লকডাউনের যন্ত্রণাঃ বেড়ে চলা ঋণ এবং রোজগার হারানোর এক মর্মান্তিক কাহিনী
বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংস্থা নিউজক্লিক সম্প্রতি একটি সাক্ষাতকার নেয় অর্থনীতিবিদ প্রভাত পট্টনায়েকের। এই নিবন্ধে সেই কথোপকথনের মূল কথাগুলি প্রকাশ করা হল।
আলোচনার শুরুতেই প্রভাত পট্টনায়েক উল্লেখ করেন কোন পরিস্থিতিতে ২৪শে মার্চ ২০২০ দেশের জনসাধারণের উপরে লকডাউন চাপিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নরেন্দ্র মোদি মাত্র চার ঘন্টার নোটিসে ঘোষণা করেন গোটা দেশ জুড়ে লকডাউন। এই লকডাউন ২০২০ সালের মে’ মাসের শেষ অবধি বলবৎ থাকে। তার পর বিভিন্ন রাজ্যে আঞ্চলিক স্তরে লকডাউন ঘোষিত হলেও দেশজোড়া লকডাউন আর হয়নি। এই লকডাউনের ফলে লক্ষ লক্ষ খেটে খাওয়া, গরিব মানুষ চূড়ান্ত সমস্যার সম্মুখীন হ’য়। এদের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থা গোটা দুনিয়ারই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
তিনি বলেন ভারতে লকডাউনের সবচেয়ে নজরকাড়া বৈশিষ্ট্য হল’ অন্যান্য প্রায় সব দেশের অনুসৃত নীতির বিপরীতে, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনাধীন মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্রের অনুসৃত নীতিরও বিপরীতে, অল্প কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠী/ক্ষেত্রের মানুষকে যৎসামান্য কিছু সাহায্য ব্যাতিরেকে, লকডাউনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে সরকারের তরফে কোনো রকম ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলনা। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে এক প্রকার আরও বেশি উপার্জনহীনতা, দারিদ্র্য এবং ক্ষুধার দিকে ঠেলে দেওয়া হল, যার থেকে এখনও মানুষ বেরিয়ে আসতে পারেনি এমনকি লকডাউন উঠে যাওয়ার বেশ কয়েক মাস পরেও।
গত বছর অক্টোবর মাসে একাধিক নাগরিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমূহের মিলিত প্রচেষ্টায় ‘হাঙ্গার ওয়াচ’ নামক এক সমীক্ষা করা হয়। এক্ষেত্রে কোনো প্রতিনিধিত্বমূলক নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি অথবা কোনোরকম ব্যয় সংক্রান্ত পরিসংখ্যানও এদের প্রতিবেদনে নেই। এই সমীক্ষায় লকডাউন এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি সম্বন্ধে মানুষের কাছে তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে । সমীক্ষার ফলাফল বেশ কিছু রূঢ় সত্যকে আমাদের সামনে এনেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মোট ৪০০০ মানুষকে নিয়ে এই সমীক্ষায় অর্ধেকেরও বেশি (৫৩.৫%) জনের বক্তব্য ছিল তাদের পারিবারিক চাল ও আটার ব্যবহার ২০২০’র মার্চ মাসের তুলনায় অক্টোবর মাসে কমে গেছে। আরও বেশি সংখ্যক মানুষ জানিয়েছেন এই সময়কালে তাদের পরিবারে ডাল, শাকসব্জি, ডিম এবং মাংসের ব্যবহার কমেছে।
