মানুষের অসহায়, মরিয়া অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল গড়ে তুলছে দুর্নীতির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। চাকরির অভাব না থাকলে কেউ জমি, বাড়ি, গয়না বেচে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হওয়ার জন্য ১০-১২ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হত না।

মানুষের অসহায়, মরিয়া অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল গড়ে তুলছে দুর্নীতির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। চাকরির অভাব না থাকলে কেউ জমি, বাড়ি, গয়না বেচে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হওয়ার জন্য ১০-১২ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হত না।
, জিএসটি হার বৃদ্ধির বিষয়ে সবচেয়ে ঘৃণ্য ব্যাপার হল এই সিদ্ধান্তের সময়। দেশ এখন মূদ্রাস্ফীতির তীব্র সংকটের মুখে। খুচরো মূদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশের উপরে। পাইকারি মূল্য সূচক ১৫শতাংশ বেড়েছে।
এই প্রয়োগের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী ছিল টেকসই পণ্যগুলির সাথে যুক্তরা যাদের বিদ্যমান করের বোঝা ৩০ থেকে ৪৫ শতাংশের মধ্যে ছিল।তাদের কর হ্রাস করে অভিন্ন ২৮% শতাংশ করা হয়েছিল যা জিএসটি-এর অধীনে সর্বোচ্চ করের হার হিসাবে নির্ধারিত হয়েছিল।
গত ১১ বছরে তৃণমূল কংগ্রেস গোটা সিস্টেমে দুর্নীতি-স্বজনপোষণ’কে এরাজ্যে পঞ্চায়েত থেকে নবান্ন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা দিয়েছে। সরকারি আমলাতন্ত্রের একটা অংশ, আইপিএসদের একাংশ, পঞ্চায়েত-পৌরসভার কর্মীদের একাংশ এই র্যাকেটের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
ক্যাবিনেটের প্রাক্তন মন্ত্রী-আইপিএস অফিসার এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তে সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।এমনই আরও কোন বন্ধু ব্রুটাসের মতো “Not that I loved Caesar less, but that I loved Rome more” ভেবে না বসেন।
মোদি সরকার পরিকল্পিতভাবে সংসদের অবমূল্যায়ন করছে এবং বিরোধীদের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করছে। জনমতকে একত্রিত করে গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম শুরু করে এর প্রতিরোধ করতে হবে।
অস্বাভাবিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে যারা অতিমুনাফা করেছে তাদের উপর অস্বাভাবিক হারে কর লাগু করার দাবি নানা মহল থেকে দেশে-বিদেশে উঠছে। এই সরকার সে কথা না ভেবে সমস্যার অভিমুখই বদলে দিতে চাইছে মন্দির-মসজিদ বিতর্কে।
মোদী-শাহের বিশেষ বার্তা নিয়ে সেই বৈঠকে এসেছিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী। আড়াই ঘণ্টা আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু মমতা ছিলেন চুপ! এদিনের সিদ্ধান্তে সেই ভণ্ডামির মাত্রা স্পষ্ট!
গণতন্ত্রে ছুটে গিয়ে, অস্ত্র নিয়ে মহাকরণ দখল করা যায় না। মমতা ব্যানার্জি জানতেন। তবু ‘অভিযান’ হয়েছিল। কাউকে খুশি করতে, বামফ্রন্টকে সেই সময়ে বিপাকে ফেলতে।
মোদি সরকারের দাবি যে এই মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে কোনও বিরোধিতা করা হয়নি একথা স্পষ্টতই অসত্য।খোদ কেরালার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের তীব্র আপত্তি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন এবং তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ২০২১ সালের নভেম্বরের প্রথম দিকে এই প্রস্তাবগুলির বিরুদ্ধে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন যখন সেগুলি প্রথম উত্থাপিত হয়েছিল।