সম্প্রতি কসবা সোনারপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় টিকাকরণ শিবিরকে কেন্দ্র করে বড় মাপের কেলেঙ্কারি জনসমক্ষে এসেছে। এটা বিস্ময়কর যে বিগত

সম্প্রতি কসবা সোনারপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় টিকাকরণ শিবিরকে কেন্দ্র করে বড় মাপের কেলেঙ্কারি জনসমক্ষে এসেছে। এটা বিস্ময়কর যে বিগত
আমাদের দাবি, ভুয়ো টিকাকরণ কেন্দ্র নিয়ে জালিয়াতির পূর্ণাঙ্গ নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। অভিযুক্তদের যে যোগাযোগই থাকুক না কেন তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। টিকা নিয়ে কালোবাজারি বন্ধ করতে এবং সকলের জন্য বিনামূল্যে টিকাকরণের জন্য সরকারকে ব্যবস্থা করতে হবে।
মোদী সরকার এই হাহাকারের দায় কখনোই এড়িয়ে যেতে পারে না কারন যে “খোলাবাজারের” উদারবাদী নীতিতে আমাদের দেশে টিকার উৎপাদন সম্পাদিত হয়েছে তাতে এমনটাই ছিল অবশ্যম্ভাবী। জনগণের টাকায় টিকার গবেষণা চলেছে অথচ যখন প্রয়োজন এলো সেই গবেষণালব্ধ টিকা হয়ে গেল বেসরকারি মালিকানাধীন পণ্য! আর কে না জানে পণ্য উৎপাদন এবং তার মূল্য নির্ধারণের আগাগোড়া সবটাই অমানবিক!
ডেথ সার্টিফিকেট মৃত্যুর কারণ বলে দিচ্ছে ফুসফুস এবং হূদযন্ত্রের সমস্যা । মৃতদের পরিবারগুলিকে দরজায় দরজায় ছুটে বেড়াতে হচ্ছে । করোণায়
কোটি মানুষ গত এক বছরে তাদের জীবিকা হারিয়েছেন এবং বেঁচে থাকতে কঠিন লড়াই করছেন। এরই
মাঝে কোভিড সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং জীবনদায়ী যন্ত্রপাতির
গুরুতর অভাবে তাদের ভয়ংকর দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে। দেশের কোটি কোটি মানুষের রুটিরুজি
চলে যে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করে সেই ক্ষেত্রই আজ ধ্বংস হতে বসেছে। নোট বাতিল এবং জিএসটি
লাগু হবার পর থেকে যে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় কোভিড মহামারী সেই ধ্বংসই ত্বরান্বিত
করছে।
‘কয়েক বছর আগেও দেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক সংবলিত সংস্যাগুলি যথেষ্ট অস্পষ্ট ছিল।’ লিখছেন অশোক মিত্র, ১৯৮৪-তে মার্কসবাদী পথের
২০ জুন ,২০২১(রবিবার) কলকাতা
হাইকোর্টের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে “ বিরোধি স্বর চেপে রাখার উদ্বেগে রাষ্ট্রের তরফে সংবিধান স্বীকৃত বিরুদ্ধতার অধিকার এবং সন্ত্রাসবাদী কাজের মধ্যেকার ব্যবধানকে অস্পস্ট করে দেওয়া হচ্ছে। এম্মন কাজকে সমর্থন যোগানো হলে তা গনতন্ত্রের জন্য একটি কালো দিন হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।”
বামদলগুলির পক্ষে সমস্ত রাজ্য ইউনিটগুলির উদ্দেশ্যে আহ্বান জানানো হচ্ছে যাতে কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সমস্ত প্রয়োজনীয় সতর্কতা এবং বাধ্যবাধকতা মেনে এবং নিজেদের রাজ্যের নির্দিষ্ট পরিস্থিতি বিচার করেই উপরোক্ত বিষয়গুলিতে একপক্ষকাল ব্যাপি যথোপযুক্ত প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন।