Liberals on Mamata

মমতাকে সুবিধা পাইয়ে দিতে এখন লিঙ্গ রাজনীতিকে তুলে ধরা হচ্ছে

রন্তিদেব থেকে সেমন্তী ঘোষ, এঁরা বা এঁদের মতো সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষরা অতীতে বা বর্তমানে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনীতির বাইরে একটি আইকন হিশেবে প্রতিষ্ঠিত করবার চেষ্টা করেছেন বা করছেন, এমনটা কিন্তু অতীতে ভারতের কোনো রাজনীতিককে নিয়েই হয় নি।পন্ডিত নেহরুর যথেষ্ট গুণগ্রাহী মহল ছিল।কিন্তু তা বলে অরাজনৈতিক ভাবে নেহরুকে দেবত্ব আরোপ কখনো করা হয় নি।আর এই দেবত্ব আরোপের বিষয়টি নেহরু পছন্দ করতেন , সমসাময়িক সাংবাদিকদের কারো লেখাতে তেমন কোনো সাক্ষ্য নেই।চেলাপতি রাও , যিনি অত্যন্ত কমিউনিষ্ট বিদ্বেষী সাংবাদিক ছিলেন, হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে পর্যন্ত , ‘আ কমিউনিষ্ট অফ আ ফেরোসাস টাইপ ‘ বলে চিহ্নিত করেছিলেন,তিনি ও ব্যক্তি ক্যারিশমা তৈরির সাংবাদিক প্রবণতাকে পন্ডিত নেহরু কতোখানি অপছন্দ করতেন, সে সম্পর্ক লিখে গিয়েছেন।

The Inculcable Oversights

অনবধানতার রাজনীতি

সরকারী ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে সুদ কমলে কি হয়? অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চিন্তায় জনসাধারণ সরকারী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে অধিক সুদের ফাঁদে পড়ে বেসরকারি বিভিন্ন ফান্ডে (চিট ফান্ড যার মধ্যে অন্যতম) আমানত জমা করবেন। সেই সব বেসরকারি হাতে আমানত কতদূর সুরক্ষিত তা সবার জানা। আমাদের রাজ্যেই সারদা কেলেঙ্কারির সাম্প্রতিক উদাহরণ রয়েছে। বাজারে সংকট, বহু কর্পোরেট সংস্থা সরকারী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়ে গেছে – এই অবস্থায় জনসাধারনের সঞ্চিত অর্থকে ঘুরপথে বাজারে পূঁজির যোগান হিসাবে পরিণত করতে চাইছে মোদী সরকার। সারা দেশে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন চলছে – এই অবস্থায় এমন বিজ্ঞপ্তি ক্ষমতাসীন দলের প্রতি জনরোষের জন্ম দেবে এটুকু বুঝতে মোদী সরকার অনবধানের ভুল করতেই পারে না। জনসাধারনের অর্থকে বিভিন্ন পন্থায় কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া যাদের ধারাবাহিক কর্মসূচী সেই সরকার এমন সিদ্ধান্ত পুনরায় কার্যকরী করতে পারে এই কথা সবাইকেই মাথায় রাখতে হবে, নির্বাচনের সময় বলেই এমন সন্দেহ আরও বেশী কার্যকর।

Election Day 2

নির্বাচনের দিন সিপিআই(এম)'র বক্তব্য (দ্বিতীয় পর্ব)

অশান্তি, ভয় দেখানো এবং প্রতিশ্রুতি মতো নির্বাচন কমিশনের সক্রিয়তা সর্বক্ষেত্রে দেখা না গেলেও সংযুক্ত মোর্চার কর্মীরা সারাদিন যেভাবে মানুষের পাশে থেকে তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করে গেছেন তার জন্য সংযুক্ত মোর্চার কর্মীদের পার্টির তরফে অভিনন্দন।

Red Flag CPIM

বেতারে নির্বাচনী ভাষণ (পর্ব - ৩)

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন চলছে।আজ ১লা এপ্রিল রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহন হয়েছে। আগামী ২রা এবং ৩রা এপ্রিল ২০২১ আকাশবাণীতে সিপিআই(এম)-এর নির্বাচনী ভাষণ সম্প্রচারিত হবে।

Buddhadeb Bhattacharya

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রেস বিবৃতি...

বামফ্রন্ট সরকারের সময় থেকেই যে অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ভাবনা আমরা রাজ্যের
মানুষকে বলার চেষ্টা করেছি তা হল কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। আমরা
সেই পথ ধরেই এগিয়েছি।

muktijoddha

মুক্তিযুদ্ধের সাথে নিজের নাম জড়ানোর নেপথ্যে কোন রাজনীতি?

মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ অখুশি হতে পারে এমন কোনো কাজ কখনো আর এস এস বা তাদের কোনো সময়ের রাজনৈতিক সংগঠন করে নি।তাই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থের চরম পরিপন্থী, মার্কিন দেশের সেই সময়ের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী সোভিয়েট ইউনিয়ন কে শায়েস্তা করতে , ভারত কে শায়েস্তা করার নীতির পরিপন্থী বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কোনো অবস্থান নেওয়া কোনো আর এস এস নেতা কর্মীদের পক্ষে রাজনৈতিক ভাবে অসম্ভব ছিল।

Election Day 27.03.21

নির্বাচনের দিন সিপিআই(এম)'র বক্তব্য (প্রথম পর্ব)

প্রথম দফার নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই শাসকদলই নিজেদের সাধ্যমতো মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে, তবু যেভাবে মানুষ ভয়কে অতিক্রম করেই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন, নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন তা অন্যান্য দফার নির্বাচনে দৃষ্টান্ত হবে। এটাই আজকের ভোটদানের সারমর্ম। আগামী পর্বের নির্বাচনে এই ঘটনা মানুষকে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সাহস যোগাবে, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সেই প্রত্যয়ে দৃঢ়।