অস্ত্রাগার, যেটা ওদের রয়েছে, সেই অস্ত্রাগারের অধিকাংশ অস্ত্র আমারও দরকার। এ ক্ষমতা অর্জন করতে গেলে আমাদের শিখতে হবে, খাটতে হবে।

অস্ত্রাগার, যেটা ওদের রয়েছে, সেই অস্ত্রাগারের অধিকাংশ অস্ত্র আমারও দরকার। এ ক্ষমতা অর্জন করতে গেলে আমাদের শিখতে হবে, খাটতে হবে।
সরকারকে তাদের ভাষায় যোগ্য জবাব দিতে চোয়াল শক্ত করেছিলেন বাংলার মানুষ। শপথে ছিলো এইবার হয় এসপার নয় ওসপার।
ইতিহাস জানে, মানুষই, একমাত্র মানুষই ইতিহাস রচনা করেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিষ্ঠুরতার ইহাই পূর্ণ চিত্র নহে। এই নিষ্ঠুরতা সম্যক উপলব্ধি করিতে হইলে আরও কয়েকটি দিক স্মরণ রাখিতে হইবে।
সুদীর্ঘ এগার বৎসর কাল যে মিথ্যাচার চালাইয়া আসিয়াছেন তাহার ক্লেদাক্ত ইতিহাস মানুষের ভুলিবার কোন উপায় নাই।
আজকের প্রজন্মের কর্মীরা ইতিহাসের শিক্ষা গ্রহণ করেই আগামীর সংগ্রাম গড়ে তুলতে পার্টির কাজে সক্রিয় হবেন, এই শপথেই পালিত হোক আজকের কর্মসূচি।
অন্নদাতারা ধ্বংস হলে সারা দেশে বিধ্বংস নেমে আসে – এটা স্বতঃসিদ্ধ বিষয়।
খাদ্য আন্দোলন আমাদের রাজ্যে এবং দেশে মানুষের লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য নজীর। নিজেদের অধিকারের ন্যায্য দাবীসহ শাসকের সামনাসামনি হলে খেটেখাওয়া-মেহনতি মানুষের বিরুদ্ধে শাসকের আসল চেহারাটা বেরিয়ে আসে – তখন সেই লড়াই দাবী মেটানোর স্তর অতিক্রম করে সংগ্রামী মানুষের চেতনাকে এক নতুন স্তরে পৌঁছে দেয়। ঐতিহাসিক খাদ্য আন্দোলনকে এই আলোকেই দেখতে হবে, বিচার করতে হবে।
অরিন্দম মুখার্জি এই বছর ১৯৪৩ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ও আকালের ৮০ বছর। ওই দুর্ভিক্ষ নেমে আসার মাত্র কদিন আগেই যুক্ত
পঞ্চাশের দশকের শেষভাগে সারা রাজ্য চলছিল তীব্র খাদ্য সংকট। তার ওপর মূল্যবৃদ্ধির দাপট। সরকারি সংগ্রহব্যবস্থা ছিল না, ছিল না রেশন