Modi Govt And Employment 4

সংস্কারের নামে আসলে স্থায়ী কাজকেই তুলে দিচ্ছে সরকার

শ্রমিকেরা লড়াই করছেন। গত বছর ২৬শে নভেম্বর সারা দেশে ঐতিহাসিক ধর্মঘট পালন করেছেন তারা – দেশজোড়া ঐক্য নির্মাণ করে। পুঁজিবাদ, কর্পোরেট এবং তাদের ধামাধরা মোদী সরকার যতই চেষ্টা করুক শ্রমিকদের সংগ্রামী ঐক্য ভেঙ্গে দিতে এদেশে শ্রমিক – মেহনতি জনতা জানেন তাদের একমাত্র হাতিয়ার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম। আজকের দিনে শ্রমিকশ্রেনীর উপরে যে অভূতপূর্ব আক্রমন তার মোকাবিলায় লেনিনের কথা মনে রাখতেই হবে – “A basic condition for the necessary expansion of political agitation is the organisation of comprehensive political exposure.”

Employment and BJP Govt 3

"ইস্ট ফোর ড্যুইং বিজনেস" বলে আসলে মালিকদের শোষণের ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে

মুনাফার লোভে পুঁজিবাদ কতটা নির্লজ্জ হতে পারে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে লেনিন বলেছিলেন “মুনাফার গন্ধ পেলে এরা পারে না এমন কোন কাজ নেই, প্রয়োজনে মৃত মায়ের চামড়া ছাড়িয়ে ডুগডুগি বাজাতেও এরা পিছপা হবে না।” – আজকের ভারতে সরকারের ভূমিকা দেখলে তিনি কি বলতেন সেই কথা উপলব্ধি করতে পন্ডিত হতে হয় না।

BJP Govt and Emplyment (2)

শ্রম আইনের নামে মালিকদের স্বার্থরক্ষা করাই বিজেপি সরকারের অ্যাজেন্ডা

এঙ্গেলস বলেছিলেন “Actually, each mental image of the world system is and remains limited, objectively by the historical situation and subjectively by its author’s physical and mental constitution.”… মোদী সরকার কেন শ্রমিক-মজুর-গরিব মানুষের সরকার নয় তা বুঝতে পন্ডিত হতে হয় না, অন্য দল থেকে বিধায়ক কিংবা সাংসদ কেনার উদ্দেশ্যে বিজেপি যেভাবে বিপুল অর্থব্যায় করে সেই টাকার সংস্থান কোথা থেকে হয় এটুকু জানলেই চলে। অন্তত সেই ব্যাপারে সরকার সৎ তো বটেই!

রোটি কাপড়া নোকরি মকান মাঙ রহা হ্যায় হর ইন্সান - শমীক লাহিড়ী

১৫ মার্চ, ২০২১ সোমবার আব্বাস সিদ্দিকী ভয়ঙ্কর মৌলবাদী। কারণ তিনি মসজিদ-মন্দিরের পাশে বসে থাকা ভিক্ষুকের হাতে কাজ চান। আব্বাস সিদ্দিকী

রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণের বাজেট প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ১৫-১৬, ১৭ ও ১৮ই মার্চ ব্যাঙ্ক এবং বিমা শিল্পে ধর্মঘট - প্রদীপ বিশ্বাস*

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী গত ১লা মার্চ সংসদে বাজেট পেশ করতে গিয়ে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং বিমা ক্ষেত্র নিয়ে যে প্রস্তাব করেছেন

