21 July Feature

The Planned Tumult: A Retrospect

চন্দন দাস

যা ছিল একটি গ্রুপের নিদারুন বিশৃঙ্খলা, তা এখন নির্দ্ধারিত প্রশাসনিক কর্মসূচী।

যা ছিল একটি দিনের তাণ্ডব— তা এখন কুমারগ্রাম থেকে কুলতলির বছরভরের আইন।

যা ছিল ‘নেশাগ্রস্ত অবস্থায়’ ‘বহু সশস্ত্র দুষ্কৃতী(অ্যান্টিসোস্যাল)’-র জমায়েত, তা এখন এপার বাংলার ‘ভাগ্যবিধাতা।’

এখন প্রতি ঘরে, দোরে দোরে ‘২১শে জুলাই’!

পরিপ্রেক্ষিত আছে সেই নৈরাজ্যের। সেই অভিযানের।

১৯৯২-র ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধসিয়ে দিল স্বয়ংসেবকরা। স্বাধীনোত্তর ভারতে সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রথমবার এসে দাঁড়ালো প্রবল বিপদ হয়ে। ওই একই সময়ে দেশে নয়া আর্থিক নীতি, ঢালাও উদারীকরণ, ‘হায়ার অ্যান্ড ফায়ার’ নীতির প্রচলন। পৃথিবীতে সোভিয়েত নেই। আমেরিকার দাপট শুরু। ভারতে নয়া আর্থিক নীতি এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বিরুদ্ধে সংগ্রামী, দেশপ্রেমিকদের অগ্রবর্তী ঘাঁটির নাম পশ্চিমবঙ্গ। ঠিক সেই সময়, বাবরি-ভাঙনের সওয়া সাত মাস পরে জোর করে মহাকরণ দখলের চেষ্টা— নেতৃত্বে সঙ্ঘের ‘সাক্ষাৎ দূর্গা।’

১৯৯৩-র ২১শে জুলাই। মমতা ব্যানার্জির ‘মহাকরণ অভিযান।’

দখল, লুট, নৈরাজ্য

নৈরাজ্যের সর্বাধিক প্রয়োজনীয় উপাদান ‘লাশ।’

আর পন্থা? দখল। ১৯৯৮-পরবর্তী বছরতিনেকের কেশপুর-গড়বেতা, পিংলা, আরামবাগ, ২০০৭-র নন্দীগ্রাম, ২০০৬ পরবর্তী জঙ্গলমহল— তার প্রমাণ। মমতা ব্যানার্জির ‘মহাকরণ অভিযান’ সেই ধারার পথপ্রদর্শক।

১৯৯৩-র ২১শে জুলাই— একটি দিনের ঘটনা। বিজেপি, আরএসএস-কে উৎসাহিত করার কয়েক ঘণ্টার উপাদান। লক্ষ্য ছিল— দেশপ্রেমিক, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটিকে এলোমেলো করে দেওয়া। অবশ্যই লুটে খাওয়াদের জন্য।

আজ, ২৯ বছর পরে, সেই পশ্চিমবঙ্গ সারা দেশে ‘লুটে খাওয়া’দের মডেল।

প্রমাণ? পঞ্চায়েতে। পৌরসভায়। লুটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে পঞ্চায়েত, পৌরসভা।

২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের উদাহরণ যথেষ্ট হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ— তিনটি স্তরে ৫৮,৬৯২ আসনের মধ্যে ২০,০৭৬টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। বিরোধীদের মেরে, মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে, মানুষকে ভয় দেখিয়ে পঞ্চায়েত দখল করেছিল মমতা ব্যানার্জির দল। যে কটি আসনে ভোট হয়েছিল, তারও বেশিরভাগ বুথে দখল করে ‘জিতেছে’ মুখ্যমন্ত্রীর দল।

