দুনিয়াজুড়ে পুঁজিবাদ যখন মানুষকে কিছুজনের সুখে থাকার বিনিময়ে বহুজনের দুর্দশার পক্ষে শর্তাধীন করে তুলতে চাইছে ঠিক তখনই মানুষ সোচ্চারে ঘোষণা করছেন ভরসাযোগ্য বিকল্প সম্ভব, বিকল্প আছে, তার লক্ষ্যে সংগ্রামও রয়েছে। এই ভরসারই মর্যাদা রক্ষা করেছিলেন লেনিন।
Campaigns & Struggle
Joint Appeal: Press Statement
আমাদের দেশ তখনই সমৃদ্ধ হবে যদি এটি তার বহু বৈচিত্র্যকে পূর্ণ মাত্রায় সম্মান জানায়, নিজের অন্তরে স্থান দেয় এবং সমবেত অস্তিত্বকে উদযাপন করে।
23rd Party Congress – Secretary’s Statement
ভারতের সাধারণতন্ত্রের ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক চরিত্র অক্ষুণ্ণ রাখতে, দেশের সংবিধানকে রক্ষা করতে, হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির আক্রমণে জর্জরিত জনগণের সাংবিধানিক অধিকারসমূহ রক্ষার সংগ্রাম আরও তীক্ষ্ণ করতে আমাদের সকল দেশপ্রেমিককে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পার্টি কংগ্রেস। সকল জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে শ্রেণীসংগ্রাম ও গণসংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
Stop These Communal Provocations: PB Statement
আরএসএস- সংঘ পরিবার কর্তৃক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রচারের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় উৎসবের সুযোগ নেওয়ার নিন্দা জানাচ্ছে সিপিআই(এম)। শান্তি বজায় রাখা ও ধর্মের নামে মানুষকে বিভক্ত করার চক্রীদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করতে সকল শ্রেণীর মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছে সিপিআই(এম)। শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সারা দেশে পার্টির সকল ইউনিটকেই যথাযথ কর্মসূচি গ্রহনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
The Left Is The Alternative: Salim Speaks to Deshabhimani
সারা পৃথিবীতেই দক্ষিণপন্থার আক্রমণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের ঐতিহ্য রক্ষা করা বামপন্থীদের জন্য অন্যতম কর্তব্য। মনে রাখতেই হবে দক্ষিণপন্থী রাজনীতি সর্বদা মানুষের স্মৃতিকে দুর্বল করে দিতে চায় - তাকে রিক্ত করতে চায়। ঠিক যেমন স্মার্ট ফোন থেকে মেমোরি মুছে ফেলা যায়।
The Journey Towards The 23rd Party Congress (Part IV)
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর ২৩ তম পার্টি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হচ্ছে কেরালার কান্নুরে। নতুন পরিস্থিতিতে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থানকে আরো দৃঢ় করে লড়াইয়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এই কংগ্রেস থেকে।
The Journey Towards The 23rd Party Congress (Part III)
পঞ্চদশ কংগ্রেসের পর থেকে গোটা দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। সংযুক্ত সরকার বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিলেও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উদারীকরণকেই অনুসরণ করায় তার জনপ্রিয়তা কমে। শেষে জনতা দল ভেঙে গেলে নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে বিজেপি পরিচালিত এনডিএ সরকার গঠিত হয়। এই সময় বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে কংগ্রেসকে ইস্যুভিত্তিক সমর্থনের ভিত্তিতে সরকার গঠনের প্রস্তাব দিলে সে প্রয়াস ব্যর্থ হয়। ফলে পরিস্থিতি দেশের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত পার্টি কংগ্রেস বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ব্যাপকভিত্তিক আন্দোলন কর্মসূচী গ্রহণ করে।
23rd Party Congress: Secretary States
একটি শক্তিশালী কমিউনিস্ট পার্টি, শক্তিশালী বাম ঐক্য এবং বাম-গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট গঠনের প্রচেষ্টাকে জোরদার করার সংকল্প নিয়েছে সিপিআই(এম)। আমরা আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি এবং দেশপ্রেমিকদের কাছে আমাদের সাংবিধানিক সাধারণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য ও হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির বিস্তৃত ফ্রন্ট তৈরি করে বিকল্প জনস্বার্থবাহী নীতি রুপায়নের সংগ্রামকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সমবেত সংকল্পের আবেদন করছি।
The Journey Towards The 23rd Party Congress (Part II)
কনভেনশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মার্কসবাদ-লেনিনবাদের ভিত্তিতে একটি বিপ্লবী পার্টি গড়ে তোলার লক্ষ্যে আহুত হয় সপ্তম কংগ্রেস। সরকারের গণতন্ত্রবিরোধী ও জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই সংগঠিত করার মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয়। সংশোধনবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ একদশকের বেশি সময়কাল ধরে চলতে থাকা মতাদর্শত সংগ্রামের পরিণতিতে অনুষ্ঠিত সপ্তম পার্টি কংগ্রেস নতুন পার্টি কর্মসূচী ও আশু কর্তব্য সম্পর্কে প্রস্তাব গ্রহণ করে। পলিটব্যুরোয় নির্বাচিত নয়জন সদস্য পরবর্তীকালে ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনে ‘নবরত্ন' হিসাবে পরিচিত হয়।
The Journey Towards The 23rd Party Congress (Part I)
১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের ৩ বছরের মাথায় বর্তমান উজবেকিস্তানের তাসখন্দে ১৯২০ সালের ১৭ অক্টোবর তৈরি হয় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্ত বহু ভারতীয় সেইসময়ে প্রবাসে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন ব্রিটিশদের অত্যাচার এড়াতে। এদেরই একটা অংশ মুখ্যত এম এন রায়ের উদ্যোগে লেনিন তথা বলশেভিক পার্টির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন। তৃতীয় আন্তর্জাতিকের দ্বিতীয় কংগ্রেসের (১৯২০) অব্যবহিত পরেই এই ভারতীয়দের বিপ্লবীদের নিয়ে গঠিত হয় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি। ভারতে কাজ করার জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়।এই সাতজন ছিলেন এম.এন. রায়, এভলিন রায়-ট্রেন্ট, অবনী মুখার্জি, রোজা ফিটিংগভ, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ শফিক এবং আচার্য। শফিক দলের সম্পাদক নির্বাচিত হন।