সমাজ বিপ্লব এবং শ্রেণীসংগ্রামের তত্ত্ব কে প্রতিষ্ঠাই নয়, সংগঠিত শ্রমিকশ্রেণীর নেতৃত্বে বিপ্লব এবং শ্রমিকশ্রেণীর একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠার একান্ত আবশ্যকতার প্রশ্নে মার্কস, এঙ্গেলস এবং মার্কসের অবর্তমানে এঙ্গেলস কে বিরামহীন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়েছিল। যারা কার্ল মার্কসের রচনা সমগ্র বা মার্কস-এঙ্গেলস-এর রচিত “কমিউনিস্ট ইশতেহারের” উল্লেখ করে শ্রমিকশ্রেণী কর্তৃক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পর কোথাও শ্রমিকশ্রেণীর একনায়কত্বের কথা উল্লেখ নেই বলে চিৎকার জুড়ে দিয়ে নিজেদের আসল চেহারা মুখোশের আড়ালে ঢাকা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে ব্যস্ত, তাদের দৃষ্টি বার বার প্যারি কমিউনের প্রতি আকৃষ্ট করে এঙ্গেলস দেখিয়ে দিয়েছেন শ্রমিকশ্রেণীর একনায়কত্ব বলতে প্রকৃতই মার্কসবাদীরা কি বোঝাতে চান।
Author: Souvik Ghosh
মোদী সরকারের রাজস্ব আদায় নীতির স্বরুপ সন্ধানে
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথেই মোদী সরকারের রাজস্ব আদায় নীতি অভ্যন্তরীণ মুদ্রাস্ফীতির হারকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। সরকার যদি সেই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তবে বিশ্বের দামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশীয় পেট্রোপণ্যের দাম না বাড়িয়ে তাদের উপরে চাপানো বর্ধিত কর কার্যকরীরূপে কমাতে হবে (যেমনটা তারা সম্প্রতি করেছে)। কিন্তু তারপরেও সরকারী ব্যয়বরাদ্দ কমিয়ে দিয়ে সেই ঘাটতির ভারসাম্য বজায় রাখা হবে যাতে রাজস্ব ঘাটতি সীমার মধ্যে থাকে এবং বিশ্বায়িত পুঁজির স্বার্থ অক্ষুণ্ণ থাকে। এর ফলাফল হবে অত্যন্ত হাস্যকর যখন মোদী সরকার জাতীয় অর্থনীতির মন্থর অবস্থার মধ্যেও বেকারত্বকে আরও ভয়াবহরূপে বাড়িয়ে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে।
কৃষক আন্দোলনের ঐতিহাসিক জয়ে সংযুক্ত কিষান মোর্চার বিবৃতি
সংযুক্ত কিষান মোর্চা আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিতে চায় যে কৃষকদের আন্দোলন শুধুমাত্র তিনটি কালো আইন বাতিলের জন্য নয়, বরং সমস্ত কৃষি পণ্যে উপযুক্ত সহায়ক মূল্যের একটি বিধিবদ্ধ আইনের দাবীতে সংগঠিত হয়েছে, এই লরাই দেশের প্রত্যেক কৃষকের। কৃষকদের এই গুরুত্বপূর্ণ দাবি এখনো আদায় হওয়া বাকি রয়েছে। বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল প্রত্যাহারও আমাদের অন্যতম দাবী। আগামী দিনে সেই লক্ষ্যে প্রতিটি পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখবে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। সংযুক্ত কিষান মোর্চা দ্রুত নিজেদের সহযোগী সংগঠনগুলিকে সাথে নিয়ে সাধারন সভায় মিলিত হবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ঘোষণা জানাবে।
কালা কৃষি আইন বাতিল এবং কৃষক আন্দোলনের জয় প্রসঙ্গে পলিট ব্যুরোর বিবৃতি
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র পলিট ব্যুরো জয়ের লক্ষ্যে কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ সংকল্পকে স্বাগত জানাচ্ছে। তিন কৃষি আইন বাতিল প্রসঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে তারা জানিয়েছেন কালা আইন বাতিলের প্রকৃত কার্যক্রম সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই তারা নিজেদের গ্রামে ফিরে জাবেন – লড়াইয়ের ভবিষ্যৎ রাস্তা নির্ণয়ে সংযুক্ত কিষান মোর্চার এহেন রণকৌশলের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করছে পলিট ব্যুরো
অর্ডিন্যান্স বাতিলের দাবি জানালো সিপিআই(এম)
অত্যন্ত নিন্দনীয়ভাবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রাক্কালে এই অধ্যাদেশগুলি জারি করা হল। আগামী ২৯শে নভেম্বর থেকেই শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতে চলেছে৷ বিজেপি সরকারের আমলে সংসদে আলোচনা এড়িয়ে “অর্ডিন্যান্স রাজ” কায়েম হয়েছে যা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর বিরোধী৷
১লা ডিসেম্বর প্রতিবাদ দিবস পালন করবে সিপিআই(এম)
হামলার লক্ষ্য হিসাবে সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের সদস্যদের টার্গেট করা হয়েছে। ‘গোরক্ষা’ এবং ‘লাভ জিহাদ’-এর নামে গণপিটুনি, পুলিশ হত্যা, মিথ্যা গ্রেপ্তারের ঘটনা একের পর এক হয়ে চলছে। উদাহরন হিসাবে বলা যায় সম্প্রতি এমন ঘটনা ত্রিপুরায় ঘটেছে, ভিএইচপি (বিশ্ব হিন্দু পরিষদ)-র গুণ্ডারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালিয়েছে, কিছু মসজিদে ভাঙচুরও করা হয়েছে। সাংবাদিক, যারা এই হামলার রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন তাদেরই বিরুদ্ধে UAPA-ধারায় মামলা করা হয়েছে।
পলিট ব্যুরোর প্রেস বিবৃতি
কেন্দ্রীয় সরকার শুল্ক বাবদ সেই আয় থেকেই সামান্য কিছু হ্রাস করেছে যার আদায় রাজ্যগুলির সাথে যৌথ তালিকাভুক্ত। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এখনও অতিরিক্ত বিশেষ শুল্ক (সারচার্জ) আদায় করে চলেছে যার পরিমাণ ৭৪,৩৫০ কোটি টাকা; এবং অতিরিক্ত শুল্ক (সেস) বাবদ আদায়ের পরিমাণ ১,৯৮,০০০ কোটি টাকা। এছাড়াও অন্যান্য সেস এবং সারচার্জের পরিমাণ ১৫,১৫০ কোটি টাকার। সব মিলিয়ে মোট ২.৮৭ লক্ষ কোটি টাকার শুল্ক আদায় করছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং এই আদায়ে রাজ্যগুলির কোনও প্রাপ্য নেই।
ভারতে কৃষির সমস্যা এবং কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে কিছু জরুরী প্রসঙ্গ
ন্যুনতম সহায়ক মুল্য হল সেই ব্যবস্থা যার কারনে কেন্দ্রীয় খাদ্যভান্ডারে খুব বেশি প্রভাব না ফেলেই সারা দেশজূড়ে ফসল বিক্রির ক্ষেত্রে কৃষকদের লাভজনক দাম পাওয়ার নিশ্চয়তা বজায় থাকে। ফসলে সহায়ক মূল্য বাড়ানো হলে সরকারী গুদামে চাপ বেশি না বাড়িয়েও কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পায়। ঐ তিনটি রাজ্য (পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশ) বাদে সারা দেশে নিজেদের গুদাম স্থাপনের কাজে এফসিআই’র অকর্মণ্যতা নিশ্চই রয়েছে। সেই কারনেই কয়েকটি রাজ্য সরকার খাদ্য মজুত করার কাজে নিজস্ব সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাতে বাধ্য হয়েছে। যেখানেই রাজ্য সরকারের সংস্থাগুলি সেই কাজ পরিচালনা করেছে, মজুতের কাজে খুব সফল না হলেও এদের কারনেই সেই সব রাজ্যে কৃষকরা লাভজনক আয় করতে পেরেছেন। তাই উচিত হবে গুটিকয়েক রাজ্যে নিজেদের কাজে পরিধিকে সীমাবদ্ধ না রেখে সর্বভারতীয় স্তরে এফসিআইকে আরও সক্রিয় করে তোলা অর্থাৎ কেন্দ্রীয় খাদ্য মজুত প্রক্রিয়াকে আরও বিস্তৃত করা।
বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের নয়া উদারবাদী সমাধান!
মোদি সরকার নয়া-উদারবাদী পথে চলতে নরকে যেতেও রাজি আছে। অর্থনীতিতে শ্রমজীবীদের কল্যানের উদ্দেশ্যে যেটুকু সংস্থান রয়েছে নির্লজ্জের মত সেইসবকিছু জলাঞ্জলি দিয়ে আন্তর্জাতিক লগ্নী-পুঁজির নির্দেশ পালনেই তাদের একমাত্র আগ্রহ। সরকারি ব্যায়বরাদ্দ এবং রাজস্বঘাটতিকে ক্রমাগত কমিয়ে দেবার পাশাপাশি শ্রমজীবীদের যাবতীয় অধিকারের উপরে একের পর এক আক্রমন নামিয়ে আনছে তারা। এই সরকারের স্পষ্ট অর্থনীতি হল উদ্বৃত্তে ক্রমশ মজুরির অংশ কমিয়ে দিয়ে মুনাফার হার বাড়ানোর কাজে পুঁজিপতিদের সহায়তা যুগিয়ে যাওয়া। শ্রমজীবী জনতার পকেট কেটে আগামিদিনে আরও উচ্চহারে টোল আদায় করবে তারা।
পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি জারী থাকবে
পেট্রোপন্যে কেন্দ্রীয় শুল্ক পেট্রোলের প্রতি লিটারে ৩৩ টাকা এবং ডিজেলের প্রতি লিটারে ৩২ টাকা। সেই কারনে দামের এহেন হ্রাসে সার্বিক অর্থনীতি কিংবা জনগণের উপর অত্যধিক জ্বালানির মূল্যের বোঝা এতে কমে না। কয়েকটি রাজ্যের উপনির্বাচনে বিজেপি’র খারাপ ফলাফলের জন্য এভাবে দাম কমানো হয়েছে, কার্যত এ হল উঠে দাঁড়ানোর আগে হাঁটু ঝাঁকুনি দেবার মতোই তাচ্ছিল্যের বহিঃপ্রকাশ।