Peasants and Revolution

Peasants and the Revolution

যে নয়া তিন কৃষিআইনের বিরুদ্ধে কৃষকরা সংগ্রাম করছেন সেগুলির লক্ষ্য কৃষক নির্ভর কৃষিব্যবস্থাকে একচেটিয়া পুঁজির দখলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া। এই তিন আইনের আগে মোদী সরকার শ্রমিক বিরোধী আইন প্রণয়ন করেছে যা শ্রমিক সংগঠনের গুরুত্ব কমিয়ে দেবার সাথেই শ্রমিকদের উপরে শোষণের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। আজকের দুনিয়ায় শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বে শ্রমিক-কৃষক জোটের লড়াই শুধুই কৃষকদের অসমাপ্ত গণতান্ত্রিক আশা-আকাংখা পূরণে জমিদারতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই না; এই সংগ্রাম শ্রমিকশ্রেণী এবং কৃষক উভয়েরই শোষণমুক্তির লড়াই। তারা উভয়েই একইসাথে আন্তর্জাতিক লগ্নী পুঁজির আক্রমণের শিকার, দেশীয় একচেটিয়া পুঁজিপতিদের হাতে শোষণ সেই মুল প্রক্রিয়ারই অংশ।

PB Statement

Sack Minister Ajay Mishra: Polit Bureau Statement

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার নিজের ছেলে জড়িত, ঘটনার পরে তিনি কৃষকদেরই দোষারোপ করে এহেন নৃশংসতাকে সমর্থন করেছেন। সাইরেন বাজিয়ে কৃষকদের সমাবেশে গাড়ি চালিয়ে তাদের হত্যা করার স্পষ্ট প্রমাণ হিসাবে ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং রয়েছে। এই ঘটনায় আহত এবং নিহতদেরকে “বহিরাগত” বলে অভিযুক্ত করার পাশাপাশি নিজেকে এবং তার আত্মীয়দের রক্ষা করার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের “খালিস্তানি” বলে দাবি করেছেন তিনি।

20_07_2021-sanyukatkisanmorcha_21847838

Samyukta Kisan Morcha Press Bulletin

হেলিপ্যাড এলাকায় কৃষকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় ​​মিশ্র টেনির ছেলে আশীষ মিশ্র টেনীই যে তিনটি গাড়ি সমেত সেই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে আসেন এবং কৃষকদের গাড়ি চালিয়ে পিষে দেন তা নিশ্চিত। এই জঘন্য কান্ডের শেষে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা তাজিন্দর সিংহ ভার্ককেও আক্রমণ করা হয় এবং তাকেও গাড়ি চালিয়ে পিষে মারার চেষ্টা চলে। এই হামলার ঘটনায় গুলি অবধি চলেছে এবং আশিস মিশ্র টেনি ও তার দলবলের ছোঁড়া গুলিতেই একজনের মৃত্যু হয়েছে।

Mahatma’s Greatness And A Movement That Strayed

অর্ধশতাব্দীরও বেশী সময় ধরে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা স্বীকার করছেন যে স্বপ্নের জন্য তিনি লড়াই করেছিলেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট সেই স্বাধীনতা আদৌ অর্জন করা যায়নি, ক্ষমতার বলে বলিয়ান হয়ে তাঁর প্রাক্তন শিষ্যরাই এমন স্বার্থপর এবং কুচক্রী হয়ে পড়েছেন যে নিজের হাতে গড়ে তোলা ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের গোটা সংগঠনটাকেই তিনি বাতিল করে দিতে চান – একমাত্র গান্ধীর পক্ষেই এতটা হিম্মত দেখানো সম্ভব ছিল। সত্যের উপলব্ধি প্রকাশের হিম্মতের জন্যেই তাকে প্রকৃত মহাত্মা বলা যায়, যিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা করলেন তার গোটা জীবনটাই লক্ষ্যভেদে ব্যার্থ।

AIKS

AIKS Congratulates the People who made the ‘Bharat Bandh’ Historic

গত কয়েক বছর ধরে লাগাতার বিভিন্ন আন্দোলনে যৌথ সংগ্রামের ফলে দেশের শ্রমিক-কৃষকের মধ্যে যে দৃঢ় শ্রেণীগত ঐক্য গড়ে উঠেছে তারই সাফল্যের প্রমান আজকের ভারত বনধ, দেশজুড়ে কর্পোরেট শোষণের বিরুদ্ধে কৃষি, শিল্প ও পরিষেবাক্ষেত্রেসহ বৃহত্তর যুক্তফ্রন্টের সংগ্রামই হল এই আন্দোলনের রাজনৈতিক দিশা। যে রাজনৈতিক দলগুলি এখনো কর্পোরেটদের স্বার্থ রক্ষা করছে তারা জনগণের পক্ষ থেকে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখোমুখি হবে এবং জনগণের উত্তাল আন্দোলন আগামীদিনে জনবিরোধী রাজনীতিকে পশ্চাদপসারণ করতে বাধ্য করবে।

Why Strike 2

Strike Hard on 27Sept! A Backdrop (Part – II)

আর্থিক ক্ষতির প্রভাব অবশ্যই সার্বিক, যদিও মুনাফা কামানোর পথে উৎপাদন করতে বা যোগান (পণ্য বা পরিষেবা) দিতে শ্রমের ভূমিকা এখনও সামাজিক! মুনাফার খোঁজে নির্লজ্জ পুঁজিবাদের চরিত্র বর্ণনা করতে ঠিক মার্কস যেমনটা বলেছিলেন। সেই লেখার ধাক্কায় পুঁজিবাদ তাই আজও কমিউনিজমের ভূত দেখছে বৈকি!

Why Strike 1

Strike Hard On 27Sept! The Backdrop (Part – I)

লড়াই কৃষকরা একা লড়ছেন বললেই সবটা বলা হয় না – বলতে হবে আজকের দিনে পুঁজি বনাম শ্রমের যে মূল লড়াই জারী রয়েছে তারই একটা ফ্রন্টে ভারতের কৃষকরা লড়াই শুরু করেছেন। জীবন বাজি রেখে কৃষকদের লড়াই-আন্দোলন শুধুই নিজেদের স্বার্থে না, গোটা দেশের জনগণের খাদ্য সুরক্ষার স্বার্থেও। সেই জন্যেই তারা দেশের জনসাধারনকে নিজেদের লড়াইতে পাশে থাকার আহবান জানিয়েছেন – ২৭শে সেপ্টেম্বরের ধর্মঘটে গোটা দেশের মানুষ সেই লড়াইতে যুক্ত হবেন, জনবিরোধী কৃষি আইন বাতিল করার দাবীতে তাদের লড়াইয়ের সাথে জুড়বে সারা দেশের মানুষের শক্তি। লেখা হবে নতুন ইতিহাস।

PB Statement

Left Parties: Support Bharat Bandh

সংগ্রামরত কৃষকদের সাথে আলাপআলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে মোদী সরকার এখনও অস্বীকার করছে। মোদি সরকারের এহেন আচরনের নিন্দা করার পাশাপাশি বামদলগুলি দাবি জানাচ্ছে কৃষি আইনগুলিকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, এমএসপি বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিতে হবে, ন্যাশনাল মানিটাইজেশন পাইপলাইন প্রকল্প এবং শ্রম কোড বাতিল করতে হবে।

PB Statement

Condemn Police Brutalities in Assam – Polit Bureau Statement

কৃষকদের উপর ভয়াবহ বর্বরতায় জড়িত যাদের ক্যামেরায় দেখা গেছে সেইসব পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। গুয়াহাটি হাইকোর্টের একজন সিটিং জজের অধীনে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছে সিপিআই(এম)। উচ্ছেদ কর্মসূচি এখনই বন্ধ করতে হবে, নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আসামে বিজেপি সরকারের সাম্প্রদায়িক, বিদ্বেষী রাজনীতির স্বরুপ উন্মোচন করতে এবং তাকে প্রতিরোধ করতে সেই রাজ্যের ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তিসমুহের লড়াইকে সমর্থন জানাচ্ছে পলিট ব্যুরো।

PB Statement

Centre Responsible for Covid Compensation: Polit Bureau Statement

মহামারী মোকাবিলায় প্রোটোকল এবং নির্দেশিকা সবই কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়েছে। কোভিড আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ দেবার মূল দায়িত্ব তাই কেন্দ্ররই বহন করা উচিত। সুপ্রিম কোর্ট এখনও এই মামলায় চূড়ান্ত রায় দেয়নি। এই দায় বহনে কেন্দ্রের প্রাথমিক দায়িত্ব নিশ্চিত করতে হবে এবং ক্ষতিপূরণের পরিমাণও যথার্থরুপে বৃদ্ধি করতে হবে।