CPIMCC

কেন্দ্রীয় কমিটির বিবৃতি

ভারতের সংবিধানের ৩৭০ নং এবং ৩৫(ক) ধারা বাতিলের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে সিপিআই(এম) সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত আবেদনে সাড়া দিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত দ্রুত বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করুক – কেন্দ্রীয় কমিটি সেই আবেদন জানাচ্ছে।

Unemployment Measures

ভারতে বেকারত্ব নির্ণয় প্রসঙ্গে

একদিকে কৃষিকাজ থেকে উচ্ছেদ হয়ে মজুরে পরিণত হওয়া, আরেকদিকে নতুন অর্থনৈতিক বন্দোবস্তে কাজের সুযোগ কমে যাওয়ায় নয়া-উদারবাদের যুগে সারা দেশে বেকারত্মের হার বেড়ে চলেছে। যদিও সরকারী পরিসংখ্যান পদ্ধতির জাঁতাকলে এহেন ভয়ানক বেকারত্মের যথার্থ চিত্র কখনো স্পষ্ট হয় নি। একে বুঝতে গেলে সেইসব সরকারী পদ্ধতি ব্যাতিরেকে বিকল্প পথে চলতে হবে, হিসাব করতে হবে – আমরা এই প্রবন্ধে সেই পথেই আলোচনা করতে চেয়েছি।

AIKS-1

কৃষকরা আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছেন - এই লড়াই চলবেঃ ৩৭ তম রাজ্য সম্মেলনে কৃষকসভার আহ্বান

স্বাধীনতার আগে পরে ভারতে এতবড় কৃষক আন্দোলন কখনো হয় নি, এতগুলি সংগঠন একসাথে মিলে আন্দোলন পরিচালনার কাজও নজীরবিহীন। একইসাথে এই কৃষক আন্দোলন দেশের মানুষের বিভিন্ন দাবিসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলার কাজেও রাস্তা দেখাচ্ছে – প্রতিদিন আন্দোলনে দেশের মানুষের বিভিন্ন অংশ যুক্ত হচ্ছেন, শ্রমিক সংগঠনগুলি প্রথম থেকেই এই লড়াইতে পাশে রয়েছে। দেশজূড়ে সফলভাবে পালিত হচ্ছে রেল রোকো, ধর্মঘট। এই প্রথম ভারতে কর্পোরেট বিরোধী আন্দোলন এমন মাত্রায় সংগঠিত হয়েছে -সেই কাজে প্রথম রাস্তায় নেমেছে কৃষকরাই, এমনকি লকডাউনের বিধিনিষেধ অগ্রাহ্য করেই।

ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার ১০১তম বার্ষিকী

এম এন রায় উপলব্ধি করেছিলেন বিদেশের মাটিতে গড়ে ওঠা কমিউনিস্ট পার্টি খুব বেশি কিছু হয়তো করতে পারবে না, কিন্তু লেনিনের উপস্থিতিতে কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের স্বীকৃতি পাবে, এই খবরে দেশের মেহনতি মানুষ এবং কমিউনিস্ট সংগঠকরা অত্যন্ত উৎসাহ পাবেন এই ছিল রায়ের যুক্তি – ততদিনে রাশিয়ার বিপ্লবের খবর ভারতে পৌঁছে গেছে, দেশের মেহনতি জনগণ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন – একদিন নিজেদের দেশে তারাও প্রতিষ্ঠা করবেন শ্রমিক রাষ্ট্র। লেনিনের নেতৃত্বে রাশিয়ার বিপ্লব সমাজতন্ত্রের স্বপ্নকে বাস্তব করেছিল – শ্রমিক রাষ্ট্র কল্পনার আকাশ থেকে পৃথিবীর মাটিতে নেমে এসেছিল।

দুঃখের অযুত অক্ষর ফুটে উঠবে জাতিভিত্তিক জনগণনায় - অলকেশ দাস

১৮৫৭’র মহাবিদ্রোহে তখন ব্রিটিশ পর্যুদস্ত । কোনমতে বিদ্রোহ সামাল দিয়ে ব্রিটিশরা গালে হাত দিয়ে ভাবছে ভারতে তাদের শাসন কিভাবে গতিশীল,

