গোটা পৃথিবী এমনই একটি সর্বজনীন প্রতিষেধকের অপেক্ষায় রয়েছে।
কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতি কখনো ফরমায়েশ মুখাপেক্ষি হয় না।
দেশের স্বাধীনতা দিবসের দিনেই কোভিড-১৯ সংক্রমন মোকাবিলায় দেশীয় ভ্যাকসিনের ঘোষণা করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেভাবে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন সেই ফরমায়েশ মেটাতে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত যাবতীয় সুরক্ষা বিধি অমান্য করলে তার ফলাফলে দেশের জনগণকে বহু মুল্য চোকাতে হবে।
এই অবস্থায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া আবশ্যকঃ
প্রতিষেধক সম্পর্কিত নিয়ামক সংস্থা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ওষুধের দক্ষতা এবং গুনাগুন সম্পর্কিত ছাড়পত্র ব্যতিরেকেই কিভাবে আইসিএমআর অশ্যধ ঘোষণার দিন ঘোষণায় একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে পারে? একটি বেসরকারি সংস্থার দ্বারা নির্মিত ওষুধকেই প্রতিষেধক হিসাবে চিহ্নিত করতে আইসিএমআর অদ্ভুত ব্যগ্রতা দেখাচ্ছে। তারা কার কাছে দায় মেটাতে চাইছে?
ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত সংস্থাগুলির এথিক্স কমিটির দ্বারা ওষুধের পরীক্ষা-নিরীক্ষা, সংশ্লিষ্ট সম্মতিজ্ঞাপনের কাজ এবং দায়স্বীকার করার পদ্ধতিতে নস্যাৎ করে কিভাবে সংস্থাগুলিকে এই ওষুধকেই ভ্যাকসিন হিসাবে ব্যাবহার করতে জোর করছে আইসিএমআর?
কারা ভ্যাকসিনের গুনাগুণ পরীক্ষা করবে সেই সংস্থাগুলিকে নির্বাচন করার সময়ে কি পদ্ধতি মানা হল? নির্বাচিত সংস্থাগুলির মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিনটি বেসরকারি সংস্থাও রয়েছে, এমন একজন বেসরকারি চিকিৎসকের নামও রয়েছে যিনি আদৌ কোন সংস্থায় কর্মরত সেই ঠিকানার কোন হদিশই নেই!
বিভিন্ন সংস্থাগুলিকে এই ওষুধ ব্যাবহার করা জন্য কার্যত আইসিএমআর যেভাবে চাপ দিচ্ছে তাকে হুমকি বলা চলে- এমন কেন হবে? নির্বাচিত সংস্থগুলির একটি হায়দ্রাবাদ রাজ্য সরকারের আওতাধীন এনআইএমএস। এধরনের নির্দেশ দেবার ক্ষেত্রে কি সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের অনুমতি নেওয়া হয়েছে?
এই ওষুধ ঠিক কতজন মানুষের উপরে পরীক্ষা করা হবে? ১৪ অগাস্টের আগেই বিধিসম্মত প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা (ট্রায়াল) এবং সেই সবকটি পর্যায়ের ফলাফলের বিশ্লেষণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে কি? একটি সায়ত্ত্বাধীন সংস্থা হিসাবে কাজ করা ডেটা সেফটি মনিটরিং কমিটি (ডিএসএমসি)’র সদস্য কারা?
শেয়ার করুন