাষার সার্থকতা। ভাষা অন্যের জন্য ব্যবহৃত হয় বলেই আমার জন্যও ব্যবহৃত হয়।’
আজকের কেতায় যাকে এফেক্টিভ কমিউনিকেশন বলে তার আসল কথা একই। অর্থাৎ সামনের জনের অস্তিত্ব নিরপেক্ষ হয়ে কথা বলা চলে না। যদি গায়ের জোরে অমন চলন শুরুও হয় তবে সে চাল আমাদের যে জায়গায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করায় তাকেই আজকের ভারতে সর্বোচ্চ আদালত বা সুপ্রিম কোর্ট বলে।
যা চলছে তার কারণ বিশ্লেষণে কেউ কেউ অ্যানোম্যালি (অনিয়ম)-র দোষ খুঁজতেই পারেন, দেশের সংবিধান সেই স্বাধিনতাও আমাদের দিয়েছে। কিন্তু আসল কথাটি অন্য।
গোটা বিষয়টা ঘুরেফিরে সেই সম্পদ, সম্পত্তির উপরে ভোগদখল কায়েম রাখার ব্যাপার। ব্যাক্তি মালিকানার অধীনস্থ বলেই সম্পত্তির পবিত্র অধিকার আজ সম্পত্তি গোপন রাখার অধিকারে পর্যবসিত। আর কে না জানে, ঘোষিত হোক বা লুকিয়ে রাখা, সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণে আধুনিক ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার জুড়ি নেই। তাই স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার এহেন আচরণ।
এই বন্ড চালু হওয়ার পর থেকে যত অনুদান জমা হয়েছে তার ৯৪ শতাংশই এক কোটি বা তার চেয়ে বেশি অর্থমূল্যের। সমাজের সবচেয়ে ধনী অংশ (কর্পোরেটরা) কাদের সাহায্য করবে এটুকু বুঝতে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না।
সিপিআই(এম)-র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ইতিমধ্যেই ট্যুইট মারফৎ জানিয়েছিলেন এই পরিস্থিতিতে জনসাধারণের চোখ, মন ও মগজ ঘুরিয়ে দিতে সর্বতো প্রচেষ্টা চলবে। কমরেড জ্যোতি বসু একটা কথা বলতেন- মানুষের লড়াইকে অন্ধকারে রাখতে শাসকশ্রেনির অনেক কৌশল রয়েছে। কন্সপিরেসি অফ সায়ালেন্স অর্থাৎ নৈঃশব্দের ষড়যন্ত্র তার অন্যতম একটি। আজও আমাদের দেশে সেই কৌশলে পার পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে ঠিকই, স্টেট ব্যাঙ্ক সেই রায় মেনে আপাতত আংশিক তথ্য জমা দিয়েছে তাও সঠিক, কিন্তু এসবের প্রভাব কীভাবে কতটা পড়বে সেটাই রাজনীতির ফলিত চর্চার বিষয়। এমন নির্লজ্জ দুর্নীতি প্রসঙ্গে জনমানসে প্রভাব ফেলতে সকল ভারতীয়ের সক্রিয় ভূমিকা দরকার।
ওদের শেষ ভরসা কিসে?
