এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার নিজের ছেলে জড়িত, ঘটনার পরে তিনি কৃষকদেরই দোষারোপ করে এহেন নৃশংসতাকে সমর্থন করেছেন। সাইরেন বাজিয়ে কৃষকদের সমাবেশে গাড়ি চালিয়ে তাদের হত্যা করার স্পষ্ট প্রমাণ হিসাবে ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং রয়েছে। এই ঘটনায় আহত এবং নিহতদেরকে “বহিরাগত” বলে অভিযুক্ত করার পাশাপাশি নিজেকে এবং তার আত্মীয়দের রক্ষা করার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের “খালিস্তানি” বলে দাবি করেছেন তিনি।
Tag: CPIM
এক মহাত্মা ও তার জীবন প্রসঙ্গে - ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ
অর্ধশতাব্দীরও বেশী সময় ধরে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা স্বীকার করছেন যে স্বপ্নের জন্য তিনি লড়াই করেছিলেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট সেই স্বাধীনতা আদৌ অর্জন করা যায়নি, ক্ষমতার বলে বলিয়ান হয়ে তাঁর প্রাক্তন শিষ্যরাই এমন স্বার্থপর এবং কুচক্রী হয়ে পড়েছেন যে নিজের হাতে গড়ে তোলা ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের গোটা সংগঠনটাকেই তিনি বাতিল করে দিতে চান – একমাত্র গান্ধীর পক্ষেই এতটা হিম্মত দেখানো সম্ভব ছিল। সত্যের উপলব্ধি প্রকাশের হিম্মতের জন্যেই তাকে প্রকৃত মহাত্মা বলা যায়, যিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা করলেন তার গোটা জীবনটাই লক্ষ্যভেদে ব্যার্থ।
ধর্মঘটের সাফল্যে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানালো সারা ভারত কৃষকসভা
গত কয়েক বছর ধরে লাগাতার বিভিন্ন আন্দোলনে যৌথ সংগ্রামের ফলে দেশের শ্রমিক-কৃষকের মধ্যে যে দৃঢ় শ্রেণীগত ঐক্য গড়ে উঠেছে তারই সাফল্যের প্রমান আজকের ভারত বনধ, দেশজুড়ে কর্পোরেট শোষণের বিরুদ্ধে কৃষি, শিল্প ও পরিষেবাক্ষেত্রেসহ বৃহত্তর যুক্তফ্রন্টের সংগ্রামই হল এই আন্দোলনের রাজনৈতিক দিশা। যে রাজনৈতিক দলগুলি এখনো কর্পোরেটদের স্বার্থ রক্ষা করছে তারা জনগণের পক্ষ থেকে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখোমুখি হবে এবং জনগণের উত্তাল আন্দোলন আগামীদিনে জনবিরোধী রাজনীতিকে পশ্চাদপসারণ করতে বাধ্য করবে।
উদারীকরণ ও আজকের ভারত (২য় পর্ব)
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের অধঃস্তন সহযোগী হয়ে উঠতে বর্তমানে যে কায়দায় নয়া-উদারবাদী সংস্কার চলছে তার ভিত্তি লুকিয়ে রয়েছে কর্পোরেটদের সাথে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তির আঁতাতের ভিতরে। সংবিধানের সংজ্ঞা অনুযায়ী এক ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র থেকে আরএসএস’র পরিকল্পনামতো ভারতকে এক অসহিষ্ণু, কর্তৃত্বকারী ফ্যাসিবাদী দেশে বদলে ফেলার পরিকল্পনাই হল ‘হিন্দুত্ব রাষ্ট্র’।
উদারীকরণ ও আজকের ভারত (১ম পর্ব)
নেহরু জমানা নিজের সমস্ত সীমাবদ্ধতা সত্বেও ইতিবাচক যা কিছু, যতটুকু অর্জন করতে পেরেছিল তাও বর্তমান ব্যবস্থায় দ্রুততার সাথে ধ্বংস করা হচ্ছে। যোজনা কমিশন এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সাহায্যে প্রতিষ্ঠিত পাবলিক সেক্টরগুলি (পিএসইউ) কার্যত দেশের অর্থনীতিকে দিশা দেখানোর এক প্রচেষ্টা ছিল যা ভারতের জন্য এক স্বাধীন অর্থনৈতিক ভিত্তি স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
ত্রিপুরায় হামলার প্রসঙ্গে - পলিট ব্যুরোর বিবৃতি
ত্রিপুরায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষকে চাপা দিতেই আক্রমণ তীব্র হয়েছে। ক্ষমতায় আসার তিন বছর পরেও বিজেপি সরকার নির্বাচনের সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতিসমূহ পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। অথচ এই সরকারের আমলে চালু জনকল্যাণ প্রকল্পগুলি এবং বামফ্রন্ট সরকারের উপজাতী মানুষ সম্পর্কিত নীতিগুলি বাতিল হয়েছে। আজ ত্রিপুরায় বুভুক্ষার তাড়না এবং অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে, বেকারত্ব বেড়েছে, অপরাধীদের প্রশ্যয় দেওয়া হচ্ছে। অথচ আরএসএস মানুষের মধ্যে ঘৃণা ও বিভাজনের বীজ বপনের চেষ্টায় ব্যস্ত রয়েছে। যখন গণমাধ্যমের খবরে বাস্তব অবস্থার ছবি তুলে ধরছে তখনই তাদের উপরে আক্রমণ নেমে আসছে। ৩০০ জনেরও বেশি গণমাধ্যমকর্মী শারীরিকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পর্যায়ে, বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে এমন ৪টি গনমাধ্যমের দপ্তরে হামলা হয়েছে। ত্রিপুরায় সিপিআই(এম) এবং বামপন্থীদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে মানুষের ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণই বিজেপিকে মরিয়া করে তুলেছে।
ত্রিপুরার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন সীতারাম ইয়েচুরি
আক্রমন রোধ করতে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের ব্যর্থতা যদি বাস্তবিক হয়ও তাহলেও মনে রাখতে হয় সংবিধানের নীতিগুলি বাস্তবায়নের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার বাধ্যবাধকতা।
ত্রিপুরায় হামলা চালানোর তীব্র নিন্দা পলিট ব্যুরোর
যে কায়দায় বিজেপি’র গুন্ডাবাহিনী পরিচালিত হয়েছে তাতে রাজ্য সরকারের এই ঘটনায় সরাসরি যোগসাজশ স্পষ্ট হয়েছে। এই হামলাগুলি হয়েছে কারণ শাসক দল বিজেপি ত্রিপুরা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের কার্যকলাপ দমন করার চেষ্টা করতে চেয়েও বারে বারে ব্যর্থ হয়েছে।
জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবিকে সমর্থন জানালো সিপিআই(এম)
জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবী পুনরায় সামনে এসেছে। সাধারণ জনগণনায় তফসিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি ভিন্ন জনগনের অন্যান্য পশ্চাদপদ অংশের মানুষ সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকে না। ভারতে বসবাসকারী জনগণের বিভিন্ন পশ্চাদপদ অংশগুলিকে চিহ্নিত করে সঠিক জনগণনার প্রয়োজন রয়েছে।
২৫ সেপ্টেম্বরের ভারত বনধ সফল করুন
কৃষি আইনসমূহ বাতিল এবং ন্যূনতম সহায়তা মূল্যের আইনি নিশ্চয়তার দাবীতে কৃষকদের ঐতিহাসিক সংগ্রাম তার দশম মাসেও অব্যাহত রয়েছে। সংগ্রামরত কৃষকদের সাথে কোনোরকম আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসুত্র খুঁজে বের করতে মোদী সরকার বারংবার অস্বীকার করছে। মোদি সরকারের এহেন আচরণের নিন্দা করার সাথে বাম দলগুলি এই দাবিও করছে যে নয়া কৃষি আইনসমূহ অবিলম্বে বাতিল করা হোক, ফসলের বিক্রিতে ন্যুনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেওয়া হোক, ন্যাশনাল মানিটাইজেশন পাইপলাইন পরিকল্পনা এবং নয়া শ্রম কোড বাতিল করা হোক। বামদলগুলির পক্ষ থেকে সারা দেশে নিজেদের সমস্ত ইউনিটকে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর, ভারত বনধ সফল করতে সক্রিয় হবার আহ্বান জানাচ্ছে। দেশের জনগণের সমীপে এই ভারত বন্ধকে সমর্থন করার জন্য বামদলগুলির পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হচ্ছে।