রুখে দিতে হবে সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার

ভারতে যুগ যুগ ধরে প্রবাহিত বহুত্ববাদী চেতনার নির্যাস হল আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ, সমন্বয়বাদী সংবিধান।এই সংবিধানকে তছনছ করতে চায় আর এস এস , বিজেপি।ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান ধ্বংস করে সাম্প্রদায়িক চেতনায় একটা অংশের হিন্দুদের পরিচালিত করে , দেশকে হিন্দু রাষ্ট্র করতে চায়, আর এস এস , বিজেপি এবং তাদের দৃশ্যমান আর অদৃশ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মতো বন্ধুরা। তাই দেশের বহুত্ববাদী ধারা র সংবিধানকে ধর্বংস করাই এদের লক্ষ্য।সেই বহুত্ববাদকে বুক দিয়ে আগলে রাখতেই জাতি,ধর্ম, ভাষা, লিঙ্গ নির্বিশেষে হকের লড়াই লড়তে নেমেছে আই এস এফ বাম , কংগ্রেসের সঙ্গে একযোগে।সেই বহুত্ববাদের সাধনাকে শেষ করে দিতেই তো আই এস এফ কে সাম্প্রদায়িক সংগঠন, মৌলবাদী চিন্তাধারার ধারকবাহক বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

Modi Govt & EPF

প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন এবং অন্যান্য সুযোগসুবিধা বাতিল করতে চায় সরকার

কেউ যুক্তি হাজির করতে পারেন, লকডাউন পরবর্তী সময়ে ছোট বড় সংস্থাগুলি বাড়তি মুনাফা করতে চাইলে তা এমন কি অন্যায়! তাদের মনে রাখা উচিত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, EPF সংক্রান্ত ভুয়ো তথ্য জমা করে শ্রমিক কল্যান খাতে খরচ কমিয়ে এই সংস্থাগুলি যে বাড়তি মুনাফার ব্যাবস্থা করে তা দেশের বা জনগণের কোনও কাজেই লাগেনা, কারন সেই বিপুল মুনাফাই আয়ব্যায়ের খাতায় লেখা থাকে না, ফলে বাড়টি মুনাফায় একটি পয়সাও বাড়তি কর দিতে হয় না – গোটাটাই চলে যায় ব্যাক্তিগত মালিকানার পকেটে, এতে যেমন এইসব সংস্থায় কর্মরত শ্রমিক – কর্মচারীদের কোনও সুবিধা নেই, উল্টে শোষণ বাড়ে – আবার অন্যদিকে দেশের রাজস্বখাতেও কোনও বাড়তি সংস্থান হয় না। ফলে ক্ষতির প্রভাব সার্বিক, যদিও মুনাফা কামানর পথে উৎপাদন (পণ্য হোক বা পরিষেবা) শ্রমের ভূমিকা এখনও সামাজিক! মুনাফার খোঁজে নির্লজ্জ পুঁজিবাদের চরিত্র বর্ণনা করতে ঠিক মার্কস যেমনটা বলেছিলেন।

PB Statement

ধর্মীয় স্থান সংক্রান্ত ১৯১৯১ সালের আইনের পক্ষেই অবস্থান নিক কেন্দ্রের সরকার - পলিট ব্যুরোর বিবৃতি

সিপিআই(এম)-এর পলিট ব্যুরো জোরের সাথে ঘোষণা করছে, যে পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের ধর্মীয় স্থান সম্পর্কিত বিশেষ আইন প্রণীত হয়েছিল তার কোনোরকম পুনঃচর্চা নিষ্প্রয়োজন। এই আইন সম্পর্কে কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, ১৯৯১ সালের আইনের পক্ষেই কেন্দ্রীয় সরকারের স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করা উচিত।

PB Statement

মায়ানমারের নির্যাতিত মানুষদের রিফিউজি হিসাবে চিহ্নিত করার দাবী জানালো পলিট ব্যুরো

ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে দেশের জনগণের সেই সহমর্মিতার অনুভব থাকা উচিত, দুইদেশের মাঝের সীমানা পেরিয়ে আসছেন বলেই কাউকে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ বলে দাগিয়ে দেওয়া চলে না। নির্যাতনের শিকার হয়ে যারা আসছেন তাদের রিফিউজি হিসাবে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং মানবিক সহায়তা দেওয়াই কর্তব্য।