নিজেদের একগুঁয়েমি পরিত্যাগ করে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এখনই সমস্যার সমাধা করতে সংযুক্ত কিষান মোর্চার সাথে আলোচনায় বসা।

নিজেদের একগুঁয়েমি পরিত্যাগ করে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এখনই সমস্যার সমাধা করতে সংযুক্ত কিষান মোর্চার সাথে আলোচনায় বসা।
একটা গোটা বছর কেন্দ্রীয় সরকার জরুরী পরিকাঠামো না গড়ে তুলে নষ্ট করেছে, আমাদের পক্ষ থেকে জানানো কোনো মতামত ই তারা গ্রহণ করেনি। এই সময়ে সরকার নিজেই এমন নানা কর্মসূচিতে সম্মতি দিয়েছে যাতে সংক্রমন অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
কেন্দ্রীয় সরকার কোভিশিল্ড টিকা কিনলে দাম ১৫০টাকা, রাজ্য সরকার কিনলে ৪০০টাকা আর বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে কিনতে হবে ৬০০টাকা দিয়ে। কোভ্যাক্সিন বেসরকারি হাসপাতালে ১২০০, রাজ্য সরকার কিনলে ৬০০ টাকা। কেন এই বৈষম্য? একদেশ, এক ভাষা, এক ধর্ম, এক নেতার পক্ষে সওয়াল করে কেন এক দেশ ৩ রকমের দাম? এটা আর একটা বড় ঘোটালা বিজেপি করছে, যখন দেশের মানুষ অসহায়ের মতো মৃত্যু মিছিলে দাঁড়িয়ে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের জনগণের প্রাণ বাঁচানোর কাজে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং প্রতিষেধকের বন্দোবস্ত করতে ব্যর্থ হলে আপনার নেতৃত্বে এই সরকার ক্ষমতায় থাকার যাবতীয় নৈতিক অধিকার হারাবে। জনস্বাস্থ্য এবং মানবতার এই সংকটের মোকাবিলা করা যায় এবং সরকারকে সেই দায়িত্ব পালন করতেই হবে। ইতিপূর্বে আপনার সরকার সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালনে বারে বারে ব্যর্থ হয়েছে, এখনকার পরিস্থিতিতে আরো একবার কেন্দ্রীয় সরকারকে ন্যূনতম দায়টুকু স্বীকার করে যথাযথ রূপে সক্রিয় হতে হবে।
এই উদ্ভুত সংকট যা আগামিদিনে ভয়ানক পরিস্থিতির জন্ম দিতে সক্ষম তাকে রোধ করতে গোটা দেশকেই একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের জীবনজীবিকা তীব্র সংকটে পড়েছে, দুর্দশা বেড়েছে। সরকারের তরফে এখনই অভাবী পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য এবং প্রতি মাসে নগদ ৭৫০০ টাকা পৌঁছানোর বন্দোবস্ত করতে হবে। একইসাথে এমএনরেগা প্রকল্পের পরিসরকে যতদূর সম্ভব বাড়াতে হবে। অতিদ্রুত শহরাঞ্চলে জনসাধারনের জন্য নিশ্চিত রোজগার সংক্রান্ত কর্মসূচী গ্রহন করতে হবে
দুই মাস পূর্বেই ঘোষণা করা হয়েছিল রাসায়নিক সারের দাম বাড়ানো হবে না কারন তার ফলে চাষের কাজে কৃষকদের উৎপাদন খরচ (ইনপুট কস্ট) বেড়ে যাবে, এরই মধ্যে আইএফএফসিও ( ইন্ডিয়ান ফারমার্স ফার্টিলাইজারস কোঅপারেটিভ লিমিটেড) যেভাবে বর্ধিত দামের তালিকা প্রকাশ করেছে তা এক নিদারুন রসিকতা। এমনটা হতে পারছে কারন সার উৎপাদন ক্ষেত্রকে মোদী সরকার সম্পূর্ণরুপে বিনিয়ন্ত্রনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সার উৎপাদক সংস্থাগুলিও কৃষকদের প্রাপ্য ভর্তুকির অর্থ না দিয়েই সারের চড়া বিক্রয়মূল্য ধার্য করছে। মোদী সরকার কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার কথা বলে কার্যত কৃষকদের দুর্দশা দ্বিগুন করে চলেছে
Tuesday, April 6, 2021 The Polit Bureau of the Communist Party of India (Marxist) has issued the following statement: The
সরকারী ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে সুদ কমলে কি হয়? অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চিন্তায় জনসাধারণ সরকারী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে অধিক সুদের ফাঁদে পড়ে বেসরকারি বিভিন্ন ফান্ডে (চিট ফান্ড যার মধ্যে অন্যতম) আমানত জমা করবেন। সেই সব বেসরকারি হাতে আমানত কতদূর সুরক্ষিত তা সবার জানা। আমাদের রাজ্যেই সারদা কেলেঙ্কারির সাম্প্রতিক উদাহরণ রয়েছে। বাজারে সংকট, বহু কর্পোরেট সংস্থা সরকারী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়ে গেছে – এই অবস্থায় জনসাধারনের সঞ্চিত অর্থকে ঘুরপথে বাজারে পূঁজির যোগান হিসাবে পরিণত করতে চাইছে মোদী সরকার। সারা দেশে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন চলছে – এই অবস্থায় এমন বিজ্ঞপ্তি ক্ষমতাসীন দলের প্রতি জনরোষের জন্ম দেবে এটুকু বুঝতে মোদী সরকার অনবধানের ভুল করতেই পারে না। জনসাধারনের অর্থকে বিভিন্ন পন্থায় কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া যাদের ধারাবাহিক কর্মসূচী সেই সরকার এমন সিদ্ধান্ত পুনরায় কার্যকরী করতে পারে এই কথা সবাইকেই মাথায় রাখতে হবে, নির্বাচনের সময় বলেই এমন সন্দেহ আরও বেশী কার্যকর।
ভয়াবহ একটা বছর আমরা কাটিয়ে এলাম। বিশ্বব্যাপী কোভিড মহামারীর প্রকোপ ঠেকাতে শুরুতে কেন্দ্র বা রাজ্যের সরকার গড়িমসি করার পরে শুরু