On Organisation Cover

Ideology, Organisation, and Our Task: The Observation

সীতারাম ইয়েচুরি

সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির বর্ধিত অধিবেশনে তিনদিন যাবৎ বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এধরনের বৈঠকে মূলত গোটা রাজ্যে সাংগঠনিক কাজের পর্যালোচনা, সেই লক্ষ্যে রাজ্য নেতৃত্ব সহ বিভিন্ন কাজে দায়িত্বরত কমরেডদের বৃহত্তর অংশগ্রহণ মারফত আমরা পার্টির কাজ ও সংগঠনকে মজবুত করতে চাই।

পার্টি কমরেডদের তরফে বৃহত্তর ও বিস্তৃত অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়েই বর্তমান পরিস্থিতিতে উপযোগী রাজনৈতিক – সাংগঠনিক কর্তব্য নির্ধারণের কাজটি আরও শাণিত, আরও কার্যকরী করে তোলা হয়। ২০১৫ সালে পার্টির কলকাতা প্লেনামে সংগঠনকে মুজবুত করার লক্ষ্যে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। কলকাতা প্লেনামের পরে ২০১৬ সালে পার্টির রাজ্য সাংগঠনিক প্লেনাম আয়োজিত হয়। পার্টি কংগ্রেস থেকে আমরা সময়োপযোগী রাজনৈতিক সাংগঠনিক কর্তব্যের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। সাংগঠনিক প্লেনাম থেকে পার্টিতে সদস্যপদ নবিকরনের জন্য আবশ্যিক শর্ত হিসেবে পাঁচ দফা কাজের মানদণ্ড নির্ধারিত হয়েছিল। এধরনের সিদ্ধান্ত আসলে কেন নেওয়া হয়? যাতে পার্টি সংগঠন সময়ের দাবী পূরণ করে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করতে পারে। সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাস, গণ-লাইন সম্পন্ন বিপ্লবী পার্টি নির্মাণ, পার্টিতে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে ঐ প্লেনামে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ কতদূর কার্যকরী করা গেছে সেই পর্যালোচনাই এবারের অধিবেশনের মূল বিষয়।

প্রতিনিধিরা যা আলোচনা করেছেন তাতে স্পষ্ট নির্ধারিত লক্ষ্যের দিকে আমরা অবশ্যই কিছুটা এগিয়েছি। বেশ কিছু ক্ষেত্রে আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন সাধনে অগ্রাধিকার চিহ্নিত করেই সেকাজ সম্পন্ন করতে হবে। পার্টির কাজ, মতাদর্শ চর্চা এবং সংগঠন – এই তিনটি বিষয়কে আলাদা হিসাবে বিবেচনার অভ্যাস একধরনের ভ্রান্তি, এগুলি কার্যত একে অন্যের উপরে নিবিড় ভাবে নির্ভরশীল হয়। বাস্তব পরিস্থিতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কিংবা সে সম্পর্কে সম্যক উপলব্ধি বিবেচনা ব্যতীত কমিউনিস্ট পার্টি কিছুতেই সামনে এগিয়ে যেতে পারে না। এই কারণেই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়, সেইসব সিদ্ধান্তকে যথাযথরূপে কার্যকরও করতে হয়। তাই আমরা বলি রাজনীতি ব্যতিরেকে সংগঠন মজবুত করার কাজ চলতে পারে না।

Lenin-Engels-Marx

একথা ঠিক যে আজকের পৃথিবীতে আমাদের সামনে সোভিয়েত ইউনিয়ন নেই, সমাজতান্ত্রিক শিবির বলতে একসময় যে বিরাট ভূখণ্ড চিহ্নিত হত সেগুলি অনেকাংশে দুর্বল হয়েছে। এসবই ঘটেছে বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতির ভারসাম্য বদলের কারণে। আজকের বাস্তবতা এই যে দক্ষিণপন্থার প্রভাব দুনিয়াজোড়া, একেই গ্লোবাল রাইট উইং শিফট বলা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে আমাদের পার্টি কংগ্রেসে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে, পার্টির দলীলেও সেই আলোচনার মূল বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অনেকে এমন পরিস্থিতিতে হতাশার শিকার হন। আমরা বলি এমন হতাশা কমিউনিস্টদের জন্য বেমানান। কেন? বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতির ভারসাম্য দক্ষিণপন্থার দিকে ঝুঁকে রয়েছে, দুনিয়াজুড়ে দক্ষিণপন্থী রাজনীতির প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে এসব যেমন সত্যি – এর বিরুদ্ধে জনগণের লড়াই, সংগ্রাম ও আন্দোলনও ততটাই বাস্তব। দুনিয়ার এমন কোনও প্রান্ত নেই যেখানে নিপীড়িত মানুষ এই রাজনৈতিক ভারসাম্যের বদল চাইছেন না, এমন কোনও এলাকা নেই যেখানে জনসাধারণ আজকের পরিস্থিতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন না। উদাহরণ হিসাবে লাতিন আমেরিকায় জনগণের সংগ্রাম অবশ্যই উল্লেখযোগ্য। বেলজিয়াম, গ্রীসও একইরকম লড়াই চালাচ্ছে। ইউরোপের বিভিন্ন প্রদেশেই সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমাদের দেশে নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন ঐতিহাসিক নজির রেখেছে।

ঐ হতাশা আসলে নয়া-উদারনীতির সার্বিক প্রভাবকেই তুলে ধরে। একে মোকাবিলা করা যায়। কিভাবে? শ্রমজীবী মানুষের লড়াই’র সাথে যুক্ত করতে হয় ব্যাপক জনগণের দৈনন্দিন সংগ্রামকে। ঐক্যবদ্ধ গণসংগ্রামের তীব্রতা বাড়িয়ে যেতে হয় নিরন্তর। লড়াই, আন্দোলন ও সংগ্রাম ক্রমশ পরিণত হয় জঙ্গি আন্দোলনে, জনমতের বিপুল অংশ শাসকের বিরুদ্ধে একজোট হয়। একাজে সাফল্য পেতে কমিউনিস্ট পার্টির নিজস্ব স্বাধীন শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে, দৈনন্দিন পরিস্থিতিতে দ্রুত ও কার্যকরী হস্তক্ষেপের উপযোগী হয়ে উঠতে হবে। একারণেই কমিউনিস্ট পার্টির কাজে সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ঐক্যবদ্ধ ও ব্যাপক গনসংগ্রাম কেবল আন্দোলনের ঘেরাটোপে আটকে থাকলেই চলবে না, পাল্টা প্রতিরোধ প্রতিষ্ঠা করতেও সাফল্য অর্জনও জরুরী। এমনটা ঘটবে কখন? যদি পার্টির কাজে যাবতীয় ঢিলেছালা ভাব কাটিয়ে ওঠা যায়, সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ক্ষেত্রে জড়তার অভ্যাস ত্যাগ করা যায়। এসব আদৌ নতুন কথা নয়। কমিউনিস্ট পার্টির ঐতিহ্যে এমন সাফল্যের বহু উদাহরণ রয়েছে। ২০১৫ সালের সাংগঠনিক প্লেনামেই আমরা এই প্রসঙ্গে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলাম। এবার প্রশ্ন হল নয়া উদারবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের সাফল্য পেতে এটুকুই কি যথেষ্ট? না, এ হল জরুরী পূর্বশর্ত। সমাজ বিজ্ঞান বা আরও নির্দিষ্ট করে বললে অর্থশাস্ত্রের বেলায় একটি কথা বারে বারে উল্লিখিত হয়- জরুরী পূর্বশর্ত (নেসেসারি কন্ডিশন) ও সাফল্যের আবশ্যিক শর্ত (সাফিসিয়েন্ট কন্ডিশন)। পূর্বশর্ত অর্জিত হলে আবশ্যিক কাজের প্রসঙ্গ আসে। সেই কাজ বলতে কি বোঝায়? জনগণের সাথে নিবিড় যোগাযোগকে এমন কার্যকর স্তরে উন্নত করতে হবে যাতে প্রতিটি স্থানীয়, ছোটবড় ঘটনায় আমাদের কমরেডরা উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া দিতে সক্ষম হবেন। ঐ সকল ঘটনায় জনসাধারণকে সংগঠিত করতে পার্টি সফল হবে। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হিসাবে আমাদের মধ্যে এক বিশেষ গুণের ক্রমবিকাশ ঘটাতে হয়- বাস্তব পরিস্থিতির রূপান্তর সাধনের মানসিক দৃঢ়তা। এহেন দৃঢ়তা রাতারাতি আসে না, দীর্ঘ ও নিরবিচ্ছিন্ন চর্চার ফলশ্রুতিতে নির্মিত হয়। এও এক ঐতিহ্য যা নতুন কমরেডদের জন্য শেখার বিষয় হিসাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ সমর্থক থেকে লাল পতাকা হাতে নিয়ে লড়াই, সংগ্রামের পথে চলতে চলতে কমিউনিস্ট হিসাবে গড়ে ওঠার এই পর্যায় পার্টিকর্মীদের জীবনে একরকম আবশ্যিক পর্ব বলা যায়।

