১ মে, ২০২১
মে দিবসের আহ্বান
বামপন্থী দল সমূহের যৌথ বিবৃতি
মে দিবসে ভারতের বামপন্থী দলগুলি সারা পৃথিবীর শ্রমিক শ্রেণীর পক্ষে নিজেদের সংহতি জানাচ্ছে। মহামারীর মোকাবিলায় এবং শ্রমিক শ্রেণীর অধিকার রক্ষার লড়াইতে বামদল গুলি দেশের শ্রমজীবীদের একজোট করে সংগ্রাম করে চলেছে।
স্বাধীনতার পরে আমাদের দেশ এই প্রথম মানবিকতার দায়বদ্ধতা রক্ষার প্রশ্নে এত গভীর সংকটের সম্মুখীন। মহামারী ক্রমশ নির্মম পরিস্থিতির চেহারা নিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মহামারী মোকাবিলা এবং জনগণের জীবন জীবিকা রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
জরুরী বন্দোবস্ত হিসাবে যে কাজগুলি এখনই করতে হবে:
১) সমস্ত হাসপাতালে যাদের অক্সিজেনের প্রয়োজন তাদের সকলের জন্য ব্যবস্থা প্রণয়ন করা।
২) সারা দেশেই সর্বজনীন টিকা করণের বন্দোবস্ত করা। বাজেটে উল্লিখিত ৩৫০০০ কোটি টাকা এই কাজে ব্যয় করে হবে। পি এম কেয়ারস তহবিলের অর্থকে এই কাজে বরাদ্দ করতে হবে এবং অবিলম্বে ২০০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেন্ট্রাল ভিস্টা নির্মাণের কাজ স্থগিত রেখে টিকা করণের কাজকে অগ্রাধিকার দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩) টিকা এবং জীবনদায়ী ওষুধ নির্মাণ করতে সক্ষম এমন সমস্ত সংস্থাকেই প্রস্তুতির ছাড়পত্র সম্পর্কিত লাইসেন্স দিতে হবে।
৪) অক্সিজেন এবং জীবনদায়ী ওষুধের ক্ষেত্রে দাম নিয়ন্ত্রণে কড়া ব্যবস্থা করে হবে। এক্ষেত্রে অবৈধ মজুত এবং কালোবাজারি রুখতে হবে।
৫) আয়কর দেন না এমন সমস্ত পরিবারকে সরাসরি ৭৫০০ টাকার সাহায্য পৌঁছে দিতে হবে। প্রয়োজন রয়েছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য বিনামূল্যে খাদ্য শস্যের ব্যবস্থা করতে হবে।
হাপাতাল গুলিতে বেড, ভেন্টিলেটর এবং আই সি ইউ এর প্রয়োজনীয় সংস্থান বৃদ্ধি করতে হবে। গ্রামীণ এলাকাগুলি যেখানে মহামারী ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে সেইসব জায়গায় এই ব্যবস্থা দ্রুত হবার দরকার।
একটা গোটা বছর কেন্দ্রীয় সরকার জরুরী পরিকাঠামো না গড়ে তুলে নষ্ট করেছে, আমাদের পক্ষ থেকে জানানো কোনো মতামত ই তারা গ্রহণ করেনি। এই সময়ে সরকার নিজেই এমন নানা কর্মসূচিতে সম্মতি দিয়েছে যাতে সংক্রমন অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
আজকের পরিস্থিতিতে দেশের পক্ষে আর এতটুকু সময় নস্ট করার উপায় নেই।
উপরোল্লিখিত বন্দোবস্ত গুলির ন্যূনতম সংস্থান দেশের সরকারকে করতেই হবে। অন্যথায় দেশ পরিচালনার যাবতীয় নৈতিক অধিকার তাদের চলে যাবে।
সাক্ষর
সীতারাম ইয়েচুরি, সাধারণ সম্পাদক, সিপিআই(এম)
ডি রাজা, সাধারণ সম্পাদক, সি পি আই
দ্বিপঙ্কর ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক, সি পি আই (এম - এল) - লিবারেশন
দেবব্রত বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক, সারা ভারত ফরোয়ার্ড ব্লক
মনোজ ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক, আর এস পি