আজকাল বিজেপি’র সভা ইত্যাদি টিভিতে দেখতে পাওয়ার কল্যানে আলোচনার বিষয়বস্তু, মাঠের অর্ধেক বা আরও বেশি জায়গা জুড়ে দর্শকের অভাব এমনকি মঞ্চ থেকে ধেয়ে আসা বিবৃতি যতই অখাদ্য হোক না কেন মুহুর্মুহু সোচ্চার সমর্থন বা ওরকম একটা কিছুর বিকট যান্ত্রিক অনুরণন শুনে শুনে আমরা বুঝে নিয়েছি ‘এসব করতে হয়’। মাঝে মাঝে এমন কাজে স্বাভাবিক ক্লান্তিজনিত দোষে যেদিন যেদিন জনসভা হয় না, ঐ ফাঁক-ফোকরটুকু বুজিয়ে দিতে এগিয়ে আসে গোদি মিডিয়া। তাদের সুবিধা আরও বেশি কারণ ঐসব চ্যানেলের কন্টেন্টে তো আর ‘ইন্টেলিজেন্স’ সংক্রান্ত কোনও বাধাই নেই, আর বিশ্বগুরু তো নিজেই দেশের প্রতিটি (এমনকি যেসব জায়গায় সাধারণ অ্যান্টেনাও কাজ করে না) আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ধামাকা’র কথা শুনিয়েই রেখেছেন।
সুপ্রিম কোর্ট গতকাল নতুন করে রায় দিয়ে জানিয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার, ২১শে মার্চ বিকালের মধ্যেই (ব্যাংকিং বিজনেস আওয়ার) নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিতে হবে। এই কথাটুকু বারংবার সবার কানে পৌঁছে দেওয়াই আপাতত আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য। তিনি কমিউনিস্ট পার্টির লোক হতেও পারেন, নাও হতে পারেন। এমনকি সাবেক পুঁজিবাদের সমর্থকরাও (যদি অবশ্য আজকের ভারতে তেমন কেউ থাকেন) এমন ঘটনায় নিশ্চিত অপমানিত বোধ করবেন। সাবেক পুঁজিবাদের তবু কিছু আত্মমর্যাদাবোধ ছিল। মুনাফা লুঠ সে চিরকাল করেছে। তবু লোকজনকে কাজ দিই, মজুরি দিই, দুবেলার খাওয়া, পরনের কাপড়, মাথার উপর ছাদ আমরা দিই – এমন একটি গোল গোল নীতিবোধ আগেকার পুঁজিবাদ ও পুঁজিবাদী, উভয়েরই ছিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন না থাকার সুবাদে সেটুকু চক্ষুলজ্জাও তার চলে গেছে। পোশাকের নামে উদোম হয়েই বেরিয়ে এসে আজকের পুঁজিবাদ নিজেকে নয়া উদারবাদ বলে ঘোষণা করে। আজ যাকে ধান্দার পুঁজিবাদ (crony capitalism) বলা হচ্ছে তার সূত্রপাত সেই তখন থেকেই। পুঁজি আর যা-ই হোক, কোনোদিনই উদার ছিল না, হতেও পারে না। লুঠের মাত্রা ছাড়াতে ছাড়াতে সেদিনের ইতর আপদ আজ বিরাট বিপদে রূপান্তরিত হয়েছে। বর্তমান যুগে নীতি, নৈতিকতা থেকে শুরু করে মানবিক সমস্ত গুণাবলী স্রেফ একটি নিক্তিতেই মাপা হয়। তার নাম অর্থ, গোদা বাংলায় টাকা।
তাই আজকের ভারতে পুঁজিবাদের চেহারা সবচেয়ে নিকৃষ্ট। তাই ক্রোনিনেস বলতে শুধু ধান্দা বুঝলে অর্ধেক জানা হয়, বাকিটার জন্য একটাই শব্দ যথেষ্ট- লুটেরা। কেন্দ্রের সরকার তারই ঠিকা নিয়েছে। এসবিআই’র মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে অধস্তন মিত্র। তাই কর্পোরেট বলুন আর আধুনিক পুঁজিবাদ বলুন- নিজেদের হয়ে যাতে নিজেরাই ঢাক পেটাতে পারে সেরকম শব্দভান্ডার ও সংশ্লিষ্ট অলংকারের ঝনঝনে আওয়াজ ছাড়া এদের পেটের ভিতরে আর কিছুই নেই। যেটুকু যা ছিল অন্য দল ভাঙাতে সেসবই বিজেপি ও তার সহযোগী দলের গ্রাসে চলে গেছে।
আর কি আশ্চর্য, আমাদের রাজ্যে যারা বিজেপি বিরোধিতার প্রমাণ দিতে বিরাট ফাঁকা মাঠে গর্জন না কি যেন করে বসল- তারাও সে লুটের মালে রীতিমত ভাগীদার! এসবিআই যেটুকু তথ্য দিয়েছে তাতেই সব কায়দা পরিস্কার হয়েছে। বাকিটা আগামী বৃহস্পতিবারে দেখা যাবে খন!
ব্যবহৃত তথ্য ও ছবির সুত্রঃ
১) গনশক্তি
২) দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
৩) সোশ্যাল মিডিয়া