কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আমলে দেশের জাতীয় সম্পদের নিরলস লুট অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় পতাকার বাহক সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়াকে টাটাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। মোদি সরকার কর্তৃক এই বিক্রি টাটাদের বিনামূল্যে উপহার দেওয়ার সমতুল্য। টাটারা এই বিক্রির সূত্রে ১৫৩০০ কোটি টাকার ঋণের দায় নেবে, বোঝাই যাচ্ছে পরবর্তীকালে সেই ঋণ সম্পর্কে নতুন সিদ্ধান্ত হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে কেবলমাত্র ২৭০০ কোটি টাকা নগদ দিয়েই এয়ার ইন্ডিয়ার ৪৬২৬২ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল সম্পদের মালিক হল টাটা গোষ্ঠী। অবশিষ্ট ঋণের ৪৬,২৬২ কোটি টাকার দায় বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার, যার অর্থ এই ঋণ পরিশোধের ভার জনগণের উপরে চাপানো হবে।
Campaigns & Struggle
In Consolidation: SSKM Press Note
একশো জনেরও বেশি প্রত্যক্ষদর্শী চারজন কৃষক এবং এক সাংবাদিককে গাড়ি চালিয়ে পিষে মারার ঘটনায় আশীষ মিশ্রকে সনাক্ত করেছেন, তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ইউপি পুলিশের উচিত ছিল তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা, কিন্তু তিনি এখনও অবাধে ঘোরাফেরা করছেন।
Peasants and the Revolution
যে নয়া তিন কৃষিআইনের বিরুদ্ধে কৃষকরা সংগ্রাম করছেন সেগুলির লক্ষ্য কৃষক নির্ভর কৃষিব্যবস্থাকে একচেটিয়া পুঁজির দখলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া। এই তিন আইনের আগে মোদী সরকার শ্রমিক বিরোধী আইন প্রণয়ন করেছে যা শ্রমিক সংগঠনের গুরুত্ব কমিয়ে দেবার সাথেই শ্রমিকদের উপরে শোষণের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। আজকের দুনিয়ায় শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বে শ্রমিক-কৃষক জোটের লড়াই শুধুই কৃষকদের অসমাপ্ত গণতান্ত্রিক আশা-আকাংখা পূরণে জমিদারতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই না; এই সংগ্রাম শ্রমিকশ্রেণী এবং কৃষক উভয়েরই শোষণমুক্তির লড়াই। তারা উভয়েই একইসাথে আন্তর্জাতিক লগ্নী পুঁজির আক্রমণের শিকার, দেশীয় একচেটিয়া পুঁজিপতিদের হাতে শোষণ সেই মুল প্রক্রিয়ারই অংশ।
Sack Minister Ajay Mishra: Polit Bureau Statement
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার নিজের ছেলে জড়িত, ঘটনার পরে তিনি কৃষকদেরই দোষারোপ করে এহেন নৃশংসতাকে সমর্থন করেছেন। সাইরেন বাজিয়ে কৃষকদের সমাবেশে গাড়ি চালিয়ে তাদের হত্যা করার স্পষ্ট প্রমাণ হিসাবে ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং রয়েছে। এই ঘটনায় আহত এবং নিহতদেরকে "বহিরাগত" বলে অভিযুক্ত করার পাশাপাশি নিজেকে এবং তার আত্মীয়দের রক্ষা করার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের "খালিস্তানি" বলে দাবি করেছেন তিনি।
Samyukta Kisan Morcha Press Bulletin
হেলিপ্যাড এলাকায় কৃষকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশীষ মিশ্র টেনীই যে তিনটি গাড়ি সমেত সেই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে আসেন এবং কৃষকদের গাড়ি চালিয়ে পিষে দেন তা নিশ্চিত। এই জঘন্য কান্ডের শেষে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা তাজিন্দর সিংহ ভার্ককেও আক্রমণ করা হয় এবং তাকেও গাড়ি চালিয়ে পিষে মারার চেষ্টা চলে। এই হামলার ঘটনায় গুলি অবধি চলেছে এবং আশিস মিশ্র টেনি ও তার দলবলের ছোঁড়া গুলিতেই একজনের মৃত্যু হয়েছে।
Mahatma’s Greatness And A Movement That Strayed
অর্ধশতাব্দীরও বেশী সময় ধরে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা স্বীকার করছেন যে স্বপ্নের জন্য তিনি লড়াই করেছিলেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট সেই স্বাধীনতা আদৌ অর্জন করা যায়নি, ক্ষমতার বলে বলিয়ান হয়ে তাঁর প্রাক্তন শিষ্যরাই এমন স্বার্থপর এবং কুচক্রী হয়ে পড়েছেন যে নিজের হাতে গড়ে তোলা ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের গোটা সংগঠনটাকেই তিনি বাতিল করে দিতে চান - একমাত্র গান্ধীর পক্ষেই এতটা হিম্মত দেখানো সম্ভব ছিল। সত্যের উপলব্ধি প্রকাশের হিম্মতের জন্যেই তাকে প্রকৃত মহাত্মা বলা যায়, যিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা করলেন তার গোটা জীবনটাই লক্ষ্যভেদে ব্যার্থ।
Strike Hard on 27Sept! A Backdrop (Part – II)
আর্থিক ক্ষতির প্রভাব অবশ্যই সার্বিক, যদিও মুনাফা কামানোর পথে উৎপাদন করতে বা যোগান (পণ্য বা পরিষেবা) দিতে শ্রমের ভূমিকা এখনও সামাজিক! মুনাফার খোঁজে নির্লজ্জ পুঁজিবাদের চরিত্র বর্ণনা করতে ঠিক মার্কস যেমনটা বলেছিলেন। সেই লেখার ধাক্কায় পুঁজিবাদ তাই আজও কমিউনিজমের ভূত দেখছে বৈকি!
Strike Hard On 27Sept! The Backdrop (Part – I)
লড়াই কৃষকরা একা লড়ছেন বললেই সবটা বলা হয় না – বলতে হবে আজকের দিনে পুঁজি বনাম শ্রমের যে মূল লড়াই জারী রয়েছে তারই একটা ফ্রন্টে ভারতের কৃষকরা লড়াই শুরু করেছেন। জীবন বাজি রেখে কৃষকদের লড়াই-আন্দোলন শুধুই নিজেদের স্বার্থে না, গোটা দেশের জনগণের খাদ্য সুরক্ষার স্বার্থেও। সেই জন্যেই তারা দেশের জনসাধারনকে নিজেদের লড়াইতে পাশে থাকার আহবান জানিয়েছেন – ২৭শে সেপ্টেম্বরের ধর্মঘটে গোটা দেশের মানুষ সেই লড়াইতে যুক্ত হবেন, জনবিরোধী কৃষি আইন বাতিল করার দাবীতে তাদের লড়াইয়ের সাথে জুড়বে সারা দেশের মানুষের শক্তি। লেখা হবে নতুন ইতিহাস।
Fridays For Future: A Ray Of Hope
উত্তর গোলার্ধের ধনীদেশগুলো সহ নানা দেশের রাষ্ট্রনায়কেরা এখনও বলার মতো কিছু করেনি। এই ব্যবস্থা কতদূর করবে তা নিয়ে সংশয়ের মেঘ তামাম বিশ্বের আকাশ ছেয়েছে। কিন্তু আমাদের জন্য আর Planet B নেই। বিশ্বজুড়ে মানুষের জোট নতুন সমীকরণ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুক ব্যবস্থার উচ্ছেদে। তাহলেই কেবল তাহলেই বাঁচবে বিশ্ব বাঁচবে হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্স।