একথা সত্য, কোনও আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালনের আগে যে কোনও সরকারেই নিজের দেশের নাগরিকদের জীবনকে অগ্রাধিকার দেবে। কিন্তু উন্নত দেশগুলির সরকারগুলির সামনে নিজেদের নাগরিকের জীবন বনাম অন্য দেশের নাগরিকদের জীবন সংক্রান্ত তুলনার প্রশ্ন কার্যত অহেতুক; সামগ্রিকভাবে ভ্যাকসিনের ঘাটতির কারণে একদল মানুষের জীবনযাত্রার ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে যা আসলে ব্যক্তিগত সম্পত্তি-অধিকার রক্ষার প্রয়োজনে সৃষ্ট একটি কৃত্রিম ঘাটতি। এহেন সুরক্ষার পরিকল্পনাই আসলে টিকার উৎপাদন বৃদ্ধি রুদ্ধ করে রেখেছে। সংক্ষেপে বললে এসব এক দেশের লোক বনাম আরেক দেশের লোকের প্রশ্নই নয়, এ হল লাভ বনাম মানুষের জীবনের মধ্যে যে কোন একটিকে বেছে নেবার প্রশ্ন।
Tag: CronyCapitalism
মানুষের জীবনের বিনিময়ে মুনাফার চক্রান্ত চলছে - এর জবাব চাই
মোদী সরকার এই হাহাকারের দায় কখনোই এড়িয়ে যেতে পারে না কারন যে “খোলাবাজারের” উদারবাদী নীতিতে আমাদের দেশে টিকার উৎপাদন সম্পাদিত হয়েছে তাতে এমনটাই ছিল অবশ্যম্ভাবী। জনগণের টাকায় টিকার গবেষণা চলেছে অথচ যখন প্রয়োজন এলো সেই গবেষণালব্ধ টিকা হয়ে গেল বেসরকারি মালিকানাধীন পণ্য! আর কে না জানে পণ্য উৎপাদন এবং তার মূল্য নির্ধারণের আগাগোড়া সবটাই অমানবিক!
কার্ল মার্কস: এক মহাজীবনের উত্তরাধিকার
খিদের মুখে বেড়ে দেওয়া একথালা ভাত যতই খিদে পাক না কেন গ্রাস গ্রাস করেই খেতে হবে, কিন্তু খিদে মেটাতে পুরো থালার ভাতটাই শেষ করতে হবে – মাও সে তুং’এর শিক্ষা। মার্কস চর্চাও ঐ সম্পূর্ণতার অভ্যাস ব্যাতিত সাফল্য দেবে না। লক্ষ্যে পোঁছাতে হলে সম্যক চর্চার পরিশ্রমসাধ্য পথই বেছে নিতে হয় – মার্কস নিজেই তাই করে গেছেন সারাজীবন ধরে। মতামত নির্মাণ – প্রতি মতামত নির্মাণ এবং সেই দুইয়ের যথাযথ সংশ্লেষে সিদ্ধান্ত গ্রহন, দ্বন্দ্বমূলক এবং ঐতিহাসিক বস্তুবাদের সার কথাটি ভুললে চলে না।
পুঁজির বিরুদ্ধে শ্রমের নিরন্তর সংঘর্ষের মূর্ত রূপ - মে দিবস
কয়েকটি বুনিয়াদি সত্য আমাদের বারে বারে স্মরণে রাখতে হবে। ‘পুঁজি হচ্ছে মৃত শ্রম’। পুঁজিবাদ চিরকাল ব্যবহার করে মৃত শ্রমকে।
পেট্রোপন্যে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানালো পলিট ব্যুরো
দেশের কতিপয় ধনী এবং নিজেদের পছন্দের তালিকায় থাকা ধান্দাবাজদের মুনাফার স্বার্থে মোদী সরকার যেভাবে করছাড়ের পুরস্কার দিয়েছে সেই ক্ষতি মিটিয়ে নিতেই দেশের জনগণের উপরে করের বোঝা ক্রমশ বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক মন্দা এবং মহামারীর দ্বিবিধ প্রকোপে জনসাধারনের জীবন জীবিকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, তার উপরে সরকার বাড়তি করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় বাজেট সম্পর্কে পলিট ব্যুরোর বিবৃতি
করোনা সংক্রান্ত খাতে সরকারী খরচ অনেক আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, কেবলমাত্র প্রতিষেধকের জন্য খরচটুকুই সরকারের ব্যায় হিসাবে এখন প্রয়োজন। এখন যে প্রসঙ্গে সরকারের অনেক বেশী পরিমানে ব্যায়বরাদ্দ করা প্রয়োজন তা হল মোটের উপর অর্থনৈতিক সংকট যার প্রধান খাতগুলি হল ধ্বংসপ্রাপ্ত কর্মসংস্থানের চেহারা, জীবন – জীবিকার সুরক্ষা, জনগণের আয় বৃদ্ধি এবং বাজারে চাহিদা হ্রাস পাওয়ার মোকাবিলা করা। যেভাবে সরকার গতবারের ব্যায়বরাদ্দের খরচ বকেয়া রেখেছে, এবং এবারের বাজেটেও ব্যায়বরাদ্দে কাটছাঁট করেছে তাতে বলাই যায় জনগণের উপরে এক বিপর্যয় নেমে আসতে চলেছে। এর ফলে জনগনের দুর্দশা বাড়বে এবং বৈষম্য বাড়িয়ে দেবে যার জন্য ইতিমধ্যেই ভারত সারা পৃথিবীতে সুপরিচিত।
কমরেড সীতারাম ইয়েচুরির সাক্ষাতকারঃ একটি প্রতিবেদন
গত ৩ এবং ৪ জানুয়ারি,২০২১ সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সভা হয় কলকাতায়। এই সভায় রাজ্য কমিটির সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন