A Story Of Long Awaited Justice

সব্যসাচী চ্যাটার্জী

সেদিন যৌনকর্মীদের কাজকে পেশা হিসাবে সম্মান জানিয়েছিলেন কমিউনিস্ট ঘনিষ্ঠ নজরুল….আজ দিলেন সুপ্রীম কোর্ট।

১৯২৬

কাল নজরুলের জন্মদিন ছিল। কালই সুপ্রীম কোর্টের একটি নির্দেশের কথা আমরা খবরে জেনেছি। নির্দেশটি যৌন কর্মীদের কাজকে পেশার স্বীকৃতি নিয়ে। কবিদের মধ্যে নজরুল তাঁর ‘বারাঙ্গনা’ কবিতায় যৌন কর্মী বা বারাঙ্গনাদের মর্যাদার কথা আলোচনা করেছিলেন। একটা কথা অবশ্য অনেকেরই কাছে একটা তথ্য বা ইনফরমেশন হিসাবেই রয়ে যাবে।সেটি হল এই কবিতাটি ছেপেছিল লাঙল পত্রিকা।

৩৭,হ্যারিসন রোড।বর্তমানে এই রাস্তাটির নাম মহাত্মা গান্ধী রোড। ছবিটি দেখলে অনেকেই বুঝতে পারবেন। বিশেষত শিয়ালদহ-কলেজষ্ট্রীট করা ছেলেমেয়েরা তো বটেই। এ বাড়িতেই ছিল লেবার স্বরাজ পার্টির অফিস। এই পার্টিরই মুখপত্র ছিল লাঙল।যৌন কর্মীদের মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে লেখা নজরুলের কবিতা ছাপা হয়েছিল এই পত্রিকায়।সাম্যবাদী পুস্তিকায় স্থান করেছিল এই কবিতা। বিশিষ্ট মার্কসবাদী গ্রন্থাগারিক প্রদোষকুমার বাগচীর ভাষায় “

‘………তবে ‘সাম্যবাদী’ পুস্তিকায় ‘বারাঙ্গনা’ কবিতার স্থান করে দিয়ে নজরুল সারা পৃথিবীর পতিতাদের সমানাধিকারের আসনে বসিয়েছিলেন। ‘সাম্যাবাদী’ প্রকাশের পর কলকাতার তাবত পতিতা মিছিল করে ৩৭ হ্যারিসন রোডে এসে ফুলের মালা পরিয়ে নজরুলকে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান। সেদিন ধন্য হয়েছিল এই ৩৭ নং বাড়ির দোতলার উত্তরকোনের সেই ঘরটি।”

এটা ১৯২৬। সেবছরই আড়মোড়া জেল থেকে ফিরেছেন মুজফফর আহমেদ। সামসুদ্দিন হোশেয়ান, মণিমোহন মুখোপাধ্যায়রা মুজফফর আহমেদ, নজরুল ইসলামদের সঙ্গে গড়ে তুলছিলেন এই পার্টি।

২০১৯

যৌনপল্লীর বেঁচে থাকার লড়াইয়ের পাশে সিপিআই(এম)।

যৌন পল্লীতে মা,বোন,বন্ধুদের বেঁচে থাকার লড়াইয়ে পাশে আছে সিপিআই(এম)। কেউ বিপিএল কার্ড পেয়েছেন তবু বন্ধ রয়েছে রেশন। কারো সন্তানকে পিতৃপরিচয় ছাড়া নিচ্ছেনা সরকার পোষিত স্কুল। কারো জুটছে না জাতি শংসা পত্র। কাউন্সিলর থেকে উন্নয়ন বাহিনী,সরকারি বাবু থেকে পুলিশ  যৌন পল্লীর মা,বোন, বন্ধু দের জন্য বন্ধ সমানাধিকারের সুযোগ। এই পশ্চিমবঙ্গে। খোদ কোলকাতায় সারাভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির উদ্যোগে আজ এলিয়ট রোডের রাজ্য দপ্তরে প্রায় পঞ্চাশ জন মা,বোন,বন্ধুরা জড়ো হলেন কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিন কেন্দ্রের বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই(এম) প্রার্থী কনীনিকা ঘোষ ও নন্দিনী মুখার্জীর সঙ্গে। একটি অসাধারণ উদ্যোগ।

কোলকাতার  যৌন পল্লীগুলির মধ্যে সোনাগাছি,মুন্সীগঞ্জ,এবং কালীঘাট থেকে বন্ধুরা এসেছিলেন।একসময় এ কোলকাতা দেখেছে সবহারা মানুষ গুলিকে নিয়ে কমিউনিষ্ট পার্টির আন্দোলনের ছবি।মণিকুন্তলা সেন থেকে বিমান বসু কমিউনিষ্ট আন্দোলনের নেতৃত্ব বারে বারেই উল্লেখ করেছেন তাদের আন্দোলনের কথা,অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান,শিক্ষার কথা।নব্বয়ের দশকের শুরুতে সোনাগাছিতে বঙ্গীয় সাক্ষরতা প্রসার সমিতির পাঠকেন্দ্র শুরু করতে কমরেড বিমান বসু,কেষ্ট মিত্রদের অবদান সর্বজন বিদিত।

আজ আবার লাল ঝান্ডা বাড়িয়ে দিল সেই বন্ধুত্বের হাত। মানুষের পাশে মানুষ হয়ে দাঁড়াবার বার্তা। তাই মালিনী ভট্টাচার্য  যখন বলছিলেন মানুষের লড়াইয়ের কথা, নতুন প্রত্যয় ঝড়ে পড়ল নয়নতারার (নাম পরিবর্তিত)চোখে। সে বলছিল সেই অনেক দিন আগে কাস্তে নিয়ে বড় লোকদের জমি কেড়ে নেবার গল্প। আজও প্রোমোটারের দালাল হোক আর বাড়ির মালিক রোজ উচ্ছেদের ধমক নিয়ে পথে আছেন নয়ন তারারা। আজও বুকে বুকে আগলে রেখেছেন আমাদের লাল ঝান্ডা।আবার আবার তাই………

মহিলা সমিতি প্রস্তুত হচ্ছে সবাইকে সমান করার আন্দোলনে। ভোট আসবে যাবে, কিন্তু লাল ঝান্ডা কাঁধে নিয়ে অধিকার আদায়ের লড়াই চলবে। প্রবাহিত হবে আলেকজান্দ্রা কোলনতাই থেকে ক্লারা জেটকিন, মণিকুন্তলা থেকে কণীনিকা-নন্দিনীদের লড়াই। আমাদের কমরেডদের লড়াই।

এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করতে পেরে গৌরবান্বিত অনুভব করি।

১৯৯২

‘সোনাগাছিতে পড়ার ক্লাস শুরু হল’

যৌন কর্মীদের নিয়ে কাজ করে থাকেন দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি। একদিকে তাঁদের সংগঠিত করা অন্যদিকে তাঁদের দাবীগুলো নিয়ে লড়াই করার জন্য দুর্বারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া – ডাক্তার স্মরজিত জানা এই কাজের জন্য সকলের কাছে স্মরনীয় হয়ে থাকবেন। থাকবেন কারণ ডাক্তার জানা কয়েকদিন আগেই কভিডে আক্রান্ত হয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এই লেখা ডাক্তার জানাকে নিয়ে নয়।

একজন অসাধারণ আধুনিক মানুষকে নিয়ে। নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় বছর পঞ্চাশের এই মানুষটির সঙ্গে ডাক্তার জানার এবং দুর্বারের কয়েকজন কর্মীর দেখা হয়েছিল নির্দিষ্ট ভাবে উত্তর কলকাতার সোনাগাছির যৌন কর্মীদের সমস্যা নিয়ে। দেখা হয়েছিল বলার থেকে বলা ভালো বাধ্য হয়েছিলেন।

মানুষটির নাম কমরেড বিমান বসু।

নব্বই দশকের গোড়ায় যৌন কর্মী ব্যাপারটা তো বটেই পুরো লিঙ্গ ব্যাপারটাই অনেক গোলমেলে ছিল।অষ্টাদশ শতাব্দীর ধারনা পাথরের মত গেঁথে ছিল মনে।

বেশ্যারা আবার মানুষ নাকি যে এদের ছেলেমেয়েরা লেখা পড়া করবে!

সেটা ১৯৯২ সাল। আজকের মত সেদিনও ক্লাব ছিল। কিছু লোক ছিল যারা বলত, ‘এটা ক্লাব পড়ার জায়গা নয়,পড়তে যদি হয় জানার অফিসে গিয়ে পড়ুন’। আজকের মত সেদিনও সমাজকর্মীদের অনেক সমস্যায় পড়তে হত। কিন্তু তখন কাউন্সিলাররা সমস্যার সাময়িক সমাধান না খুঁজে চিরস্থায়ী সমাধান খুঁজতেন। খোঁজার পরামর্শ দিতেন। এমনই এক সমস্যায় ডাক্তার জানাদের তেমনই পরামর্শ দিয়েছিলেন সেই সময়কার কলকাতা পুরসভার ১৮ নং ওয়ার্ডের পুরপিতা কৃষ্ণপদ সরকার।

