কৃষকদের প্রতি ন্যায়বিচারের স্বার্থে দেওচা-পাচামী-হরিনশিঙ্গা-দেওয়ানগঞ্জ এলাকার কৃষকদের মতামত জানার জন্য বাধ্যতামূলক আইনী স্বচ্ছ পদ্ধতি গ্রহণ করার জন্য এসকেএম পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অনুরোধ করছে। অবিলম্বে গ্রামবাসী ও কর্মীদের উপর দমন-পীড়ন ও গ্রেপ্তার বন্ধ করতে এবং শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছে এসকেএম।
Category: Campaigns & Struggle
The Road Ahead: Deucha Pachami Shows The Way (Part III)
খেটেখাওয়া সাধারণ মানুষের ভরসা নেই সরকারের উপর। উচ্ছেদের পর কোনও নিশ্চয়তা নেই ভবিষ্যত রুটি রুজির, বুঝে গিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। তাই খনি হলে দেদার টাকা লোটার ধান্দায় মশগুল তৃণমূলের নেতারা রীতিমত ধাক্কা খাচ্ছেন হরিণশিঙা, চাঁচপুর, দেওয়ানগঞ্জ, কেন্দপাহাড়ি, মথুরাপাহাড়ি, গাবারবাথান সহ প্রত্যেকটা জনপদে।
Will Uproot The Barricade: Mishra States
সব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নকে অগ্রাহ্য করে রাজ্য সরকার প্যাকেজের নামে প্রলোভন এবং প্রতিবাদের কন্ঠ দমন করতে ভয়ভীতি সন্ত্রাসের রাস্তা বেছে নিয়েছে। দেউচা পাঁচামীর মানুষের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে, বাইরে থেকে বিদ্বেষের রাজনীতি বিরোধী জনমঞ্চের পদযাত্রীরা সেখানে ঢুকতে গেলে আটকানো হয়েছে, আমাদের পার্টির জেলা সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পদযাত্রীদের আশ্রয়স্থলে শাসকদল হামলা চালিয়েছে। এরপরেও যারা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেছে তাদেরও বাধা দেওয়া হয়েছে। এভাবে প্রকল্পের বিষয়ে মূল প্রশ্নগুলো এবং মানুষের প্রতিবাদকে ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। সর্বাত্মক ব্যাপক ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে এর বিরুদ্ধে।
The Road Ahead: Deucha Pachami Shows The Way (Part II)
বেশিরভাগ মানুষ গরিব। পাথর ভাঙা, ক্রাশার আর ছোট জমিতে চাষ— এই তাঁদের জীবনযাপনের পাথেয়। সেখানে আদিবাসীরা বেশি। আছেন তফসিলিরাও। সেখানে সমীক্ষা হয়েছে? হরিণশিঙার সুনীল মার্ডির কথায়,‘‘কোথায় প্রশাসন? আমাদের সঙ্গে কেউ কথা কয়নি। বাড়ি বাড়ি এসে জিজ্ঞেস? প্রশাসনের কোনও লোককে গত কয়েকবছর গ্রামে দেখা যায়নি।’’ হরিণশিঙার ভাগচাষি রামযতন মির্ধা খেতে ছিলেন। সপরিবারে— স্ত্রী বিলাসী মির্ধা, ছেলের স্ত্রী ললিতা মির্ধা, মেয়ে অঞ্জলি মির্ধা একসঙ্গে ধান কাটছিলেন। আমরা ‘কয়লার পক্ষে কথা বলতে আসিনি’ জেনে এগিয়ে এলেন। বললেন,‘‘সরকার কী করে জানল আমরা এই প্যাকেজে রাজি? কোথায় জমি দেবে? কোথায় কাজ পাবো, এত ছোট ৬৫০ বর্গমিটার ঘরে আমরা থাকতে পারব কিনা — সরকার জানতে চেয়েছে। ইচ্ছা হলো আর ঘোষণা? এখানে সবাই অনিচ্ছুক। গাঁ ঘুরে কয়লার পক্ষে লোক পাবেন না।’’
একুশে ফেব্রুয়ারির ইস্তেহার – বিক্রমজিৎ ভট্টাচার্য…
২১ শে ফেব্রুয়ারি ২০২২ ‘বাহন উপযুক্ত না হলে কেউ তার উপযুক্ত স্থানে পৌঁছাতে পারেনা। লক্ষ্য লাভ করতে হলে সাহিত্যের বাহন
The Road Ahead: Deucha Pachami Shows The Way
রুখে দাঁড়িয়েছে দেউচা পাঁচামী। তৈরি হয়েছে ভূমিরক্ষা কমিটি। প্রতিবাদে আছেন সব অংশের মানুষ। তারা গ্রামে গ্রামে সভা করেছে। এখনও করছে। তারা হ্যান্ডবিল করেছে। ভূমিরক্ষা কমিটির নামে ছাপানো হ্যান্ডবিলে কী আছে? ‘‘দয়া নয়, অধিকার চাই, কয়লা খনি নয়, আদিবাসী সংস্কৃতি-জঙ্গল-জনজীবনের উন্নয়ন চাই।’’ হ্যান্ডবিলে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘যেখানে যেখানে কয়লা খনি হয়েছে সেখানে মানুষ ধ্বংস ছাড়া আর কী পেয়েছে?
তেভাগার ৭৫ তম বর্ষ, মহান খাঁপুর – মানবেশ চৌধুরি …
দ্বিতীয় পর্ব ৫ ১৯৪৬ সালে তিনজন কমিউনিস্ট প্রতিনিধি জ্যোতি বসু, রতনলাল ব্রাহ্মণ ও রূপনারায়ণ রায় প্রাদেশীক বিধান সভায় সদস্য হিসাবে
তেভাগার ৭৫ তম বর্ষ, মহান খাঁপুর – মানবেশ চৌধুরি
প্রথম পর্ব ১ ১৯৩৬ সালের ১১ ই এপ্রিল গড়ে ওঠল সারাভারত কৃষক সভা। তার এক বছর পরেই বঙ্গীয় প্রাদেশিক কৃষক
Anis Khan’s Letter: An Eye Opener
আনিস খাঁন নিজেই স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সেই অভিযোগপত্রের সম্পূর্ণ বক্তব্য নিচে তুলে ধরা হল। আনিসের নিজের লেখাতেই স্পষ্ট তাকে এবং তার পরিবারকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সন্ত্রস্থ করে তুলেছিল। যারা হত্যাকারীদের পরিচয়, আশ্রয় সম্পর্কে সন্দিহান তাদের জন্য আনিসের লেখা চিঠিটি ‘আই ওপেনার’। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে প্রত্যেকে সোচ্চার হন, বিচার চান – দোষীদের শাস্তির দাবী জানান।
More Worry About Inflation Than Unemployment
মার্কস যাকে পূঁজি সঞ্চয়ের আদিম উপায়সমুহ বলে ব্যখ্যা করেছিলেন এসবই হল তার সমতুল্য উদাহরন। শ্রেণীগত অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব বজায় রাখতে প্রথম দুটি পথে আসলে সাধারণ জনগণকে নিংড়ে নেওয়া, নিশ্চিতভাবেই আদিম সঞ্চয়ের রাস্তা। জনগনের অর্থে নির্মিত জাতীয় সম্পদকে পন্য হিসাবে বেসরকারি মালিকানার হাতে তুলে দেওয়া – এই হল তৃতীয় উপায়টির সারাংশ। এই পরিস্থিতির ব্যাখ্যায় অন্যভাবে বলা যায়, উদ্বৃত্ত মূল্য আহরণ ব্যাতিরেকে লগ্নীপূঁজি নিজের দাপট বজায় রাখতে এমন এক অতিরিক্ত পথের সন্ধান পেয়েছে যা আসলে পূঁজির আদিম সঞ্চয়ের কৌশল থেকে অনুপ্রাণিত। এই কারনেই লগ্নীপূঁজির জন্য বেকারি মোকাবিলার তুলনায় মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ হল অগ্রাধিকারের বিষয়। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আজ্ঞাবহ সরকারগুলির নীতিতে সেই কৌশলই প্রতিফলিত হচ্ছে।