Surjya Kanta Mishra
২৪ মার্চ,২০২০‘তে কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করার আগেই ১৮ই মার্চ,২০২০ তারিখে সিপিআই(এম)’র পলিট ব্যুরো‘র পক্ষ থেকে সরকারের কাছে সারা দেশের গরীব-শ্রমজীবী মানুষ যাদের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিক, অসংগঠিত ক্ষেত্রের মুজদূর এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের আওতায় থাকা প্রান্তিক মানুষদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল – কেন্দ্রীয় সরকারের গুদামজাত ৭.৫ কোটি টনের মুজত খাদ্যশস্য সেই পরিবারগুলির জন্য বিনামুল্যে রেশন ব্যবস্থার সাহায্যে বিলি করার জন্য আবেদন রাখা হয়েছিল।
১৮ মার্চ,২০২০ – সিপিআই(এম)পলিট ব্যুরোর বিবৃতি পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন
মজুত বিপুল খাদ্য শস্য মানুষের কাছে পৌঁছানোর দাবিতে পলিট ব্যুরোর প্রেস বিবৃতি
আজ বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে NDTV’র পক্ষ থেকে প্রনয় রায় কথা বলেন অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এস্থার ডাফলো’র সাথে। তাদের দুজনেরই গবেষণার ক্ষেত্র ছিল অর্থনৈতিক ভাবে দুর্দশাগ্রস্থ মানুষদের বাস্তব উন্নতিসাধন। এই বিষয়ে প্রয়োগভিত্তিক নির্দিষ্ট গবেষণাই নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে তাদের। আলোচনায় তারা দুজনেই জানালেন এই মুহূর্তে সরকারের কি কর্তব্য হওয়া উচিত।
অভিজিত এবং এস্থার দুজনেই যা যা বললেন তার থেকে একটা সার কথা বেরিয়ে আসে, তা হল গরীব মানুষকে রক্ষা করতে সরকারকে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যে কোনো প্রকার বানিজ্য-মানসিকতার বাইরে বেরিয়ে এসে মানুষকে সুরক্ষিত করাটাই প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ। এই কাজে তারা যা যা পথনির্দেশের উল্লেখ করেন সেগুলির মধ্যে অনেকটাই সেইসব কথা রয়েছে যা কিছু আমরা বারে বারে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানিয়েছি।
নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে একথা বলাই যায় যে বর্তমান পরিস্থিতি এবং তার মোকাবিলায় সরকারের কর্তব্যের বিষয়ে আমাদের প্রতিক্রিয়া এবং তাদের মূল বক্তব্য একই ধরণের ছিল
পাঁচটি বাম দল গতকাল একসাথে সভা করে সরকারের কাছে নির্দিষ্ট দাবিসনদ রেখেছে।
বাম দলগুলির কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদনের বিবৃতি পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
মানুষের পাশে দাঁড়াক কেন্দ্র – দাবি বাম দলগুলির
সেইসব দাবিগুলির মধ্যে দুটি দাবী পুনরায় তুলে ধরা হয়েছে যা আমরা লকডাউন ঘোষণার আগেই জানিয়েছিলামঃ
১. যত শীঘ্র সম্ভব জনধন ও বিপিএল প্রকল্পের অন্তর্গত এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমজীবীদের হাতে ঘোষণা অনুযায়ী ৫০০০ টাকা পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করুক সরকার।
এবং
২. কেন্দ্রীয় সরকারের মজুত ভান্ডারে থাকা ৭.৫ কোটি টন খাদ্যশস্য থেকে প্রতিটি গরীব এবং পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের কাছে প্রতি মাসে ৩৫ কেজি খাদ্যশস্য পৌঁছে দিতে হবে, তাদের রেশন কার্ড থাকুক আর নাই থাকুক।
Courtesy: NDTV