বিমান বসুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।

তারপরের ব্যাপারটা নমিতা ভট্টাচার্য্যের লেখা “সোনাগাছিতে পড়ার ক্লাস শুরু হলো” থেকেই পড়া উচিত-

“……………২ রা মে সকাল ১১ টার সময় বিমাব বসু আমাদের ক্লিনিক দেখার পর ইমাম বক্স লেনের দুটো বাড়ি,গৌরি শঙ্কর দত্ত লেন ও রবীন্দ্র সরণীর একটি করে বাড়ির যৌন কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং জানতে চান, এখানকার যৌন কর্মীদের ও তাঁদের সন্তানদের শিক্ষার হার কী রকম? উত্তরে যে তথ্য উনি পান তাতে খুব হতাশ হয়ে ডাঃ জানাকে বলেন যে ভাবেই হোক এখানে শিক্ষার বীজ বপন করতে হবে। বিমানবাবুর কাছ থেকে এই প্রস্তাব পেয়ে ডঃ জানা ক্লাস বন্ধ হওয়ার ঘটনা খুলে বললে উনি বলেন বিশেষ কাজে আমাকে দিল্লী যেতে হবে। দিল্লি থেকে ফেরার পরদিনই আমি এখানে আসব। ওঁর কথা মত ১১ ই মে সকাল ১০ টা থেকে পলাতক ক্লাবের মাঠে মাইক লাগিয়ে ওঁর আসার কথা ঘোষণা করা হলে ছোট বড় সব ক্লাবের কর্তা ব্যক্তিদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহের সৃষ্টি হয়। অবশেষে সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ উনি উপস্থিত হন,সঙ্গে গাড়ি ভর্তি বই খাতা।সে-সব পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়েই তিনি বলেন,যথার্থ শিক্ষকের অভাবে বঙ্গীয় সাক্ষরতা প্রসার সমিতি সোনাগাছিতে পড়ার স্কুল চালু করতে পারেনি। সেখানে একটা স্বাস্থ্য প্রকল্পের একটা স্কুল চালু করার ঘটনা অভিনব। এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি আমি আমাদের কর্মীদের আহ্বান করছি তাঁরা যেন এই রকম প্রচেষ্টায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তাই শুনে সরাসরি সহযোগিতা না করলেও অসহযোগিতার সাহসও আর কেউ দেখায় নি”

আসলে এইভাবে পাহাড় গুলিকে ডিঙিয়ে যাওয়াই বিমান বসুদের কাজ। সে কাজ শুরুতে ছোট মনে হয় কিন্তু “কখনো জিত,কখনো হারে” র সেই লড়াই অঙ্কুরিত হয়,চারা গাছ হয় মাথা তোলে….. ভেঙে চুরমার হয় বছরের বছর ধরে চলে আসা ধারনা। আর এই কাজকে খানিকটা ঝাঁকিয়ে দিয়ে যান বিমান বসুর মত মানুষ। তাদের বুড়ো বলুন আর যাই বলুন – ইতিহাসের উপর বর্তমানের আধিপত্যের সংগ্রামে মানুষের এগিয়ে চলার গল্প কিন্তু তাতে বদলায় না”।

সুত্রঃ কখনো জিত, কখনো হার, দুর্বার প্রকাশনী।

২০২০

সোস্যাল ডিসট্যান্সিং এ ওনারা থাকেন সারা বছর। ভদ্দরলোক বাঙালি দিনের আলোয়ও পাড়া দিয়ে যেতে কিন্তু কিন্তু করে। অনেকে লালবাতি এলাকা বলে। আমাদের সোস্যাল ডিসট্যান্সিং এ কিন্তু সবচেয়ে টান পড়েছে এনাদের দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে। ঠিক ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে যেমন পড়েছিল ঠিক তেমনি। ট্রান্সমিশন নামক শব্দটার সঙ্গে এঁদের পরিচয় সেই কবেকার, সেই চোদ্দ আইনের সময় থেকে যখন ঔপনিবেশিক ক্ষমতা ব্যবহার করে শাসক ইংরেজ এনেছিল “Contagious Diseases Act, XIV of 1968।

এই আইন তাঁদের সামাজিক অবস্থানকে বদলে দিয়েছিল। তাঁদের রুটি রুজির উপর এনেছিল আঘাত। ১৮৮৮ সালে সে আইন বাতিল হলেও সামাজিক অবস্থানের বদল গত একশ বত্রিশ বছরেও বিরাট কিছু হয়নি। সে অবশ্য অন্য কথা তখন কলকাতা ভাইরাস শব্দটার সঙ্গে পরিচিত কবে হয়েছে জানিনা তবে ইতিহাসের তথ্য অনুসারে ১৮৯২ সালে প্রথম ভাইরাস টোব্যাকো মোসাইক ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়েছিল।ইতিহাস ঘাঁটলে আরো দেখা যাবে, বেশ্যা বিষয় নিয়ে বাঙালি সমাজ দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল প্রথমটি সহমর্মী মানুষেরা তাঁদের মধ্যে সাধারণ মানুষই ছিলেন বিখ্যাত লোকজনের থেকে সংখ্যায় বেশী কিন্তু অপরপক্ষে ছিলেন বেশ কিছু ভারী নাম যেমন শ্রী কালীপ্রসন্ন সিংহ।