অধ্যাপক পট্টনায়েক বলেন, এই সমীক্ষার ফলাফল আরেকটি তথ্যের সাথে সাযুয্যপূর্ণ। ৬২% এর বেশি সমীক্ষিত মানুষের বক্তব্য ছিল, লকডাউনের আগের সময় থেকে অক্টোবর ২০২০ সময়কালের মধ্যে মাসের শেষে তাদের পারিবারিক আয় কমেছে । লকডাউনের আগের অবস্থার তুলনায় শ্রমের বাজারে শ্রমিকের যোগান আরো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। এমন হবার কারন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন আগের অবস্থার তুলনায় অনেক বেশি মানুষ দারিদ্র্যের তাড়নায় কোনো না কোনো কাজে যুক্ত হতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি বলেন এই সমীক্ষায় অংশগ্রহন করা মানুষ দেশের সার্বিক পরিস্থিতির প্রতিনিধিত্ব করে না, তাই এই সমীক্ষায় উঠে আসা মতামত থেকে কোনো সার্বিক সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয় বলে কেউ দাবী করতে পারেন। কিন্তু জরুরি বিষয় হল যদি কোনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী / জনসমষ্ঠি’র ক্ষেত্রেও লকডাউনের ফলে খাদ্যাভাব বেড়ে গিয়ে থাকে, সেটিও দেশের পরিস্থিতি আলোচনায় কম গুরুত্বপূর্ণ এমন নয়। ‘হাঙ্গার ওয়াচ’ জানিয়েছে তারা বিশেষভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকেই সমীক্ষায় জোর দিয়েছে।
এই সমীক্ষার আরেকটি বিষ্ময়কর ফলাফল হল লকডাউনের আগের সময়ের তুলনায় অক্টোবরে খাদ্যদ্রব্যের ব্যবহার কমে যাওয়ার কথা বলেছে যারা, তাদের বেশিরভাগ শহরাঞ্চলে বসবাসকারী। অর্থাৎ এই খাদ্যাভাব গ্রামের তুলনায় শহরাঞ্চলে বেশি। এই ফলাফল প্রচলিত ধারণার বিপরীতে যায়। সাধারণতঃ চরম খাদ্যাভাব এবং অপুষ্টির প্রকোপ শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে বেশি মনে করা হয়। দারিদ্র্যের কারনে অভাবী পুষ্টির প্রভাব শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে চিরকালই বেশি দেখা যায়। লকডাউনের ফলে সৃষ্ট দারিদ্র্য এবং তারই ফলশ্রুতিতে খাদ্যাভাব যদি গ্রামের তুলনায় শহরাঞ্চলে বেশি হয় তবে তা স্বাভাবিকভাবেই বিষ্ময়কর।
এমন বিষ্ময়কর পরিস্থিতির দুটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
প্রথমত, শহরাঞ্চলের গরিব মানুষের মধ্যে রেশন কার্ডের অভাব থাকায় তারা গণবন্টন ব্যবস্থার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, গ্রামাঞ্চলে এম.এন.রেগা প্রকল্পের আওতায় সৃষ্টি হওয়া কাজের ফলে এই চূড়ান্ত দুরবস্থার মধ্যেও গ্রামীণ জনগোষ্ঠী কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধা পেয়েছে যা কিনা শহরাঞ্চলে বসবাসকারী গরিব মানুষ পায়নি। শহরে এই জাতীয় প্রকল্পের অভাবে গরিব মানুষের উপরে দারিদ্র্য ও খাদ্যাভাবের প্রভাব বেশি পড়েছে বলে ব্যাখ্যা দেন তিনি।
হাঙ্গার ওয়াচের এই রিপোর্টের থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে আসা যায় বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। লকডাউনের সময়ে কোনোরকম প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার অভাবে মানুষের দুরবস্থা অবশ্যম্ভাবী ছিলই। কিন্তু আরো বেশি বিষ্ময়কর হল লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও এই দুরবস্থার বিশেষ কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। সাধারণ নিয়মে লকডাউনের সময় যে উৎপাদন ব্যাহত হয়, তা লকডাউন উঠে গেলে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে আসে। কিন্তু এমনটি হয় যদি শ্রমজীবি মানুষের আয় লকডাউনের ফলে বিপর্যস্ত না হয় তবেই, যা ভারতের ক্ষেত্রে হয়নি।
নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা হিসাবে তিনি উল্লেখ করেন – ধরা যাক যে শ্রমজীবি মানুষের আয়কে সুরক্ষিত করা গেছে লকডাউনের সময়কালে। সে ক্ষেত্রে এই চাহিদা মেটানোর জন্য মানুষের খাদ্যদ্রব্য এবং অন্যান্য পণ্যের চাহিদা কমে না কিংবা তাদের উপরে ঋণের বোঝা বাড়ে না। লকডাউনে নতুন উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলেও অবিক্রীত উৎপাদিত পণ্যের যোগানের মাধ্যমে বিক্রেতারা ঐ চাহিদা মেটাতে পারে। লকডাউন উঠে গেলে শ্রমজীবি মানুষের আয় শুরু হতে থাকে পুনরায় চালু হওয়া উৎপাদন ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে (সেক্ষেত্রে অন্য কোনো খাত থেকে অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন হয় না)। চাহিদা আগের মতই থাকে উপরন্তু স্থিতিশীল চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রাখার তাগিদে উৎপাদনের বৃদ্ধি ঘটে।
তিনি আরও বলেন, শ্রমজীবী মানুষের আয় লকডাউনের ফলে তলানিতে এসে ঠেকলে বিবিধ পণ্যের ক্রয় কমিয়ে দিতে হয় এবং সেই সামান্য ক্রয়টুকু করার জন্যেও ঋণের বোঝা মাথায় নিতে হয়। লকডাউন উঠে গেলেও যদি ধরা যায় উৎপাদন আগের অবস্থায় ফিরে যাবে, চাহিদা আগের তুলনায় কমে যায় কারণ শ্রমজীবি মানুষকে বর্তমান আয় থেকেই সুদ সমেত তাদের ঋণ করা টাকা ফেরত দিতে হয়। ফলে ঋণ পরিশোধ হবার আগে হওয়া অবধি মোট পণ্যের চাহিদা আগের স্তরে ফেরত যেতে পারে না।
এর ফলেই উৎপাদন, যা কিনা চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখেই চলে, তা লকডাউনপূর্ব অবস্থায় ফেরত যেতে পারে না এবং তারই অনুসারি হয়ে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিও প্রাক-লকডাউন চাহিদা এবং উৎপাদনের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে না। বেশিরভাগ মানুষ দুর্গতির মধ্যে থাকতে বাধ্য হয় তাই নয় তাদের কমে যাওয়া আয় এবং ক্রমবর্ধ্বমান ঋণের কারণে (তাদের জীবনধারণের মান প্রাক-লকডাউন সময়ের থেকে নিম্নমানের হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও), সামগ্রিক অর্থনীতিরই উন্নতিসাধন একটা পর্যায়ে আটকা পড়ে থাকে।
অর্থনীতির পুনরুত্থান এবং গরিব মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি উভয়ার্থেই লকডাউনের সময় অন্যান্য সরকারী খাত থেকে কিছু অর্থ বরাদ্দ করে শ্রমজীবি মানুষের আয় অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।
প্রভাত পট্টনায়েক এই প্রসঙ্গে বলেছেন, মোদি সরকার চূড়ান্ত নির্বুদ্ধিতায় এই সহজ কাজটুকু তো করেই নি, উল্টে তাদের নির্ধারিত নীতির ফলে শ্রমজীবি মানুষের আয় শূন্যে নেমে এসেছে। সরকারের এই অবস্থানের কি পরিণাম হয় তা স্পষ্ট করে বুঝতেই হাঙ্গার ওয়াচের সমীক্ষাটি গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি জানান।
অর্থমন্ত্রী শ্রীমতি নির্মলা সীতারামণ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অসম্পূর্ণ পরিকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে অর্থব্যয়ে জাতীয় অর্থনীতির পুরনরুদ্ধার হবে। এই প্রসঙ্গে শ্রী পট্টনায়েক বলেন আসল প্রশ্নটা হল কতখানি ব্যয় বরাদ্দ করা হচ্ছে? পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় বরাদ্দ যদি লকডাউন-পূর্ববর্তী স্তরেই আটকে থাকে, তাহলে লকডাউন পরবর্তীতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা লকডাউনের আগের থেকে কম থাকবে বলে (ঋণ শোধের প্রক্রিয়ার কারণে), অর্থনীতিতে সার্বিকভাবে চাহিদাও কম হবে। এতে কম চাহিদার কারণে উৎপাদনও কম হবে।