গ্রামের ভোট থেকে লোকসভার নির্বাচন— এক নীতি, দখল। শুধু ভোট লুট।

কেন দখল? লুটের জন্য।

তৃণমূল শাসনে ভোট লুটের ছবি

একশো দিনের কাজের মজুরি থেকে কমিশন নেয় তৃণমূল। ভুয়ো মাস্টার রোল জলভাত। গরিবের বাড়ির টাকার কাটমানি নেয় তাঁর দল— মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তা নিজে, প্রকাশ্যে, গত লোকসভা নির্বাচনের পরে নজরুল মঞ্চের সভায় জানিয়েছেন। এর পথ ধরেই লুটের বখরা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ— নির্দ্বিধায় তৃণমূলীরা তৃণমূলীদের খুন করছে কুপিয়ে, বোমা মেরে, গুলি করে। পঞ্চায়েত, পৌরসভা পুরোপুরি আমলাদের হাতে।

‘২১শে জুলাই’ ছিল মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন যুব কংগ্রেসের ‘আন্দোলন।’ আজ? রাজ্যে কর্মসংস্থানে, নিয়োগে— অর্থাৎ সেই যুব সমাজের ভবিষ্যতেও নৈরাজ্য।

আদালতে মামলা চলছে। শিক্ষকদের চাকরির পরীক্ষায় যে পাশ করেনি, ঘুষ দিয়ে সে চাকরি হাসিল করেছে। যাঁরা যোগ্য তাঁরা পথে নেমেছেন। তাঁদের পিটিয়েছে পুলিশ। মন্ত্রীর মেয়ের নাম উঠে গেছে যোগ্যতমাকে টপকে। লজ্জা নেই দলের। মন্ত্রীকে মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দিচ্ছে তৃণমূল— কী বলা যায়?

ছিঃ! মাদ্রাসা কমিশনেও দুর্নীতির অভিযোগ।

অবস্থানে চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগের বেশিরভাগ হয়েছে চুক্তিতে। এমনকি গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি পদের কাজে টেন্ডার ডেকে ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োগ করছে সরকার!

কাজের জন্য শিল্প দরকার। রাজ্যে কী চলছে?

হলদিয়ায় তৃণমূল শাসনে তোলা আদায়ের হিসাব করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। তোলা আদায়ের ধাক্কায় অন্তত ৩০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে সেখানে। কারখানায় স্থায়ী নিয়োগ বন্ধ। কেন? কারণ চুক্তিতে নিয়োগ হলে মজুরি থেকে কাটমানি নেওয়া যাবে। তৃণমূলকে কাটমানি দিলে কারখানায় ঢুকতে পারবেন শ্রমিক। নয়তো? বাদ। প্রতিটি শিল্পাঞ্চলে এই অবস্থা। বারাকপুর, দূর্গাপুর— একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়েছে গত এগারো বছরে। ২০২১-এ রাজ্যওয়াড়ি শিল্প প্রস্তাবে পশ্চিমবঙ্গ ১৫ নম্বরে। দেশের মোট প্রস্তাবের ০.৭২% প্রস্তাব এসেছে রাজ্যে।

singur tata nano
কারখানা চাই – শিল্প চাই – কাজ চাই

বন্ধ কারখানার শ্রমিক বাড়ছে। আর তাঁদের সামাজিক সুরক্ষার কয়েক কোটি টাকা সরকার অন্য খাতে ব্যবহার করে ফেলেছে। পশ্চিমবঙ্গ এখন অন্য রাজ্যের শস্তা শ্রমের বাজার— পরিযায়ী শ্রমিকের সবচেয়ে বড় আবাসভূমি।

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। এগারো বছরে দশ হাজারের বেশি স্কুল রাজ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। তাই স্কুল বন্ধ। অনেক স্কুল চলছে একজন শিক্ষক নিয়োগ। কোথাও শিক্ষকরা অবসরপ্রাপ্ত। অনেক জায়গায় বিজ্ঞান, অঙ্কের শিক্ষক নেই। কলেজে ভর্তির সময় হাজির তৃণমূলীরা। কেন? ভর্তি হতে মার্কশিটের নম্বর গুরুত্বহীন। সিট বাবদ টাকা দিতে হবে তৃণমূলীদের— তাহলেই ভর্তি সম্ভব। স্টুডেন্টস ইউনিয়ন? গণতন্ত্রের পাঠশালা? বন্ধ!

