PB Statement

ত্রিপুরায় হামলার প্রসঙ্গে - পলিট ব্যুরোর বিবৃতি

ত্রিপুরায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষকে চাপা দিতেই আক্রমণ তীব্র হয়েছে। ক্ষমতায় আসার তিন বছর পরেও বিজেপি সরকার নির্বাচনের সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতিসমূহ পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। অথচ এই সরকারের আমলে চালু জনকল্যাণ প্রকল্পগুলি এবং বামফ্রন্ট সরকারের উপজাতী মানুষ সম্পর্কিত নীতিগুলি বাতিল হয়েছে। আজ ত্রিপুরায় বুভুক্ষার তাড়না এবং অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে, বেকারত্ব বেড়েছে, অপরাধীদের প্রশ্যয় দেওয়া হচ্ছে। অথচ আরএসএস মানুষের মধ্যে ঘৃণা ও বিভাজনের বীজ বপনের চেষ্টায় ব্যস্ত রয়েছে। যখন গণমাধ্যমের খবরে বাস্তব অবস্থার ছবি তুলে ধরছে তখনই তাদের উপরে আক্রমণ নেমে আসছে। ৩০০ জনেরও বেশি গণমাধ্যমকর্মী শারীরিকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পর্যায়ে, বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে এমন ৪টি গনমাধ্যমের দপ্তরে হামলা হয়েছে। ত্রিপুরায় সিপিআই(এম) এবং বামপন্থীদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে মানুষের ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণই বিজেপিকে মরিয়া করে তুলেছে।

General Secretary States

ত্রিপুরার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন সীতারাম ইয়েচুরি

আক্রমন রোধ করতে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের ব্যর্থতা যদি বাস্তবিক হয়ও তাহলেও মনে রাখতে হয় সংবিধানের নীতিগুলি বাস্তবায়নের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার বাধ্যবাধকতা।

PB Statement

ত্রিপুরায় হামলা চালানোর তীব্র নিন্দা পলিট ব্যুরোর

যে কায়দায় বিজেপি’র গুন্ডাবাহিনী পরিচালিত হয়েছে তাতে রাজ্য সরকারের এই ঘটনায় সরাসরি যোগসাজশ স্পষ্ট হয়েছে। এই হামলাগুলি হয়েছে কারণ শাসক দল বিজেপি ত্রিপুরা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের কার্যকলাপ দমন করার চেষ্টা করতে চেয়েও বারে বারে ব্যর্থ হয়েছে।

CPIMCC

জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবিকে সমর্থন জানালো সিপিআই(এম)

জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবী পুনরায় সামনে এসেছে। সাধারণ জনগণনায় তফসিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি ভিন্ন জনগনের অন্যান্য পশ্চাদপদ অংশের মানুষ সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকে না। ভারতে বসবাসকারী জনগণের বিভিন্ন পশ্চাদপদ অংশগুলিকে চিহ্নিত করে সঠিক জনগণনার প্রয়োজন রয়েছে।

Left Parties Joint Statement

২৫ সেপ্টেম্বরের ভারত বনধ সফল করুন

কৃষি আইনসমূহ বাতিল এবং ন্যূনতম সহায়তা মূল্যের আইনি নিশ্চয়তার দাবীতে কৃষকদের ঐতিহাসিক সংগ্রাম তার দশম মাসেও অব্যাহত রয়েছে। সংগ্রামরত কৃষকদের সাথে কোনোরকম আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসুত্র খুঁজে বের করতে মোদী সরকার বারংবার অস্বীকার করছে। মোদি সরকারের এহেন আচরণের নিন্দা করার সাথে বাম দলগুলি এই দাবিও করছে যে নয়া কৃষি আইনসমূহ অবিলম্বে বাতিল করা হোক, ফসলের বিক্রিতে ন্যুনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেওয়া হোক, ন্যাশনাল মানিটাইজেশন পাইপলাইন পরিকল্পনা এবং নয়া শ্রম কোড বাতিল করা হোক। বামদলগুলির পক্ষ থেকে সারা দেশে নিজেদের সমস্ত ইউনিটকে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর, ভারত বনধ সফল করতে সক্রিয় হবার আহ্বান জানাচ্ছে। দেশের জনগণের সমীপে এই ভারত বন্ধকে সমর্থন করার জন্য বামদলগুলির পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হচ্ছে।

PB Statement

ভারতের বিক্রি বন্ধ হোক

দৈনন্দিন খরচ মেটাতে যারা পারিবারিক সম্পদ যেমন রুপো বিক্রি করে তাদের অর্থনৈতিক বা সাধারণ জ্ঞান বিচার্য হতে পারে না। যখন বাজারে মন্দাবস্থা চলছে সেই অবস্থায় জাতীয় সম্পদ বিক্রির এহেন সিধান্তে ধান্দাবাজ (ক্রোনি) কর্পোরেটের মুনাফা ব্যাতিত আর কারোর স্বার্থ সুরিক্ষিত থাকবে না। এই কাজ আসলে ধান্দাবাজ পুঁজিবাদের প্রচার।

CPIMCC

আফগানিস্থানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি

আফগান জনগণ যাতে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশে বসবাস করতে পারে সেজন্য ভারতকে অবশ্যই প্রধান আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে। ভারত সরকারের উচিত অবিলম্বে আফগানিস্তানে আটকে পড়া সকল ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণ করা।

CPIMCC

সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেস বিবৃতি

কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে পার্টি ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী পালন করবে স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্টদের ভূমিকা তুলে ধরে। আধুনিক ভারত গঠনের ভাবনা (আইডিয়া অব ইন্ডিয়া)-কে একীভূত করতে কমিউনিস্ট পার্টির অবদান; স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রিটিশদের সাথে আরএসএসের সহযোগিতা; এবং বর্তমান ভারতে সাংবিধানিক ধর্মনিরপেক্ষ-গণতান্ত্রিক-সাধারণতন্ত্রের যেভাবে ভয়াবহ অবমাননা চলছে সেই বিষয়গুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

গোখলের হয়ত প্রকৃত সত্য জানা নেই

নিজের লেখা বইতে বিজয় গোখলে সংশ্লিষ্ট চুক্তির প্রশ্নে বামেদের বিরুদ্ধে যেসমস্ত অভিযোগ করেছেন তা ভিত্তিহীন। সম্ভবত তার জানা নেই, এই চুক্তি সম্পাদিত হবার সময় প্রধান বিরোধী দল ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং তারাও এই চুক্তি প্রসঙ্গে সংসদের আলোচনায় বিরোধিতাই জানিয়েছিল।

PB Statement

পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যাবহার করে ভারতীয়দের উপরে নজরদারি - পলিট ব্যুরোর বিবৃতি

ভারতীয় আইনে কারোর স্মার্টফোন হ্যাক করে সাইবার-স্পাই সফটওয়্যার দ্বারা কারোর ব্যক্তিগত তথ্য বের করা নিষিদ্ধ, এমনকি ভারত সরকারও সেই কাজ করতে পারে না। তবে ভারত সরকার কোন আইনের বলে এহেন নজরদারি চালাচ্ছে? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুযায়ী ব্যক্তিগত গোপনীয়তা প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার, কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংক্রান্ত আইনকে কার্যকরী করতে গিয়ে সত্যের অপলাপ ঘটাচ্ছে।