নিজেদের একগুঁয়েমি পরিত্যাগ করে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এখনই সমস্যার সমাধা করতে সংযুক্ত কিষান মোর্চার সাথে আলোচনায় বসা।

নিজেদের একগুঁয়েমি পরিত্যাগ করে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এখনই সমস্যার সমাধা করতে সংযুক্ত কিষান মোর্চার সাথে আলোচনায় বসা।
এখন করােনা মহামারি মােকাবিলাই প্রধান কাজ। কেন্দ্রীয় সরকারের সার্বিক ব্যর্থতা দেশের জনগণকে এক ভয়ংকর বিপদের মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। বিজেপি-র মনে রাখা উচিত সদ্য রাজ্যের মানুষ যে তাঁদের সরকারে চায় না, স্পষ্টভাবে সেই রায় দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীরও মনে রাখা উচিত যে এই রায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি ও স্বৈরশাসনের পক্ষে ইতিবাচক রায় নয়। দুর্নীতির সঙ্গে আপােষ করে, দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি-র মতাে ভয়ংকর শক্তিকে যে মােকাবিলা করা যায় না এই শিক্ষা তৃণমূল কংগ্রেসেরও গ্রহণ করা উচিত।
২০২০ সালে লকডাউনের নিষ্ঠুর ও মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা সকলের হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের জন্য আবার লকডাউনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জনগণকে আর্থিক ও চিকিৎসাগত সহায়তা দানের ঘোষণারও প্রয়োজন ছিল। কর্মহীনতা, জীবিকা ও কর্মস্থান থেকে ছাঁটাই এখন মারাত্মক অবস্থায়; আরও শোচনীয় অবস্থার দিকে তা যাচ্ছে। এ সময়ে কর্মচ্যুত ও কর্মহীনদের মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং দৈনিক পাঁচ কেজি করে চাল-গম দেবার অত্যন্ত জরুরি দাবি পূরণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও এ জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার দাবি জানাতে হবে।
আজ দেশ যখন ভয়াবহ সংকটের আবহে তখন কেন্দ্রীয় সরকার কি করেছে, কি করেনি সেই নিয়ে যাবতীয় খুঁটিনাটির মধ্যে না গিয়ে বরং অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কি কি কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করা উচিত সেই নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে দৃঢ় ঐক্যমত স্থাপন করতে পেরেছই, চিঠির পরবর্তী অংশে সেই কাজগুলিরই উল্লেখ করা হল।
একদিকে কোভিড মহামারী প্রতিরোধে সরকারের ব্যার্থতা ঢাকতে এবং ইজরায়েলে সাম্প্রতিক নির্বাচনে ভরাডুবির দায় এড়িয়ে তুচ্ছ রাজনৈতিক ফায়দা লুটে নিতেই নেতানিয়াহু এই হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইজারেয়েলে বসবাসকারী প্যালেস্তিনিয়দের কোভিড ভ্যাকসিন দেবার ক্ষেত্রেও বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে। এমন জঘন্য মনোভাব থেকেই বোঝা যায় ইজরায়েল কতদূর জাতিবিদ্বেষী রাজনীতির পরিচয় রেখে চলেছে।
বিজেপি ত্রিপুরায় কোনও বিরোধী
পক্ষকেই গণতান্ত্রিক কর্মসূচী পালন করতে দিতে চায় না, হামলা চালানোর ঘটনাতেই তাদের
আসল চেহারা স্পষ্ট হয়ে গেছে। এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না, এর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে
এবং এই হিংসার রাজনীতিকে পরাস্ত হতে হবে।
তৃনমূল কংগ্রেসকে অবিলম্বে হিংসাশ্রয়ী এবং সন্ত্রাসের এই রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। তাদের এই রাজনীতির প্রতিরোধ হবে এবং তাকে পরাস্ত হতে হবে।
কলকাতা, ৩মে, ২০২১ সোমবার খুন, হামলা, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির বিরুদ্ধে… ২মে নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের সময় থেকে তৃণমূল কংগ্রেস পুনরায়
বর্তমানে কোভিড মহামারী মোকাবিলা করতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করার দাবি উত্থাপন করার সঙ্গে সঙ্গে সংযুক্ত মোর্চার সমস্ত শরিক দলকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে।