‘রাস্তায় যখন রক্ত, পোশাক সাদা রাখাটা অপরাধ’

‘রাস্তায় যখন রক্ত, পোশাক সাদা রাখাটা অপরাধ’
আমাদের রাজ্যে তো অনেকদিন আগেই একশো শতাংশ কাজ হয়ে গেছে! পশ্চিমবঙ্গে সরকারের প্রধান নিজেই সেকথা মাইকে বলে দিয়েছেন।
এই ঘটনা লাতিন আমেরিকার জন্য একটি বড় শিক্ষা: তুমি সরকারে আসতে পারো, কিন্তু তার অর্থ রাষ্ট্র ক্ষমতায় নয়।
সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি জানিয়েছে যে সরকার কোনভাবেই “সহযোগীতা করছে না”। এই মনোভাব গ্রহণযোগ্য নয়।
, ‘জার্নালিজম ইজ পাবলিশিং সামথিং সামওয়ান ওয়ান্টস টু হাইড, এভিরিথিং এলস ইজ স্টেনোগ্রাফি’। সাংবাদিকতা হলো সেই সত্যকে প্রকাশ করা যা কোনো ক্ষমতাবান মানুষ লুকোনোর চেষ্টা করছে।
দেশ পরিচালনার ভার আজ তাঁদের হাতে যাঁদের দেশে স্বাধীনতা সংগ্রামে কোন ভূমিকা ছিল না। বৃটিশের সাথে আপোষ আর দালালিই ছিল তাঁদের একমাত্র কাজ। তাঁদের হাতে দেশ কি নিরাপদ থাকতে পারে?
গণতন্ত্রে ছুটে গিয়ে, অস্ত্র নিয়ে মহাকরণ দখল করা যায় না। মমতা ব্যানার্জি জানতেন। তবু ‘অভিযান’ হয়েছিল। কাউকে খুশি করতে, বামফ্রন্টকে সেই সময়ে বিপাকে ফেলতে।
প্রতিবাদ নিষিদ্ধ করার এই আদেশ সংসদের উপর সবচেয়ে নির্লজ্জ কর্তৃত্ববাদী আক্রমণ, এবং এর স্বাধীন কার্যকারিতা এবং সাংসদদের অবিচ্ছেদ্য অধিকার।
নয়া উদারবাদের কৌশলকে না বুঝে আজকের ফ্যাসিবাদী প্রবণতার কৌশলকে উপলব্ধি করা যাবে না। শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে সঠিক বোধ ব্যাতিত কিভাবে জনগণের একটি ক্ষুদ্র অংশের জন্য পঞ্চম, ষষ্ঠ কিংবা সপ্তম পে কমিশনের আলোচনা হয় আমি বুঝিনা। আমাদের দেশে শ্রমিকদের ৯৩ শতাংশই অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত, তারা বেতন সংক্রান্ত এধরনের যেকোন সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
এই ক্রান্তির ক্ষণে আবার বেজে উঠুক পাঞ্চজন্য। পিনাকীর ডম্বরুকেও স্তব্ধ করে নিক্ষিপ্ত হোক শ্লোগান। সমস্ত সর্দার আর রাজাদের ভ্রুকুটিকুটিল ক্রুরতার চোখে চোখ রেখে নন্দিনীর নিনাদ উঠুক আরেক বার। ইতিহাস সাক্ষী থাকুক।