গণতন্ত্রে ছুটে গিয়ে, অস্ত্র নিয়ে মহাকরণ দখল করা যায় না। মমতা ব্যানার্জি জানতেন। তবু ‘অভিযান’ হয়েছিল। কাউকে খুশি করতে, বামফ্রন্টকে সেই সময়ে বিপাকে ফেলতে।

গণতন্ত্রে ছুটে গিয়ে, অস্ত্র নিয়ে মহাকরণ দখল করা যায় না। মমতা ব্যানার্জি জানতেন। তবু ‘অভিযান’ হয়েছিল। কাউকে খুশি করতে, বামফ্রন্টকে সেই সময়ে বিপাকে ফেলতে।
মোদি সরকারের দাবি যে এই মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে কোনও বিরোধিতা করা হয়নি একথা স্পষ্টতই অসত্য।খোদ কেরালার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের তীব্র আপত্তি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন এবং তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ২০২১ সালের নভেম্বরের প্রথম দিকে এই প্রস্তাবগুলির বিরুদ্ধে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন যখন সেগুলি প্রথম উত্থাপিত হয়েছিল।
৫ জুলাইয়ের কাছাকাছি, মূলধারার মিডিয়ার একটি অংশ এই কথিত বাঁধ কাটাকে ‘বন্যা জিহাদ’ বা ‘ফ্লাড জিহাদ’ নামকরণ করে দেয়। নিউজএক্স শিলচরে বন্যা সংক্রান্ত একটি প্রাইমটাইম বিতর্ক সম্প্রচার করে।
দেশের সরকার যখন ক্ষুদ্র উৎপাদকের কথা, বিরাট পুঁজির মুখোমুখি তাদের লড়াইয়ের কথা ভাবছে না ঠিক তখনই একটা রাজ্যের সরকার কিই না করতে পারে- সেই ইতিহাসই লিখছে এলডিএফ সরকার।
, ‘আজ আমি শ্রেণিহীন সমাজের প্রতি আকৃষ্ট। এবং এই আকর্ষণ জন্মেছে কিছুটা মার্কসবাদ পড়ে। আর কিছুটা এসেছে এদেশের প্রাচীন আফ্রিকান সমাজের কাঠামো ও সংগঠন প্রণালীর প্রতি শ্রদ্ধার ভাব থেকে। সেসময়ে উৎপাদনের প্রধান উৎস ছিল ভূমি। এবং ভূমি ছিল উপজাতির যৌথ সম্পত্তি। একথা সত্য যে আমি মার্কসবাদী ভাবধারার দ্বারা প্রভাবিত।
যারা এই পৃথিবীর শোষণের কারাগার গুলিকে ভেঙেছেন, তাঁরাও কোনো ফরিস্তা নন! পয়গম্বরও নন। তারা সাধু সন্ন্যাসীও নন। মানুষ! রক্ত মাংসের মানুষ। নেলসন ম্যাণ্ডেলাও রক্ত মাংসের মানুষ।
সারা দেশে পার্টির সমস্ত ইউনিটই আগামী ১ থেকে ১৫ অগাস্ট ৭৫ তম স্বাধীনতা বর্ষ বিষয়ক কর্মসূচির আয়োজন করবে। দেশের ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও সাধারণতান্ত্রিক চরিত্রকে সুরক্ষিত রাখতে, ভারতের সংবিধান এবং নাগরিকদের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারসমূহের রক্ষায় জনসাধারণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েই ঐ কর্মসূচি আয়োজিত হবে।
মোদী সরকার যতই এহেন সমস্যার ব্যখ্যায় অর্থনীতির তত্ত্বকথা আওড়াক না কেন হ্যামলেটের দুঃস্বপ্নের মতোই বারে বারে যার প্রসঙ্গ ফিরে আসবে তাকে বলে রাজনৈতিক-অর্থনীতি। অবশ্য এই বিষয়ে মোদী সরকারের অবস্থান স্পষ্ট- তারা নিজেদের নাক কেটেও ডলারের প্রমোদ ভ্রমণ আটকাতে চান না।
এখনই যদি পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সরকারী ব্যয়বরাদ্দ না বাড়ানো হয়, রোজগার নেই এমন পরিবারগুলিকে মাসিক ন্যুনতম ৭৫০০ টাকার ডিরেক্ট ক্যাশ ট্রান্সফার প্রকল্পের আওতায় না আনা যায় এবং গণবণ্টন ব্যাবস্থাকে আরও বিস্তৃত করে জনগণকে রিলিফ না দেওয়া যায় তাহলে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি দেখেও কিছুমাত্র শিক্ষালাভ হয় নি বলেই বুঝতে হবে।
মূল প্রাকারে খচিত সিংহমূর্তিটি মহিমাময়। শান্ত, ছিপছিপে, কমনীয়। রাজকীয়ভাবে আত্মবিশ্বাসী। কারন তা মানুষের উত্তরণের গর্বে বিজয়ীর মনোভাবে নির্মিত। মোদীর নতুন কাঠামোয় সিংহের চেহারা অপ্রয়োজনে আগ্রাসী। পেশিবহুল, ক্রুদ্ধ, আক্রমনের ভঙ্গীতে উদ্যত। যা আসলে নতুন ভারতের নামে হিন্দুত্বের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মুখ। যা ভারত নির্মাণের ইতিহাসকেই কামড়ে-আঁচড়ে তছনছ করে দিতে চায়।