নিজের লেখা বইতে বিজয় গোখলে সংশ্লিষ্ট চুক্তির প্রশ্নে বামেদের বিরুদ্ধে যেসমস্ত অভিযোগ করেছেন তা ভিত্তিহীন। সম্ভবত তার জানা নেই, এই চুক্তি সম্পাদিত হবার সময় প্রধান বিরোধী দল ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং তারাও এই চুক্তি প্রসঙ্গে সংসদের আলোচনায় বিরোধিতাই জানিয়েছিল।
Tag: CPIM
কোভিড মহামারী, মৃত্যুমিছিল এবং সম্পত্তিরক্ষার পবিত্র অধিকার প্রসঙ্গে
একথা সত্য, কোনও আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালনের আগে যে কোনও সরকারেই নিজের দেশের নাগরিকদের জীবনকে অগ্রাধিকার দেবে। কিন্তু উন্নত দেশগুলির সরকারগুলির সামনে নিজেদের নাগরিকের জীবন বনাম অন্য দেশের নাগরিকদের জীবন সংক্রান্ত তুলনার প্রশ্ন কার্যত অহেতুক; সামগ্রিকভাবে ভ্যাকসিনের ঘাটতির কারণে একদল মানুষের জীবনযাত্রার ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে যা আসলে ব্যক্তিগত সম্পত্তি-অধিকার রক্ষার প্রয়োজনে সৃষ্ট একটি কৃত্রিম ঘাটতি। এহেন সুরক্ষার পরিকল্পনাই আসলে টিকার উৎপাদন বৃদ্ধি রুদ্ধ করে রেখেছে। সংক্ষেপে বললে এসব এক দেশের লোক বনাম আরেক দেশের লোকের প্রশ্নই নয়, এ হল লাভ বনাম মানুষের জীবনের মধ্যে যে কোন একটিকে বেছে নেবার প্রশ্ন।
জর্জ অরওয়েলের দুঃস্বপ্ন সত্যি হল?
তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত যাবতীয় আধুনিকতার যেরকম ভয়াবহ প্রচার ভারতে আজকের প্রজন্ম ইতিমধ্যেই দেখেছে বা দেখছে তার কারন কোন “ডিজিটাল ইন্ডিয়া” নয়, বিশ্ববাংলা তো নয়ই! এর পিছনের কারন বুঝতে হলে আমাদের ফিন্যান্স পুঁজি, পুঁজিবাদী আধুনিক অর্থনীতি এবং আজকের পৃথিবীতে সাম্রাজ্যবাদের সমবেত মিথস্ক্রিয়া বুঝতে হবে। সেই উদ্দেশ্যেই এই নিবন্ধের সুত্রপাত। স্মার্টফোনে স্পাইওয়্যার পাঠিয়ে নাগরিকদের চলাফেরায় আড়ি পাতছে দেশের সরকার – এ আর জেমস বন্ডের আষাঢ়ে গপ্পো নয়! জর্জ অরয়েল বেঁচে থাকলে আরেকবার 1984 লিখতে বসতেন কিনা জানার সুযোগ নেই, সোশ্যালিজম আদৌ পেরেছিল কিনা কেউ জানেনা কিন্তু পুঁজিবাদ তার সেই কষ্টকল্পনাকে সত্যি প্রমান করেই ছাড়ল; এখন বলতেই হচ্ছে বিগ ব্রাদার ইজ ওয়াচিং আস!
রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে চিঠি লিখল প্রধান বিরোধীদলগুলি
দেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে বিচারাধীন বন্দীর এহেন মৃত্যুর ঘটনায় যারা স্ট্যান স্বামীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়, গুরুতর অসুস্থ হওয়া সত্বেও মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে বারংবার তার জামিনের বিরোধিতা করে এবং জেলের ভিতরে তার সাথে চরম অমানবিক আচরণ করে সেইসব দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে কেন্দ্রীয় সরকার যার কার্যকারিতা আপনার অনুমতিস্বাপেক্ষ, তাকে আপনি অবিলম্বে নির্দেশ দিন – এই আমাদের আবেদন। তাদের কৃতকর্মের উপযুক্ত বিচার হওয়া প্রয়োজন। ভীমা কোরেগাঁও এবং অন্যান্য মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে দেশদ্রোহিতা এবং ইউ এ পি এ’র ন্যায় দানবীয় আইনের অন্যায্য প্রয়োগের জোরে আটক থাকা প্রত্যেক রাজনৈতিক বন্দীকেই এখনই মুক্তি দিতে হবে।
২১ শতকের মার্কসবাদ এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির একশো বছরের অভিজ্ঞতা
পুঁজিবাদকে উৎখাত করতে হয়। উপড়ে ফেলার সেই কাজ মূলত নির্ভর করে পূঁজির শাসনের বিরুদ্ধে শ্রমজীবী মানুষদের নেতৃত্বে সংগঠিত আন্দোলনসমূহের উপরে যা ক্রমাগত চলতি সমাজে শ্রেণিসংগ্রামের তীব্রতা বস্তুগতভাবে বাড়িয়ে চলে। আন্দোলনের বস্তুগত সামর্থ্যলাভ আসলে সমাজ বদলের লড়াইতে ‘বিষয়ীগত উপকরন’ যোগান দেয় এবং সেই সামর্থ্য অর্জনের জন্যই নিরন্তর সংগ্রাম একান্ত প্রয়োজন। সংকটকালীন পরিস্থিতি, যা হল সমাজ বদলের লড়াইয়ে ‘বিষয়গত উপাদান’ তা যতই তীব্র আকার নিক না কেন যদি পূঁজির শোষণ উচ্ছেদের লক্ষ্যে পূর্বোক্ত ‘বিষয়ীগত উপকরন’ যথাযথরুপে প্রস্তুত না থাকে তবে সমাজ বদলের সংগ্রাম সমাজবিপ্লবের স্তরে উন্নীত হতে পারে না।
গণসাধারণতন্ত্রী চীনের সাফল্য সম্পর্কে দুনিয়াজূড়ে মানুষজন প্রত্যাশায় বুক বেঁধেছেন
শান্তিপূর্ণ বৈদেশিক নীতি, প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা এবং দক্ষিণ এশিয়াসহ গোটা পৃথিবীতে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে গণসাধারণতন্ত্রী চীনের সাফল্য সম্পর্কে দুনিয়াজূড়ে মানুষজন প্রত্যাশায় বুক বেঁধেছেন।
মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা - বামদলগুলির সম্মিলিত আহ্বান
বামদলগুলির পক্ষে সমস্ত রাজ্য ইউনিটগুলির উদ্দেশ্যে আহ্বান জানানো হচ্ছে যাতে কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সমস্ত প্রয়োজনীয় সতর্কতা এবং বাধ্যবাধকতা মেনে এবং নিজেদের রাজ্যের নির্দিষ্ট পরিস্থিতি বিচার করেই উপরোক্ত বিষয়গুলিতে একপক্ষকাল ব্যাপি যথোপযুক্ত প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলে সাধারণতন্ত্র এবং ভারতের মানুষকে রক্ষা করতে হবে
বিগত দু’ বছর ধরে এ দেশের মানুষ এবং আমাদের সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র এক ভয়াবহ সময় অতিবাহিত করছে। আজ সময় আগত যে সকল মানুষ ভারতের সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র, তার মানুষের জীবন, জীবিকা, জীবনযাত্রার মান রক্ষা করতে ইচ্ছুক, মানুষের অলঙ্ঘনীয় সাংবিধানিক সমানাধিকার এবং অন্যান্য অধিকারসমূহকে, ব্যাক্তিস্বাধীনতা কে রক্ষা করতে ইচ্ছুক, যারা সাংবিধানিক সকল মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ গ’ড়ে তুলে ভারতের সাধারণতন্ত্র এবং ভারতীয় মানুষের উপর এই আক্রমণ কে প্রতিহত করতে হবে।
নাগরিকদের গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারী তথ্যপ্রযুক্তি আইন খারিজ করতে হবে - পলিট ব্যুরোর দাবী
অ্যাপের সুরক্ষাবিধিকে দুর্বল করে দিয়ে জনগনের ব্যাক্তিগত মেসেজের তথ্যকে সরকারের পক্ষে নজরদারি চালানোর লক্ষ্যে সহজলভ্য করে দেওয়ার আইন এক ভয়ানক এবং পশ্চাদপদ মানসিকতার পরিচয় দেয়। নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারকে লঙ্ঘন করে এহেন আইন আসলে এক শক্তিশালী পুলিশি রাষ্ট্রের অভিমুখে এগোনোর পথে চলা। সিপিআই(এম)-এর পলিট ব্যুরো এমন সকল আইন অবিলম্বে খারিজ করার দাবী জানাচ্ছে।