‘কেপ্ট প্রেস’ এবং পেত্রোগ্রাদে এক আমেরিকান - চন্দন দাস

আমেরিকার শাসকদের ক্রোধ লোকটির প্রতি স্বাভাবিক। প্রথমত, লোকটিও আমেরিকান। দ্বিতীয়ত, পড়াশোনা করেছেন হার্ভার্ডে। তবু পুঁজিবাদী অর্থনীতির নিষ্ঠাবান প্রচারক হওয়ার বদলে হয়েছেন র‌্যাডিক্যাল। তৃতীয়ত, সবচেয়ে যা মারাত্মক — সোভিয়েত বিপ্লবের মত ‘ইতরদের হিংসা, বিশৃঙ্খলা’-র অনুপুঙ্খ বিবরণ লোকটি সংগ্রহ করেছেন প্রকাশ্যে — পেত্রোগ্রাদের কাদাভরা রাস্তায় হেঁটেচলে, নোংরা দেওয়াল থেকে সযত্নে গোছা গোছা ইশ্‌তেহার, ঘোষনাপত্র সোল্লাসে সংগ্রহ করে। ছদ্মবেশে রাশিয়া গেছেন। সেখানে মজুর, সৈনিক, কৃষকদের চিৎকার, তর্কের মাঝে পা মুড়ে বসে, তাঁদের আলোচনা থেকে ‘নোট’ নিয়েছেন। আর সেই সব কিনা গুছিয়ে বয়ে এনেছেন দেশে। লিখেছেন লুকিয়ে — খোদ নিউ ইয়র্কে বসে।

নভেম্বর বিপ্লব – মতাদর্শেরও সংগ্রাম

এমনটা না যে স্তালিনের আমলে কোনও ভুল ত্রুটি হয়নি। মাও বলেছিলেন স্তালিন ৭০% সঠিক, ৩০% ভুল করেছিলেন। মাও-এর মৃত্যুর পর তাঁর সম্পর্কে একই মূল্যায়ন করে চীন পার্টির কংগ্রেস। আমরা শতাংশ হারে বিচার করিনি, ভুলগুলি নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করেছি। ভুলগুলি অস্বাভাবিক নয়। সেগুলি থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাই আমাদের পথ দেখায়।

Battle Of StalinGrad

অজেয় সেনাবাহিনী বলে কিছু হয় না - স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধ

গনতন্ত্র, স্বাধীনতা, মানুষের অধিকার এই শব্দগুলো যতদিন মানবসমাজে প্রাসঙ্গিক থাকবে ততদিনই ইতিহাসের পাতায় আজকের পৃথিবীর মানুষের জন্য একটি ঋণের হিসাবও লেখা রয়ে যাবে। সেই ঋণ সেদিন লেখা হয়েছিল যেদিন সোভিয়েত লাল ফৌজের যান কবুল লড়াইয়ের সামনে আত্মসমর্পণ করেছিল হিটলারের অহংকার, জার্মান সেনাবাহিনী্র ষষ্ঠ ডিভিশন। ইতিহাসের পাতায় সেই আত্মসমর্পণ হয়েছিল আজকের দিনে – ৩১শে জানুয়ারি, ১৯৪৩ সালে।