Unemployment in India

অ-কাজের ভারত

এখনই যদি পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সরকারী ব্যয়বরাদ্দ না বাড়ানো হয়, রোজগার নেই এমন পরিবারগুলিকে মাসিক ন্যুনতম ৭৫০০ টাকার ডিরেক্ট ক্যাশ ট্রান্সফার প্রকল্পের আওতায় না আনা যায় এবং গণবণ্টন ব্যাবস্থাকে আরও বিস্তৃত করে জনগণকে রিলিফ না দেওয়া যায় তাহলে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি দেখেও কিছুমাত্র শিক্ষালাভ হয় নি বলেই বুঝতে হবে।

Indraneel Dasgupta

বাংলার অর্থনীতিঃ ধারণা ও বাস্তব

পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক সংকটের ইতিহাসকে বস্তুনিষ্ঠতায় স্বীকার করে সেই প্রসঙ্গে যদি কাউকে দায়ী করতেই হয় তবে দেশভাগ থেকে সেই আলোচনা শুরু করতে হবে। সেখান থেকে বিধান রায়, জহরলাল নেহরু এবং প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবিশ… – পণ্ডিত নেহরুর অর্থনৈতিক মডেলের প্রতিটি ব্যবহারিক তথা বৌদ্ধিক কর্ণধার অবধি সেই আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই অর্থনৈতিক মডেলই সমৃদ্ধির প্রসঙ্গে ১৯৪৭-এ সামনের সারিতে থাকা আমাদের রাজ্যকে পরবর্তী অন্তত আড়াই দশকের জন্য অবনমনের খাদে ঠেলে দিয়েছিল।

আজকের পরিস্থিতিতে কমরেড জ্যোতি বসুর উত্তরাধিকার সম্পাদনায় আমাদের সফল হতেই হবে - সীতারাম ইয়েচুরি

কাদের অথবা কাকে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে এই প্রশ্নের চাইতে বেশি গুরুত্বপুর্ন হল সমর্থনের প্রেক্ষিত, সময়ের দাবীকে চিনে নেওয়া এবং সেই অনুযায়ী সঠিক সিধান্ত কার্যকর করা। কমরেড জ্যোতি বসু এই রণকৌশল আমাদের সামনে ব্যখ্যা করেছেন, তাকে প্রয়োগ করে অতীতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মোকাবিলা করেছেন।

Jyoti Basu - Man Made Famine

দুর্ভিক্ষের কারণ কিছু মানুষ

১৯৪৩ সালে তৎকালীন বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। কমিউনিস্ট পার্টি নিজের সমস্ত শক্তি একত্রিত করে মানুষকে বাঁচানোর কাজে নামে – সংগ্রামের ইতিহাসে সেও এক অনন্য নজীর। মানুষের দুর্দশা এবং সরকারের অপদার্থতা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে একটি ছোট পুস্তিকা (হ্যান্ডবুক) প্রকাশিত হয়, শিরোনাম ছিল ‘দ্য ম্যান মেড ফ্যামিন’।ইংরেজিতে সেই লেখা ছিল জ্যোতি বসুরই।

সময়ের পতাকা যাঁদের হাতে

সময় যখন ডাক দেয় তখন উচিত কথা বলার জন্য সাহসে ভর করে সব কিছুকে বাজি রাখতে প্রস্তুত, এমনকী নিজেদের নিরাপত্তা পর্যন্ত, বিবেকবান সেই সৃষ্টিশীল মানুষদেররই— একমাত্র তাঁদেরই— আমরা শিল্পী হিসেবে স্বীকার করব, শ্রদ্ধা জানাব। আর কাউকে নয়। কখনই নয়।

Teesta Sitalvad Part I

বামপন্থীরাই পারবে (১ম পর্ব)...

নয়া উদারবাদের কৌশলকে না বুঝে আজকের ফ্যাসিবাদী প্রবণতার কৌশলকে উপলব্ধি করা যাবে না। শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে সঠিক বোধ ব্যাতিত কিভাবে জনগণের একটি ক্ষুদ্র অংশের জন্য পঞ্চম, ষষ্ঠ কিংবা সপ্তম পে কমিশনের আলোচনা হয় আমি বুঝিনা। আমাদের দেশে শ্রমিকদের ৯৩ শতাংশই অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত, তারা বেতন সংক্রান্ত এধরনের যেকোন সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

General Secretary States

ভারত হারলে কেউই জিতবে না - সীতারাম ইয়েচুরি

রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক হিসাবে সমাজে ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান কর্তব্য বলে মনে করি আমরা। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির হাতে বলি হয়ে আর একটিও জীবন যেন না হারায়। ভারতের বুকে বিভাজন যদি সম্প্রসারিত হলে কাররই জয় হবে না।

Teesta Setalvad 2022

ভীষ্মের ক্লিনচিট: সাজানো বিচারে ফের পান্ডবদের "মহান" কূটনীতিতে শিলমোহর

মা অন্ধ সেজে থাকলে পুত্ররা দুরাচারী হয়ে ওঠে একথা মহাভারতই না আইনব্যবস্থাও শেখাচ্ছে আমাদের৷ তাই শিক্ষকরা বলেন – ট্রুথ নয় ফ্যাক্ট! ইকুয়ালিটি নয় জাস্টিস৷ তার জন্য লড়াই চলবে, ভাঙাচোরা ব্যবস্থা ঠুকেঠাকে মেরামতই শুধু নয় দরকারে খোলনলচে বদলে ফেলতে হবে৷ দেশ জোড়া নিরপরাধ, কেবলমাত্র মতাদর্শগত বিশ্বাসের কারণে গ্রেফতার হওয়া সব তিস্তা শিতলবাদ, সব ফুল্লরা মন্ডলদের মুক্তির দাবীতে আপোষহীন লড়াই চলবে।

PB Statement

মামলা প্রত্যাহার করে তিস্তা শীতলবাদ সহ অন্যান্যদের মুক্তি দিতে হবে

২০০৪ সালে সুপ্রিম কোর্টই গুজরাটের ঘটনায় রাজ্য সরকারের মাথাদের ‘আজকের নীরো’ বলে চিহ্নিত করেছিল। সাম্প্রতিক রায়ে অতীত দিনের পর্যবেক্ষণের লেশমাত্র নেই। এই রায়ে তিস্তা শীতলবাদের মতো যারা দেশের বিচারব্যবস্থার উপরে আস্থাশীল তাদেরকেই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সংশয়হীন হয়েই বলা চলে এই মামলা কিউরেটিভ পিটিশনের জন্য উপযুক্ত।

এসকোবার-স্করপিয়ন কিক এবং ‘ক্যাম্বিয়া লা হিস্টোরিয়া’ -ঋজুরেখ দাশগুপ্ত

২৬ জুন , ২০২২ (রবিবার ) এই প্রজন্মের অনেকেরই কলম্বিয়ার সঙ্গে পরিচয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ওয়েব সিরিজের এপিসোডে। মেডেলিন কারটেল, ক্যালি