সেটা ১৮৫৬ সাল নাগাদ। ফলত সোস্যাল ডিসট্যন্সিং সোনাগাছি সহ যেকোনো যৌন পল্লী সম্পর্কে ভদ্র বাঙালি সমাজের দিনের বেলার নিয়ম। এখানকার বাসিন্দাদের কাছে তা নতুন কিছু নয়। নতুন হল বর্তমান কভিড ১৯ মহামারীর সময়ে ফিসিক্যাল ডিসট্যান্সিং এর স্বাস্থ্য বিধান। লক ডাউন। খাবার,ওষুধ,স্যানিটারি ন্যাপকিন থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অভাব।

সরকার আছেন, মানুষ আছেন কিন্তু তাতে কি এই সোনাগাছি অঞ্চলের কয়েক হাজার বন্ধুদের প্রয়োজন মিটবে? এই দীর্ঘ লক ডাউনের প্রভাবে তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে কেউ হিসেব রাখতে পারবে? রিয়েলিটি বলছে রাখা সম্ভব নয়। আমরা মানে লাল ঝান্ডা কাঁধে লোকেরা বলছি রাখতেই হবে…এই কালান্তরের সময় একজন বন্ধুকেও আমরা বিনা খাদ্যে, বিনা চিকিৎসায় মরতে দেবো না। সেই কারনেই সোনাগাছি অঞ্চলের মানুষের জন্য সামাণ্য প্রচেষ্টার কাজ আজ থেকে শুরু হল রাজ্যসভায় নব নির্বাচিত সিপিআই(এম) সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের উদ্যোগে। সেভ ডেমোক্রেসির অন্যতম নেত্রী দীপালী ভট্টাচার্যের ফোন পেয়ে প্রথমেই যোগাযোগ হয় গৌতম গাঙ্গুলির সঙ্গে, তারপর মতি ঘোষ এবং সর্বোপরি মহিলা আন্দোলনের নেত্রী কনীনিকা বোস ঘোষ এর সঙ্গে।

তারপর আইনজীবী সামিম আহমেদ নিজের গাড়িতে সেই রিলিফ নিয়ে পৌঁছে যান। আগামীদিনের সামগ্রিক পরিকল্পনা নিয়েই এখানকার মানুষের সাথে থাকবে সিপিআই(এম)। এটাই অঙ্গীকার। ভবিষ্যতের সোস্যাল ডিস্ট্যান্সিং ভাঙতে আজকের ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিং চলাকালীন এটাই কাজ।

২০২২

সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশে যৌন কর্মীরাও তাঁদের পেশা করার মৌলিক অধিকারের অধিকারি। সংবিধানের ১৯(১)(ছ) দ্বারা স্বীকৃত। এ এক ইতিহাস তৈরি হল……করুনা নয়,অধিকারের।

এই সময় নজরুলের সেই কবিতা আরো একবার স্মরণ করি-

“তব সন্তানে জারজ বলিয়া কোন্‌ গোঁড়া পাড়ে গালি,

তাহাদের আমি এই দু’টো কথা জিজ্ঞাসা করি খালি-

দেবতা গো জিজ্ঞাসি-

দেড় শত কোটি সন্তান এই বিশ্বের অধিবাসী-

কয়জন পিতা-মাতা ইহাদের হয়ে নিষ্কাম ব্রতী

পুত্রকন্যা কামনা করিল? কয়জন সৎ-সতী?

ক’জন করিল তপস্যা ভাই সন্তান-লাভ তরে?

কার পাপে কোটি দুধের বাচ্চা আঁতুড়ে জন্মে’ মরে?

সেরেফ্‌ পশুর ক্ষুধা নিয়ে হেথা মিলে নরনারী যত,

সেই কামানার সন্তান মোরা! তবুও গর্ব কত!

শুন ধর্মের চাঁই-

জারজ কামজ সন্তানে দেখি কোনো সে প্রভেদ নাই!

অসতী মাতার পুত্র সে যদি জারজ-পুত্র হয়,

অসৎ পিতার সন্তানও তবে জারজ সুনিশ্চয়!

Spread the word

Leave a Reply