প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের মানুষের হাতে মোমবাতি তুলে দিয়ে ২০২১ সালের হরিদ্বারে কুম্ভমেলার জন্য ৩৭৫ কোটি টাকা উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াতের হাতে তুলে দিল।
উলু বনে মুক্ত ছড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে বর্তমানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা Health Ministry রিপোর্ট অনুযায়ী ৩,৩৭৪ জন, মৃত্যু হয়েছে ৭৭ জনের , মাত্র ২দিনের তফাতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০জন বেড়েছে।
ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা চিকিৎসা করার জন্য সেফটি গিয়ার ( স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা পোশাক) পাচ্ছেন না। লক ডাউন পরিস্থিতিতে দেশে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন খেতে পাচ্ছেন না।
পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে সহায় সম্বলহীন হয়ে পরে আছেন। ছোট ছোট শিশু, মহিলারা খোলা আকাশে রাত কাটাচ্ছে। সূত্র বলছে ,অনাহারে এর মধ্যে প্রায় শতাধিক মানুষ মারা গেছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী মেতেছেন ২০২১ সালের কুম্ভ মেলা নিয়ে।
হঠাৎ করে ৪ ঘন্টার নোটিশের লক ডাউন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। (যদিও লক ডাউন প্রয়োজন) একদিকে,কোটি কোটি মানুষ তাদের জীবিকার উৎস হারিয়েছে, ক্ষুদা ও অপুষ্টি বাড়ছে, ইতিপূর্বেই CPI(M) পার্টির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে -
১) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্ত জনধন এ্যাকাউন্ট গ্রাহক BPL তালিকা ভুক্ত এবং অসংগঠিত শ্রমিকদের প্রতিশ্রুত ৫০০০ টাকা অবিলম্বে দিতে হবে।
২)গোটা দেশে খাদ্য ভাণ্ডারে মজুত থাকা ৭.৫ কোটি টন খাদ্যশস্য রেশন কার্ড থাকা না থাকার উপর নির্ভর না করে সব পরিযায়ী শ্রমিক এবং গরীবদের মধ্যে পরিবার পিছু ৩৫ কেজি হিসাবে কেন্দ্রকে অবিলম্বে বন্টন করতে হবে।
৩)আমাদের দেশে ১০ লক্ষর মধ্যে মাত্র ৩২জনের টেস্ট হচ্ছে, তাই যথা সম্ভব বেশি মানুষের টেস্ট কিটের ব্যবস্তা করতে হবে।
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো হুশ নেই, সাধারণ মানুষ বলছেন, আকাট মুর্খয়ের সরকার। মোমবাতি,থালা বাজানোয় মানুষকে ব্যস্ত রেখে,মানুষের দৈনন্দিন রুটি রুজির উপর কোপ বসানো হচ্ছে।
উভয় সংকটে মানুষ, একদিকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক অন্যদিকে করুন অর্থনৈতিক সংকট,ছোট ছোট শিশুরা পর্যন্ত অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। এই অবস্থার মধ্যে দাঁড়িয়ে ২০২১সালের কুম্ভমেলার জন্য ৩৭৫ কোটি টাকা উত্তরাখণ্ডের সরকারকে প্রদান, কখনোই মেনে নেয়া যায় না।
শেয়ার করুন