জনসাধারণের সাথে নিবিড় সম্পর্কের কথা বারে বারে আলোচিত হয়। একে উপলব্ধি করতে মাও সে তুঙের একটি উদ্ধৃতিই বোধহয় সবচেয়ে উপযোগী। তিনি বলেছিলেন জনগণের মাঝে কমিউনিস্টদের কাজের ধারা বলতে কি বোঝায়? এ হল জলের সাথে মাছের সম্পর্ক। জনগণের সাথে নিরন্তর ও সজীব সংযোগের জন্য সবেচেয়ে বেশি সক্রিয় পার্টি সংগঠনের নামই হল শাখা- একথা মনে রেখেই শাখার কাজকে গুরুত্ব দিতে হয়। এই কারণেই শাখা সম্পাদকদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হয়। কমিউনিস্ট পার্টির কাজের ধারায় উন্নত চেতনা, উপযুক্ত রাজনৈতিক শিক্ষায় সম্পৃক্ত নেতৃত্ব গড়ে তোলার প্রসঙ্গ আসে, ঐ নেতৃত্ব নির্মাণের কাজ শাখা থেকেই শুরু করতে হয়। উদ্ভূত বা বিদ্যমান পরিস্থিতির যথাযথ ও দ্রুত পর্যালোচনা, অগ্রাধিকার চিহ্নিত করা, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও গৃহীত সিদ্ধান্তের কার্যকরী প্রয়োগ এসবই প্রমাণ করে দেয় আমরা কোন অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছি, কতটা এগিয়েছি।

আমরা এক জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি লড়াই করছি। আমি আগেই বলেছি বহুবিধ দ্বন্দ্বের মাঝে আমাদের সক্রিয় হতে হচ্ছে। জনসাধারণের ভরসা ও সক্রিয় সমর্থন লাভ করার বিষয়টি কঠিন কাজ সন্দেহ নেই। প্রতিদিন সংগ্রামের চেহারা বিভিন্ন জটিল বাঁক-মোড়ের মধ্যে দিয়ে এগোচ্ছে। অনেক সময়ই আন্তর্জাতিক, জাতীয় ও নিজেদের রাজ্যে প্রধান দন্দ্বের প্রেক্ষিত একে অন্যের সাথে বিসদৃশ বলে প্রতিভাত হয়। এমন পরিস্থিতিতে বাস্তব পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে প্রধান প্রধান দ্বন্দ্বের গতিময়তাকে চিহ্নিত করা এবং তার ভিত্তিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলার রাস্তাটি আমরা ইতিমধ্যে নির্ধারণ করেছি। প্রতিদিনকার আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনা করতে গিয়ে বিবিধ সমস্যার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রধান দ্বন্দ্বটি চিহ্নিত করার কাজে ভুল হওয়ার, মূল সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর বদলে অন্যান্য বাধার সাথে যুঝতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে- এসবে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ার বিপদ থাকে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

আজকের পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজনৈতিক অবস্থান নির্ধারণ প্রসঙ্গে একটা কথা মনে রাখতে হবে। নিরন্তর আন্দোলন-সংগ্রাম ব্যতীত কোনও বিপ্লবী মতবাদই গড়ে ওঠে না। আন্তনিও গ্রামশি একেই প্রয়োগের দর্শন (প্র্যাক্সিস) বলেছিলেন। আরও একটি কথা আমি উল্লেখ করতে চাই। আমাদের সামনে কমরেড জ্যোতি বসু ও পার্টির তৎকালীন নেতৃত্বের কাজের উদাহরণ রয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতি জটিল চেহারায় পরিণত হলে তাঁরা কি করতেন। জ্যোতি বসু বারে বারে বলতেন সমস্যার মোকাবিলায় সবচেয়ে ভালো উপায় সরাসরি মানুষের কাছে পোঁছে যাওয়া, তাদের সাথে নিরন্তর আলোচনায় সমাধান সুত্র মিলবেই। পার্টির কাজের ধারায় জনগণের সাথে নিবিড় যোগাযোগ বলতে কি বোঝায় সেই প্রসঙ্গে কমরেড বসু’র ঐ কথার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে।

আজকের পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-তৃণমূলের বাইনারি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হচ্ছে। শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাকে বেশ কিছুটা দূরে ঠেলে দেওয়া গেছে। এধরণের বাইনারি’র মোকাবিলায় পথ কি? জনস্বার্থে কার্যকরী বিকল্প রাজনীতির অ্যাজেন্ডাকে বারে বারে তুলে ধরতে হবে। তার সাথেই যুক্ত হবে বিভিন্ন অঞ্চলের স্থানীয় দাবী আদায়ের লড়াই-সংগ্রাম।

বিপ্লবী রণকৌশল কমিউনিস্ট রাজনীতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মূল বক্তব্য কি? একদিকে শ্রেণী আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি করা- যার অর্থ শ্রেণীর মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা। আরেকদিকে শ্রেণীশত্রুর ঐক্য বিনষ্ট করে দেওয়াও ঐ রণকৌশলেরই অংশ। কায়েমী স্বার্থের টানাপড়েনের জন্যই জনবিরোধী রাজনীতির জোটে ফাটল দেখা দেবেই- সেই সুযোগকে ব্যবহার করতে হবে।

আজকের ভারতে বিজেপি’র রাজনীতির মূল কৌশল কি? সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের তীব্রতা বৃদ্ধি। এর মোকাবিলা করতে শ্রেণী সংগ্রামের তীব্রতা বৃদ্ধি করতে হয়। আমাদের দেশে শ্রেণী নিপীড়নের সাথে সাথে সামাজিক নিপীড়নও বাস্তবতা। একে অস্বীকার করে সামনে এগোনো যায় না। ঐতিহাসিক কিছু লড়াই সংগ্রাম যেমন তেলেঙ্গানার ইতিহাস তুলে কেউ কেউ ভাবেন এসব ক্ষেত্রে সামাজিক নিপীড়ন বড় প্রসঙ্গ ছিল না, তবে এখন তাকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে কেন? আমাদের মনে রাখতে হবে আজকের বাস্তবতায় শ্রেণী আন্দোলনের তীব্রতা দুর্বল হয়েছে বলেই সামাজিক নিপীড়ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শ্রমজীবী জনগণকে বিভিন্ন পরিচিতির আড়ালে ঠেলে দেওয়ার আসল উদ্দেশ্য শ্রেণী আন্দোলনের ঐক্যকে নষ্ট করে দেওয়া। সেই চক্রান্তকে পরাস্থ করতেই হবে।

শ্রেণী নিপীড়নকে বুঝতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতার প্রসঙ্গকে উপলব্ধি করতে হয়, সামাজিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম আসলে মেহনতি জনগণের মর্যাদা আদায়ের লড়াই। এই দুই সংগ্রাম একে অন্যের সাথেই এগিয়ে চলে, একে অন্যকে শক্তি যোগায়। এই দুই নিপীড়নের বিরুদ্ধে ভারতের জনসাধারণের লড়াই, আন্দোলন ও সংগ্রামের মাঝে শক্তিশালী ঐক্য নির্মাণই হল সংগঠন প্রসঙ্গে আমাদের মূল কাজ।

আমি নিশ্চিত সেই কাজে সাফল্য অর্জিত হবে। দেশের ব্যাপক জনসাধারণের উদ্দীপ্ত সমর্থন বুকে নিয়েই পার্টির কর্মীরা সেই কাজ সম্পন্ন করবেন।

ভাষান্তরঃ সৌভিক ঘোষ

Spread the word

Leave a Reply