৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ আমেরিকান ফিনান্সিয়াল ফরেনসিক রিসার্চ ফার্ম হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে চোখ বুলিয়ে কনফিডেন্টলি বলল আমার বন্ধু। নিন্দুকে বলে ভক্ত। কথা

৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ আমেরিকান ফিনান্সিয়াল ফরেনসিক রিসার্চ ফার্ম হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে চোখ বুলিয়ে কনফিডেন্টলি বলল আমার বন্ধু। নিন্দুকে বলে ভক্ত। কথা
গত ৩ জানুয়ারি কলকাতার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে গনশক্তি পত্রিকার ৫৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে বক্তৃতা করেন পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য প্রকাশ কারাত।
সমাজতন্ত্র নির্মাণের পথে কার্যকরী পূর্বশর্ত হিসাবে মার্কস-এঙ্গেলস দুজনেই শ্রমিক-কৃষক জোটের পক্ষেই ছিলেন।
এক ক্ষুধার সাধারণতন্ত্র! রিপাবলিক অব হাঙ্গার! আট বছর আগেও বাংলাদেশ, পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে ছিল ভারত। এখনও রোয়ান্ডারও নিচে! বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে রোয়ান্ডা ১০২। ভারত ১০৭! ২০১৪-তে ছিল ৯৯। দক্ষিণ এশিয়াতে একমাত্র আফগানিস্তান (১০৯) আমাদের নিচে। শ্রীলঙ্কা (৬৪), নেপাল (৮১), বাংলাদেশ (৮৪) এমনকি পাকিস্তান (৯৯) পর্যন্ত ভারতের উপরে!
লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে সমগ্র মন্ত্রীসভাই নেমে পড়ছে বিধায়ক কেনাবেচা ক’রে সরকার গঠন করতে। সংসদকে কার্যত অকেজো করে দিচ্ছে।
সারা পৃথিবীর মতোই ভারতেও এই মুনাফার গেছে বড় বড় ফার্মাসিউটিক্যালস কর্পোরেট গুলির ঘরে। ভারত সরকারের অধীনে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলিকে দূরে সরিয়ে রেখে দুটি বেসরকারি কর্পোরেটকে বিপুল পরিমাণ মুনাফার সুযোগ করে দিয়েছে মোদি সরকার। ঠিক যেমন বি এস এন এল কে ৪জি থেকে বঞ্চিত করে রিলায়েন্স সহ বেসরকারি কর্পোরেটের মুনাফার সুযোগ করে দিয়েছে মোদি সরকার।
শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যশালী গণ সংগ্রামের পরিপ্রেক্ষিত নিয়েও শেষ পর্যন্ত ভারতের স্বাধীনতা এসেছিল আপোষের পথে, দেশভাগের পথে। শাসক শ্রেণীর সীমাবদ্ধতার ফলে ভারতে রাষ্ট্র পরিচালিত পুঁজিবাদের সীমাবদ্ধতা থাকলেও স্বাধীন ভারত অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভরতার পথে এগোতে পেরেছিল।
আজকের ভারতে আমরা দ্বিবিধ আক্রমণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছি। একদিকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা যার অপব্যবহার করে বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক দল নিজেদের কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আরেকদিকে মুনাফার শৃঙ্খলে সবকিছু জড়িয়ে ফেলায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতাটুকু কার্যত কর্পোরেটদের হাতে সঁপে দেওয়া হয়েছে যার সুবাদে যা কিছুই হোক না কেন, কোথাও কোনও প্রতিবাদ নেই, কোনও বিরুদ্ধ স্বর নেই।
, জিএসটি হার বৃদ্ধির বিষয়ে সবচেয়ে ঘৃণ্য ব্যাপার হল এই সিদ্ধান্তের সময়। দেশ এখন মূদ্রাস্ফীতির তীব্র সংকটের মুখে। খুচরো মূদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশের উপরে। পাইকারি মূল্য সূচক ১৫শতাংশ বেড়েছে।
এই প্রয়োগের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী ছিল টেকসই পণ্যগুলির সাথে যুক্তরা যাদের বিদ্যমান করের বোঝা ৩০ থেকে ৪৫ শতাংশের মধ্যে ছিল।তাদের কর হ্রাস করে অভিন্ন ২৮% শতাংশ করা হয়েছিল যা জিএসটি-এর অধীনে সর্বোচ্চ করের হার হিসাবে নির্ধারিত হয়েছিল।