অর্থনীতি? ১১ বছরে ঋণের পরিমাণ ১ লক্ষ ৯২ হাজার কোটি টাকা থেকে প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছে দেওয়ার ‘কৃতিত্ব’ নিশ্চই প্রাপ্য মমতা ব্যানার্জির। কিন্তু টাকা দিয়ে হচ্ছে কী? মমতা ব্যানার্জির প্রশাসনিক সভার ব্যয়ভার ৮০ লক্ষ থেকে ২ কোটি ৪ লক্ষ টাকা। তাঁর সরকারের টেন্ডার নথিই তার প্রমাণ। সরকারি টাকায় ১৮০টির বেশি কৃষক বাজার বানিয়েছেন। কৃষকদের কোনও কাজে লাগে না। কিন্তু ঠিকাদাররা টাকা পেয়েছেন।

জাতীয় নমুনা সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে— ছ’ বছরে চাষের খরচ বেড়েছে প্রায় ৫৯%। আর ফসল বিক্রি করে কৃষকের আয় বেড়েছে ১৩%। ফসল বিক্রি করে কৃষিজীবীদের মাসিক গড় আয়ের থেকে চাষের তাঁর মাসিক খরচ অনেক বেশি। নমুনা সমীক্ষা থেকে স্পষ্ট— কৃষক ফসলের অভাবী বিক্রী করছেন। প্রতিমাসে ফসল থেকে কৃষিজীবী পরিবারের গড় লোকসান ১৭৫৮ টাকা।

গ্রাম ধুঁকছে। ফুলেফেঁপে উঠছেন শুধু নন্দীগ্রামের সেখ সুফিয়ানের মত তৃণমূল নেতারা— চুরির অধিকারে।

তৃণমূল সরকারের অর্থনীতির পথ কী? মূলধনী খাতে, পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ কমানো। ফলাফল— পরিকাঠামো উন্নয়নে ধাক্কা। এবং কাজের সুযোগ সঙ্কুচিত হচ্ছে। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে মূলধনী খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল ৩২ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা। সেই ক্ষেত্রে সংশোধিত বরাদ্দের হিসাব বলছে খরচ নামিয়ে আনা হয়েছে ১৯ হাজার ১৭৫ কোটি টাকায়। অর্থাৎ মূলধনী খাতে ব্যয় কমানো হয়েছে ১৩ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা।

কাজের হাহাকার এখন রাজ্যের সবচেয়ে বড় সঙ্কট।

আর কাজের দাবিতে আন্দোলনের ‘অপরাধে’ পুলিশী হামলায় খুন হয়ে গেলেন মইদুল মিদ্যা। সেই মহানগরে।

মইদুল মিদ্যা
Anis-Khan-DYFI
আনিস হত্যার বিচার চাই

‘দুষ্কৃতীদের আপন দেশ’ পশ্চিমবঙ্গ। ধর্ষণে লাগাতার প্রথম সারিতে। কিন্তু এটুকু বললে যথেষ্ট নয়। নদীয়া কী দেখালো? এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দিলো। মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বললেন, ‘দেখতে হবে অ্যাফেয়ার আছে কিনা। প্রেগনেন্ট ছিল কিনা।’ এমন কথা তিনি নির্যাতিতা মহিলাদের সম্পর্কে আগেও বলেছেন।

তাঁর কথায় দলের কর্মীরা— ‘দুষ্টু ছেলে।’ যারা অধ্যক্ষকেও জুতো- পেটা করতে পারে।

পুলিশের তবে ভূমিকা কী? সেবা করা। দাসানুদাস হওয়া।

চুক্তিতে নিয়োগ হয়েছে পুলিশ— ‘সিভিক ভলান্টিয়ার।’ মাইনে মাসে ৯ হাজার টাকা। তারা আইনরক্ষকের প্রধান ভূমিকায়— বেপরোয়া, মারমুখী। তৃণমূলের গেস্টাপো বাহিনী। এখন রাজ্যে প্রতিবাদের ‘শাস্তি’? নিপিড়ন। অম্বিকেশ মহাপাত্র কিংবা শিলাদিত্য চৌধুরী। প্রতিবাদীর ‘বিচার’— খুন। প্রমাণ— আনিস খান, মইদুল মিদ্যা, সুদীপ্ত গুপ্ত।

এই সব নির্মমতার ইঙ্গিত ছিল ২৯ বছর আগের দিনটিতে।

সেদিনের কথা

১৯৯৩-র ২১শে জুলাই সম্পর্কে আদালতে হলফনামা দিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব মনীশ গুপ্ত। সংক্ষিপ্ত আকারে সেই হলফনামার নির্যাষই ‘২১শে জুলাই।’

হাইকোর্টে ১৯৯৩-র ২ আগস্ট হলফনামা জমা পড়ে। সেই হলফনামা অনুসারে, ওই দিন (১৯৯৩-র ২১শে জুলাই)-এ জমায়েতে ‘বহু সশস্ত্র দুষ্কৃতী (অ্যান্টিসোস্যাল) নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জড়ো হয়েছিল’।

হলফনামা অনুসারে, ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সারা রাজ্যের কয়েক হাজার যুব কংগ্রেসকর্মী মমতা ব্যানার্জির ডাকে স্ট্র্যান্ড রোড, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রীট, রানী রাসমণি অ্যাভিনিউ, এসপ্ল্যানেড রো ইস্ট এবং ব্রেবোর্ন রোডে জমায়েত হয়। তারা মহাকরণের দিকে ছুটতে থাকে। পুলিশ প্রথমে নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জনতাকে শান্ত করতে চেষ্টা করে। ‘জনতা’ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাইপগান থেকে গুলি ছোঁড়ে। ইঁট, পাথর, সোডার বোতলও ছোঁড়া হয় যথেচ্ছ। পুলিশ তখন লাঠি চালায়। ৩৪১ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটায়। তারপর রাইফেল থেকে ৭৫ রাউন্ড ও রিভলভার থেকে ৪৬ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। ১৩ জনের মৃত্যু হয়। তাদের একজনের নাম নিয়ে আজও ধোঁয়াশা। তৃণমূলের ওয়েবসাইটে তার পাশে দীর্ঘদিন লেখা ছিল— ‘অ্যানোনিমাস।’ পরে হয় ‘ইনু’। তারপর ‘দীপঙ্কর দাস’। কে সে?

হলফনামা এবং পরেরদিনের খবরের কাগজগুলি প্রমাণ— সেদিন ‘আন্দোলনকারীরা’ বোমা, পাইপগান নিয়ে এসেছিল! গুলি ছুঁড়ছিল, বোমা মারছিল।

মনীশ গুপ্তর হলফনামা আরও জানিয়েছিল, সেদিন ৩টি বাস পোড়ানো হয়েছিল। ৩৫টি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল। সব মিলিয়ে জখম হয়েছিলেন ২১৫ জনেরও বেশি পুলিশ। তাঁদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার, ডিসি (সদর), ৭ জন ডিসি, ১০ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার রয়েছে। ৩৪ জন পুলিশকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ হাসপাতালে। তাঁদের অনেকেরই পাইপগানের গুলি এবং বোমার স্প্লিন্টার লেগেছিল। তালতলা থানার সার্জেন্ট ডি কে ঘোষালের গুলি লেগেছিল। সাব ইনস্পেক্টর কালাচাঁদ সমাদ্দারের শরীরে আঘাত ছিল বোমার। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাব ইনস্পেক্টর এ কে গাঙ্গুলিকে এস এস কে এম হাসপাতালের সামনে মেরে মাথা ফাটিয়ে, হাত ভেঙে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা।

আক্রান্ত, রক্তাক্ত হয়েছিল পুলিশ। তাই গুলি চালিয়েছিল।

সেদিনও সাংবাদিক পিটিয়েছিল মমতা ব্যানার্জির দলবল। দুপুর পৌঁনে তিনটে নাগাদ ধর্মতলায় স্কুটার আরোহী ওই সাংবাদিক, সঈদ আহ্‌মেদকে মমতা ব্যানার্জির কর্মীরা ঘিরে ধরে মেরেছিল। মারাত্মক আহত হন তিনি।

গণতন্ত্রে ছুটে গিয়ে, অস্ত্র নিয়ে মহাকরণ দখল করা যায় না। মমতা ব্যানার্জি জানতেন। তবু ‘অভিযান’ হয়েছিল। কাউকে খুশি করতে, বামফ্রন্টকে সেই সময়ে বিপাকে ফেলতে।

নৈরাজ্য ছিল হাতিয়ার। আজ সেই বাহিনী ক্ষমতায়। নৈরাজ্য তাই প্রাতিষ্ঠানিক।

Spread the word

Leave a Reply