অর্থনীতির সম্পূর্ণ পুনরুত্থানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে পরিকাঠামো খাতে এবং অন্যান্য প্রকল্পে ব্যয় বরাদ্দ আগের তুলনায় আরো বাড়ানো প্রয়োজন যাতে নিম্নগামী চাহিদার সূচককে তা ছাপিয়ে যায়।
এই প্রসঙ্গেই তিনি আরও বলেন, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য এসবের থেকে আরো ভাল রাস্তা হল’ শ্রমজীবি মানুষকে লকডাউনের পরেও প্রত্যক্ষ নগদ টাকা প্রদান করা। নগদ টাকার মূল্য এমন হতে হবে যা লকডাউনের ফলে কমে যাওয়া আয়ের সাথে যোগ করলে এবং লকডাউনের ফলে সৃষ্ট গরিব মানুষের ঋণ পরিশোধের দায় মিটিয়ে লকডাউন পুর্ববর্তী সময়ে যে গড়পড়তা ক্রয়ক্ষমতা ছিল, তাকে সেই স্তরে নিয়ে যেতে পারবে। কেবলমাত্র তবেই সামগ্রিক অর্থনীতি লকডাউন পূর্ববর্তী স্তরে পৌছতে সক্ষম হবে। অর্থাৎ লকডাউনের সময়কালে গরীব মানুষের হাতে সরাসরি নগদ টাকা দিলে লকডাউনের পরে সেই ফল ভুগতে হবেই। লকডাউন প্রত্যাহার হবার পরেও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য এমন নগদ অর্থ দেওয়ার কর্মসূচি জারী রাখতে হবে বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।
জাতীয় অর্থনীতিকে উদ্ধার করার উৎকৃষ্টতর পন্থা হল গরীব মানুষের হাতে নগদ অর্থ প্রদান করা। কারণ তাতে মানুষের দুরবস্থা যেমন কমবে তেমনি এই অর্থ মানুষ ব্যয় করবে মূলতঃ সাধারণ দেশীয় পণ্য ক্রয় করতে। এই সময় মোট চাহিদায় আমদানিকৃত দ্রব্যের পরিমান নিতান্তই কম থাকবে। এর ফলে প্রতি ইউনিট সরকারি খরচের মধ্য দিয়ে দেশীয় পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি বাড়বে বলে তিনি জানান। এর ফলে উৎপাদন এবং কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি ঘটবে।
এক্ষেত্রে সরকারি ব্যয় বরাদ্দ এবং গরিব মানুষের মধ্যে বিনামূল্যের খাদ্যদ্রব্য বন্টন করার কাজকে এক করলে ঠিক হবে না বলে জানিয়েছেন শ্রী পট্টনায়েক। বিনামূল্যে খাদ্যদ্রব্য বন্টন করে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা সম্ভব নয় কারন তা মূলতঃ ফুড কর্পোরেশনে মজুত উদ্বৃত্ত শস্য থেকে করা হয়। বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বন্টনের সাথে সাথেই যদি সরাসরি গরীব মানুষের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয় তবেই অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা যেতে পারে বলে তিনি স্পষ্ট মতামত দিয়েছেন।
কাজ হারিয়েছেন বা কাজ নেই এমন সকল পরিবারকে মাসে ৬০০০ টাকা দেবার দাবী জানিয়ে বিরোধী দলনেতা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। আমাদের দেশে সকল শ্রমজীবি পরিবারকে তিন মাস করেও যদি অর্থ প্রদান করা হয় তবে তার জন্য মোট খরচের জাতীয় আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ২% এর-ও কিছু কম হবে উল্লেখ করেছেন প্রভাত পটনায়েক। তাঁর মতে এমন খরচ সামাল দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য খুব কঠিন কিছু হবে না।
কিন্তু মোদি সরকার যেমন ভীতু তেমনি অপদার্থ। এই চূড়ান্ত অর্থনৈতিক সঙ্কটকালেও সরকার ব্যয়সঙ্কোচনের নীতি আঁকড়ে চলতে চায় বলেই তার মত, এই নীতি দেশকে এক বিপজ্জনক পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে।