সংবিধানকে বাঁচানো ও সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত করবার জন্যই সংবিধানের মর্মবস্তু চর্চার পরিসরকে বাড়ানো দরকার। বিশেষ করে আগামী দিনের সমাজ গড়ার কারিগরদের কাছে তা বেশি বেশি করে বলা দরকার।

সংবিধানকে বাঁচানো ও সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত করবার জন্যই সংবিধানের মর্মবস্তু চর্চার পরিসরকে বাড়ানো দরকার। বিশেষ করে আগামী দিনের সমাজ গড়ার কারিগরদের কাছে তা বেশি বেশি করে বলা দরকার।
, বামপন্থীদের আপোষহীন লড়াই স্বৈরাচারী শক্তির বিরুদ্ধে। সত্তর দশকে বাংলা প্রত্যক্ষ করেছে আধা ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাস। পরবর্তীতে দেশজুড়ে জরুরী অবস্থার বীভৎসতা। অজস্র, অসংখ্য কর্মী আক্রান্ত। আক্রান্ত সাধারণ মানুষ। আক্রান্ত বিরোধী মনোভাবাপন্ন যে কেউ। প্রতিবাদের অধিকারটুকু পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হল।
স্বাধীনতা সংগ্রাম সঞ্জাত এই নানাবিধ ভাবনার প্রেক্ষাপটেই ‘ভারতের ধারনা’। তাঁকে মূল সূত্র রেখেই ভারতের সংবিধান। স্বাধীন ভারতের প্রাথমিক কাজ এই সংবিধানকে রক্ষা করা এবং সংবিধানের নির্দেশকে কার্যকরী করা। অতীতের মতই সেক্ষেত্রে বামপন্থী শক্তিকে ধারাবাহিকভাবে লড়াই জারি রাখতে হয়েছে।
।ভারতের সংবিধান সমস্ত ভারতীয়কে তাদের বিশ্বাসের পালন ও প্রচার করার অধিকার এবং নিশ্চয়তা দেয়।এটি একটি অবিচ্ছেদ্য অধিকার। একই সাথে, ভারতের সংবিধান স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে যে রাষ্ট্র কোনও বিশ্বাস/ধর্ম পালন বা অনুশীলন করবে না।
নয়া উদারবাদের কৌশলকে না বুঝে আজকের ফ্যাসিবাদী প্রবণতার কৌশলকে উপলব্ধি করা যাবে না। শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে সঠিক বোধ ব্যাতিত কিভাবে জনগণের একটি ক্ষুদ্র অংশের জন্য পঞ্চম, ষষ্ঠ কিংবা সপ্তম পে কমিশনের আলোচনা হয় আমি বুঝিনা। আমাদের দেশে শ্রমিকদের ৯৩ শতাংশই অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত, তারা বেতন সংক্রান্ত এধরনের যেকোন সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
আয়োজিত সভার আমন্ত্রণ পত্র হাতে পাওয়ার পরে মাত্র তিনদিন সময় রয়েছে, এমন ঘটনা অনভিপ্রেত।
মোদী সরকারের হলফনামায় চালাকি ছিল। বিশেষজ্ঞরা কেউ কেউ মনে করিয়েছেন যে আদালতে পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আবার আদালতকে সরেও যেতে বলা হয়েছে পুনর্বিবেচনা প্রক্রিয়ার থেকে। অর্থাৎ প্রশাসনিক স্তরে নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখে এই কাজ সারার আগ্রহ দেখাচ্ছে মোদী সরকার। নাগরিক স্বাধীনতার প্রতি দায়বদ্ধতার সঙ্গে অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বারবার প্রধানমন্ত্রীকে টেনে এনে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে সরকার নাগরিক স্বাধীনতার প্রশ্নে সংবেদনশীল।
তার কাছে এখনো কলকাতার বিমান’দা ডাকলে সেটা খুবই কাছের একটা ডাক। তবু তিনি বিচারক। তিনি মতাদর্শ নিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থার এই স্তম্ভে ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একজন মানুষ। একাধারে এজিটেশন, প্রোপাগ্যান্ডা অন্যদিকে প্র্যাকটিসের মধ্যে থাকা একজন মানুষ।
ভারতের সাধারণতন্ত্রের ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক চরিত্র অক্ষুণ্ণ রাখতে, দেশের সংবিধানকে রক্ষা করতে, হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির আক্রমণে জর্জরিত জনগণের সাংবিধানিক অধিকারসমূহ রক্ষার সংগ্রাম আরও তীক্ষ্ণ করতে আমাদের সকল দেশপ্রেমিককে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পার্টি কংগ্রেস। সকল জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে শ্রেণীসংগ্রাম ও গণসংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
একটি শক্তিশালী কমিউনিস্ট পার্টি, শক্তিশালী বাম ঐক্য এবং বাম-গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট গঠনের প্রচেষ্টাকে জোরদার করার সংকল্প নিয়েছে সিপিআই(এম)। আমরা আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি এবং দেশপ্রেমিকদের কাছে আমাদের সাংবিধানিক সাধারণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য ও হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির বিস্তৃত ফ্রন্ট তৈরি করে বিকল্প জনস্বার্থবাহী নীতি রুপায়নের সংগ্রামকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সমবেত সংকল্পের আবেদন করছি।