শেষ বয়সে তার কলম থেকে বেরিয়ে আসে ‘হাউ টু চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড’। আসলে ইঙ্গিত দিয়ে যান কাজ শেষ হয় নি, কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

শেষ বয়সে তার কলম থেকে বেরিয়ে আসে ‘হাউ টু চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড’। আসলে ইঙ্গিত দিয়ে যান কাজ শেষ হয় নি, কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
যতদিন দেশের জনগণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এই মিডিয়াতে চোখ রাখবেন, প্রভাবিত হবেন- তাদের প্রভাবিত করতে পুঁজিবাদ নিত্যনতুন ফিকির বের করে মানুষের মাথার দখল নিতে চাইবে ততদিন আমরাও এই মিডিয়াকে ব্যবহার করেই মানুষকে সচেতন করতে, তাদের সংহত করতে এবং সবশেষে মানুষখেকো ব্যবস্থা বদলের লক্ষ্যে মানুষের সংগ্রামের কথা প্রচার করতে থাকব।
একচেটিয়া পুঁজি, সামন্ততন্ত্র এবং সাম্রাজ্যবাদী শক্তির স্বার্থরক্ষা করেই বিপজ্জনক শক্তি বিজেপি। মানুষের সার্বিক ঐক্য আর লড়াই ক্রমশ জোরদার করা, এরকম সময়ে অনেক বেশী জরুরী।
, বামপন্থীদের আপোষহীন লড়াই স্বৈরাচারী শক্তির বিরুদ্ধে। সত্তর দশকে বাংলা প্রত্যক্ষ করেছে আধা ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাস। পরবর্তীতে দেশজুড়ে জরুরী অবস্থার বীভৎসতা। অজস্র, অসংখ্য কর্মী আক্রান্ত। আক্রান্ত সাধারণ মানুষ। আক্রান্ত বিরোধী মনোভাবাপন্ন যে কেউ। প্রতিবাদের অধিকারটুকু পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হল।
এই করে দেশের সর্বসাধারণের সর্বনাশ করা হচ্ছে। এদেশের যুবকগণ দেশের মুক্তির জন্যে কম নিগ্রহ ভোগ করেননি। ফাঁসিকাঠে ঝুলে আপনাদের প্রাণ তাঁরা হাসিমুখে বলি দিয়েছেন, কারাবরণ তাঁরা করেছেন এবং আরো কত প্রকারে যে নির্যাতিত তাঁরা হয়েছেন কে তার খবর রাখে। কিন্তু বর্তমানে দেশের এ দুর্দিনে তাঁদের কি কোনো কাজ নেই করার?
পার্টি যাতে সংশোধনবাদের গাড্ডায় না পরে, তার জন্য মূল ভূমিকা নেন কমরেড মুজফ্ফর আহ্মদ। সে রকমই, ১৯৬৭ সাল থেকে পার্টির ওপর সংকীর্ণবাদীদের আক্রমণ শুরু হয়। তখন তাদের হাত থেকেও পার্টিকে রক্ষা করার মূল ভূমিকা গ্রহন করেন তিনি।
কমিউনিস্ট পার্টির কাজে কমরেডদের সামনে এমন কিছু নির্দিষ্ট মুহূর্ত আসে যখন ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমাদের দেশে দু’বার পার্টি ভেঙেছে, প্রথমবার সেই লড়াই ছিল সময়োপযোগী করার নামে কমিউনিস্ট পার্টিকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির লেজুড়ে পরিণত করার বিরুদ্ধে সংগ্রাম। পরেরবার জনগণের শক্তিতে আস্থা হারিয়ে নিজেরাই বিদ্রোহে ফেটে পড়ার সংকীর্ণতায় পা জড়িয়ে ফেলেন কিছুজন। কমিউনিস্ট পার্টির কাজে এই ঘটনা নতুন কিছু না। লেনিনকেও এই সমস্যার সমাধান করেই এগোতে হয়েছিল, মাও সে তুং কেও।
ছাত্রদের মধ্যে একটা প্রবনতা আছে – অ্যান্টি এস্টাবলিশমেন্ট। অ্যান্টি এস্টাবলিশমেন্ট আন্দোলনে ঝুঁকে পড়া। এবং এ ব্যাপারে খুব সহজেই লোককে উত্তেজিত করা যায়। ছেলেবেলা থেকেই আমরা অ্যান্টি এস্টাবলিশমেন্ট এবং সেভাবেই লোককে আমরা শিখিয়ে এসেছি। আমাদের শিক্ষা দীক্ষা – চালচলন – বক্তৃতা সব তাই। কিন্তু আমরা কতটা লোককে শেখাতে পেরেছি – যে establishment created by us অর্থাৎ আমরা তৈরি করলাম – আমার আন্দোলন কি তার বিরুদ্ধে যেতে পারে? আর সেই এস্টাবলিশমেন্ট কে মূল যে এস্টাবলিশমেন্ট অর্থাৎ সমাজের যে রাষ্ট্রকাঠামো, তা পরিবর্তনের জন্য কিভাবে ব্যবহার করতে পারব? এই শিক্ষা আমরা কি ছাত্র সমাজের মধ্যে দিতে পেরেছি? কারণ আপনি শুধু যদি বলেন যে বামফ্রন্ট সরকার আমাদের সরকার এবং এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করা যাবে না – এইটুকু বললে বোধহয় ছাত্ররা খুশি হতে পারে না।
সুপ্রীম কোর্ট কেন্দ্রকে বলেছে যতদিন না বিবেচনা করছে স্টে থাকবে।সোমনাথ লাহিড়ীর বক্তব্য আজ আবার গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠিছে সাংবিধানিক আলোচনায়।আর্টিক্যাল ১৯ এর আলোচনায়। গণতন্ত্রের আলোচনায়,বিরোধিতার আলোচনায়।
১৭ অক্টোবর ২০২১ , রবিবার ফেব্রুয়ারিতে কদম রসুল। অক্টোবরে লালমোহন সেন। ১৯৪৬।দুই শহীদের আত্মদানে কোনও বৈশিষ্ট্য আছে? আছে — দু’জনের