PB Statement

অবিলম্বে বিএসএফের আওতাধীন এলাকার সম্প্রসারন প্রত্যাহার করতে হবে - পলিট ব্যুরোর বিবৃতি

রাজ্যগুলির সঙ্গে কোনোরকম পরামর্শ না করেই কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর এখতিয়ার বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুলিশের কাজ এবং আইন-শৃঙ্খলা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যগুলির আওতাধীন বিষয় এবং এহেন সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সেই নীতিকেই লঙ্ঘন করা হয় যা দেশের সংবিধানের এক মৌলিক বৈশিষ্ট্য।

PB Statement

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা - পলিট ব্যুরোর বিবৃতি

কয়েক শতাব্দী ধরেই নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাস নির্বিশেষে দুর্গাপূজাকে বাঙালি মানুষজন সম্প্রীতির উৎসব হিসাবে পালন করে এসেছেন। বাংলাদেশও বরাবর সেই ঐতিহ্যই পালন করে। সিপিআই(এম)-এর পলিট ব্যুরো প্রত্যাশা রাখছে সেই ঐতিহ্য বজায় থাকবে এবং আরও শক্তিশালী হবে।

PB Statement

দেশ জূড়ে কয়লার যোগানে ঘাটতি - পলিট ব্যুরোর বিবৃতি

দেশের চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত কয়লা যোগানের ক্ষমতা আমাদের খনিগুলির রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে মজুত কয়লা না থাকার সমস্যার কারন হল যথাযথ পরিকল্পনার অভাব এবং দায়িত্ব পালনে অযোগ্যতারই একটি উদাহরণ। মোদী সরকার বিদ্যুৎ ও কয়লা মন্ত্রকের মধ্যে সমন্বয় সাধনের বুনিয়াদি কাজে ব্যর্থ এবং এখন সেই ব্যর্থতার জন্য কোল ইন্ডিয়াকে তারা বলির পাঁঠা বানাতে চাইছে। আজকের ভারত দেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রকগুলির মধ্যে সমন্বয় ও পরিকল্পনার মতো সহজ বিষয় পরিচালনা করতেও মোদী সরকারের অক্ষমতার মূল্য দিচ্ছে।

PB Statement

পলিট ব্যুরো কমিউনিকে

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আমলে দেশের জাতীয় সম্পদের নিরলস লুট অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় পতাকার বাহক সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়াকে টাটাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। মোদি সরকার কর্তৃক এই বিক্রি টাটাদের বিনামূল্যে উপহার দেওয়ার সমতুল্য। টাটারা এই বিক্রির সূত্রে ১৫৩০০ কোটি টাকার ঋণের দায় নেবে, বোঝাই যাচ্ছে পরবর্তীকালে সেই ঋণ সম্পর্কে নতুন সিদ্ধান্ত হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে কেবলমাত্র ২৭০০ কোটি টাকা নগদ দিয়েই এয়ার ইন্ডিয়ার ৪৬২৬২ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল সম্পদের মালিক হল টাটা গোষ্ঠী। অবশিষ্ট ঋণের ৪৬,২৬২ কোটি টাকার দায় বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার, যার অর্থ এই ঋণ পরিশোধের ভার জনগণের উপরে চাপানো হবে।

PB Statement

কমরেড বিজন ধরঃ এই মৃত্যু পার্টির জন্য বড় ক্ষতি - পলিট ব্যুরো

বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা সত্ত্বেও কমরেড বিজন ধর পার্টির কাজে অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে গেছেন। পার্টির লক্ষ্যের প্রতি উচ্চ স্তরের অঙ্গীকারই তার এহেন আচরণের ব্যাখ্যা। ত্রিপুরায় হিংসাত্মক আক্রমণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পার্টি যখন সাহসিকতার সাথে লড়াই চালাচ্ছে তখন কমরেড বিজন ধরের এবং গত মাসে তারই সহকর্মী কমরেড গৌতম দাসের মৃত্যু পার্টির জন্য একটি বড় ক্ষতি।